ফ্রিল্যান্সিং কি ? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন? ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে যা জানা জরুরী।

বর্তমান সময় ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে নিজেকে তৈরি করে যাচ্ছে। এই ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সুবিধা থাকার কারণে অনেকেই এখন ফ্রিল্যান্সিংকে নিজের ক্যারিয়ার হিসাবে বেছে নিচ্ছে। আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করবো ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন কিভাবে? ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে যা জানা আপনার পক্ষে জরুরী। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

সূচিপত্র: 

আমাদের বর্তমান যুগকে আধুনিক যুগ বলা হয়,আর এই আধুনিক যুগ এখন হয়ে গিয়েছে অনলাইন যুগে। এই যুগে অনলাইনকে মানুষ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে যাচ্ছে। অনলাইনকে ছাড়া আমারা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিজেদেরকে কল্পনা করতে পারি না। আমরা এখন বেশিভাগ কাজের ক্ষেত্রে অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকি। অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের নানা কাজ হাসিল করে থাকি। 

আর এই অনলাইনকে ব্যবহার করে আমরা নানা ভাবে অর্থ উপার্জন করে যাচ্ছি। অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করার মাধ্যমে আমরা লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা উপার্জন করে যাচ্ছি।  আমরা ঘরে বসে নিজের ইচ্ছা মত কাজ করার মাধ্যমে অনলাইনে আয় করে যাচ্ছি। অনলাইনে আমাদের কাজ করতে গেলে বাইরে কোথাও যেতে হয় না। আমরা ঘরে বসে এই কাজটি খুব ভালোভাবে করে দিতে পারি।

তবে অনলাইনে কাজ করতে গেলে আমাদের দরকার হবে, একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অথবা একটি মোটামুটি ভালো মানের স্মার্টফোন। আর অবশ্যই সেখানে ইন্টারনেট কানেকশন দরকার হবে। অনলাইনে কাজ করে আয় করার ক্ষেত্রে কোন রকম ঝামেলায় পড়া নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।

আর অনলাইনে এই কাজকে বলা হয় আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন ও অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। যে খুব কম সময়ে অধিক মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। 

আমাদের দেশে চাকরির বাজারে শুরু হয়েছে এক বিশেষ মেধার প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষিত তরুন তরুনীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চাকরি থেকে বঞ্চিত সেই সব তরুণ-তরুণীরা নিজেদের ক্যারিয়ার গঠনের জন্য তারা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিযুক্ত হচ্ছে।

আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে অনলাইন যুগে এখন অধিকাংশ মানুষ ও অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করে যাচ্ছে। অনেকেই এই পেশার মাধ্যমে নিজের জীবনকে বদলে ফেলছে। অনেকই একদম গরিব পর্যায় থেকে উচ্চবিত্ত পর্যায়ে চলে যাচ্ছে এই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে।

আর তাই বর্তমান সময়ে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখার এক বিশেষ জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে অনেকেই এখন ভেবে থাকে যে, ফ্রিল্যান্সিং শিখবো কিভাবে। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে একটি দু'টি কাজ নয় বরং নানা কাজ রয়েছে।

আর এই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান এর অভাবের কারণে আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে চেয়েও পারি না। এই ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্পর্কে যাবতীয় বিষয়ে আপনারা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন কিভাবে এই সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে এর প্রথম থেকে ধাপে ধাপে আলোচনা করার মাধ্যমে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই প্রথমে যেটা নিয়ে আলোচনা করা হবে সেটি হলো ফ্রিল্যান্সিং কি এ বিষয়ে।

বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই আছি যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছি কিন্তু এ বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা আমাদের নেই। তাদের জন্য আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে ফ্রিল্যান্সিং শেখার ব্যাপারে পুরোপুরি ধারণা পেয়ে যাবেন। তাই শুরুতেই আলোচনা করা যাক ফ্রিল্যান্সিং কি তা নিয়ে। নিচে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো:

ফ্রিল্যান্সিং কি:

ফ্রিল্যান্সিং কে সাধারণত একটি স্বাধীন বা মুক্ত পেশা হিসাবে বলা হয়ে থাকে। এই কাজটি যদি আপনি করে থাকেন তাহলে আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠান অধীনে থাকা লাগবে না। আপনি আপনার ইচ্ছামত সময় অনুযায়ী ঘরে বসে কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে অনলাইন হতে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ঘরে বসে অনলাইন এর সাহায্যে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে চুক্তি করে সেই কাজ অনলাইনের মাধ্যমে করে দেওয়া কে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সারদের স্বাধীন কন্ট্রাক্টর বা Self-Employed ওয়ার্কার নামে ডাকা হয়ে থাকে।

তবে অনেকেই আবার এই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অন্যরকম কিছু চিন্তা করে থাকে। তারা মনে করে যে, ফ্রিল্যান্সিং করলে রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু আসলেই এটি তাই নয়, এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো টাকা আয় করতে চান তাহলে এর জন্য আপনার যেটি দরকার পড়বে সেটি হলো, আপনার যেকোনো একটি কাজের ওপর প্রচুর দক্ষতা থাকতে হবে।

আপনাকে যথেষ্ট সময় দিয়ে যথেষ্ট দক্ষতা দিয়ে কাজ করে যেতে হবে। আর আপনার ক্লায়েন্টকে সঠিকভাবে কাজ করে দিতে হবে। তাহলে আপনার ভালো টাকা আয় এর ব্যাপারে আশা করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা সমূহ:

আপনি যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন তাই ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে আপনাকে এর সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ খুব ভালোভাবে জেনে নেওয়াটাই আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। আর তাই আমরা এর সুবিধা সমূহ আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি। নিচে এর সুবিধাগুলো আলোচনা করা হলো:

  • ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি নিজেই নিজের বস হয়ে উঠবেন। একজন ফ্রিল্যান্সার সাধারণত নিজেই নিজের কাজের সময়, কাজের রেট, এবং কাজের স্থান নির্বাচন করতে পারেন। তাছাড়া একজন ফ্রিল্যান্সার তার নিজের পছন্দ বা ইচ্ছা অনুযায়ী তিনি যে কোন প্রকার ক্লায়েন্ট গ্রহণ বা বর্জন করার ক্ষমতা রেখে থাকে।

  • ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে যেহেতু আপনার সময় কেই ভালোভাবে কাজে লাগাতে হচ্ছে। এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় ব্যয় এর মাধ্যমে কাজ করে যাওয়া হচ্ছে। সেহেতু এখানে অধিকাংশ লাভ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তবে বিশেষ করে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও তার তুলনায় অনেক কম থাকে।

  • ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে চাকরির মত নির্দিষ্ট সময় ও স্থান এর কাছে এক বিশেষ ভাবে দায়বদ্ধ থাকতে হয় না, যেটি ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে এক বিশেষ সুবিধা হয়ে থাকে। তবে এই ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে একপ্রকার স্বাধীনতা বরাবর বেশি হয়ে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা সমূহ:

আপনি যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন সেহেতু আপনাকে এর সুবিধা অসুবিধা দুটো দিকেই যথেষ্ট নজর রাখতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং করার অনেক সুবিধা থাকলেও এর কিছু অসুবিধা রয়েছে। তা নিচে আলোচনা করা হলো:

  • আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে নিজেই নিজের বস হয়ে থাকবেন। এখানে কাজ নেওয়া থেকে শুরু করে সেটি ক্লায়েন্টের হাতে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, একই সাথে চলতে থাকা সহ কাজের অন্যান্য যাবতীয় হিসাব আপনাকে রাখতে হবে। আপনি নিজেই নিজের কর্মচারী হয়ে থাকবেন এবং নিজেই নিজের বস হবেন।

  • ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি যত বেশি কাজ করবেন আপনার আয় তত বেশি হয়ে থাকবে।এক্ষেত্রে আপনি কাজ করার মাধ্যমেই টাকা পাবেন কাজ না করলে আপনি টাকা পাবেন না। চাকরি করার ক্ষেত্রে হয়তো প্রয়োজনের ছুটি নেওয়ার সুবিধা থাকলেও ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে আপনার কাজ আপনাকেই যেহেতু করতে হয় সেহেতু এখানে ছুটির কোন ব্যবস্থা নেই।

  • ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি বিষয় এখানে কাজ পাওয়া কিংবা সময়মতো পেমেন্ট পাওয়া এই দুই ধরনের বিষয়টি যথেষ্ট নড়বড়ে বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। আপনি যদি ফুলটাইম এর একজন ফ্রিল্যান্সার হোন আপনার আর্থিক অবস্থার দায়িত্ব বজায় রাখতে সমস্যা হওয়ার কথা অদ্ভুত কিছু নয়।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে গেলে এর কাজের ধরন সমূহ আগে জানুন:

সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকারের কাজ থেকে তাকে। এখানে প্রায় হাজার ধরনের কাজ থাকলেও আপনি সবকিছু করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে এক বা একাধিক কিছু কাজ নিয়ে অনুশীলন শুরু করা।

আপনাকে আগে সেই কাজের ব্যাপারে পুরোপুরি পারদর্শী হতে হবে। এবং আপনাকে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে হবে সেই কাজ সম্পর্কে। সাধারণত আমি আপনাকে যেটা বলবো সেটা হলো, আপনি আগে যেই কাজটি করতে চাচ্ছেন সেই কাজটি সম্পর্কে পুরোপুরি দক্ষতা অর্জন করুন। তারপরে আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে টাকা আয়ের কথা চিন্তা করুন।

আপনি যদি সেই কাজের ওপর দক্ষতা অর্জন না করে থাকেন তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করাটা ঠিক হবে না। ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে সেই নানা প্রকার কাজের মধ্যে বিশেষ কিছু নামকরা কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। নিজে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো:

এডমিনিস্ট্রেটিভ:

ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করা এমনকি অন্যান্য বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের এডমিনিস্ট্রেটিভ কাজের লোক দলের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর এই কাজটি করার জন্য এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নানা ধরনের ফ্রিল্যান্সারদের খোঁজ করে থাকে। এই এডমিনিস্ট্রেটিভ ফিল্ডের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ হলো:

  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট।

  • অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট।

  • হিসাব রক্ষক 

  • ইত্যাদি।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট:

বর্তমান সময়ে মোবাইল অ্যাপ এর একটি বিশেষ জনপ্রিয়তা লক্ষ করা যাচ্ছে। অ্যাপ এর বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে একাধিক ফ্রিল্যান্সার অ্যাপ ডেভলপমেন্ট এর কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিছু উল্লেখযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ হলো:

  • ন্যাটিভ অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

  • ওয়েব অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

  • মোবাইল গেম ডেভেলপমেন্ট

  •  ইত্যাদি।

কনসাল্টিং:

বিভিন্ন মানের এক ধরনের স্ট্রাটেজি ও প্লানিং এর ক্ষেত্রে অনেক ব্যবসার সাহায্যের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কনসাল্টিং এর কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক জনপ্রিয় কাজ হয়ে থাকে। আর জনপ্রিয় কিছু কনসাল্টিং ফ্রিল্যান্সিং কাজ হলো:

  • বিজনেস স্টাডিজ ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং।

  • বিজনেস প্ল্যানিং কনসাল্টিং।

  • অপারেশন কনসাল্টিং।

  • প্রাইসিং কনসাল্টিং।

  • এইচআর কনসাল্টিং।

  • আইটি কনসাল্টিং।

  • ইত্যাদি সমূহ।

ই লার্নিং:

ব্যবসা এবং জনপ্রিয়তার জন্য উভয় দিক থেকেই অনলাইন লার্নিং বা ই-লার্নিং অনেক জনপ্রিয় একটি পরিষেবা। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ডেডিকেটেড ই-লার্নিং ছাড়াই ই লার্নিং প্রবেশে আগ্রহী হয়ে থাকে। আর তারাই মূলত বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের সাহায্য নিয়ে থাকে। যেসব ই-লার্নিং বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে তা হলো:

  • ই-লার্নিং কনসালটেন্ট।

  • ইনস্ট্রাকশন ডিজাইনার।

গ্রাফিক্স ডিজাইন:

এই গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং জগতের একটি অন্যতম কাজ হয়ে থাকে। এই কাজটির কথা আমরা অনেকেই শুনে থাকি। আরে গ্রাফিক ডিজাইন যে কোন ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়ানোর অন্যতম প্রধান বাহক হয়ে থাকে।

আজ সারা বিশ্বের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের নিজেদের গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে করিয়ে নিয়ে থাকে। তারা যথেষ্ট অর্থ দিয়ে এই কাজটি ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে করে নিয়ে থাকে। গ্রাফিক ডিজাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কাজ গুলো হলো:

  • ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি ডিজাইনিং।

  • ডিজিটাল ইলাস্ট্রেটিং।

  • লোগো ডিজাইনিং।

  • প্রিন্ট ডিজাইনিং।

  • ইত্যাদি।

এছাড়াও আরও অনেক যাবতীয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ রয়েছে। যা আপনি শেখার মাধ্যমে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে দিয়ে আয় করতে পারবেন। তবে সেই সব ফ্রিল্যান্সিং কাজ সমূহ আপনাকে অবশ্যই আগে ভালো মতো শিখে চর্চা করতে হবে। তারপর আপনি আয় এর কথা নিয়ে ভাবতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন কিভাবে:

ফ্রিল্যান্সিং শেখার ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত যেকোন এক বা একাধিক কাজ সম্পর্কে আপনাকে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর এই ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য আপনি যখন প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করবেন সেটাকেই মূলত ফ্রিল্যান্সিং শেখা বলা হয়ে থাকে।

আর এই কাজগুলো সম্পর্কে যথেষ্ট দক্ষতা জন্য আপনি অনলাইনে বা অফলাইনে যেকোনো ধরনের ট্রেনিং সেন্টারে কয়েক মাসের জন্য সেই কাজের ওপরে একটি কোর্স করে নিতে পারেন। তাহলে আপনি খুব ভালোভাবে সেই কাজটি সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন।

আপনি বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করে বা যে কোন গাইডলাইন নিয়ে চর্চা করার মাধ্যমে যেই কাজটি আপনি করতে চাচ্ছেন সেই কাজটি আপনি খুব সহজেই শিখে নিতে পারবেন। আপনি সেই কাজ সম্পর্কে যে কোনো কোর্সে অংশগ্রহণ করে বা যে কোন গাইডলাইন এর মাধ্যমে সেই বিষয়টি পুরোপুরি শিখে আপনাকে নিয়মিতভাবে চর্চা করে যেতে হবে।

কেননা ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে অবশ্যই দরকার পড়বে এক বা একাধিক বিষয়ের ওপর যথেষ্ট দক্ষতা। আর আপনি যদি সেই দক্ষতা অর্জন করতে চান তাহলে আপনার যেটি করণীয় হবে সেটি হলো নিয়মিত ভাবে সেই কাজটি কে চর্চা করে যাওয়া।

তবে এসব কোর্স ও গাইড লাইন নিয়ে শেখার জন্য আপনাকে কিছু অর্থ খরচ করতে হতে পারে। কিছু অর্থ খরচ করার মাধ্যমে আপনি সেই কাজ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন। এবং তারপরে আপনি আপনার ইচ্ছে মত খুব ভালোভাবে চর্চা করে সেগুলো ওপরে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

আপনি আপনার সময় এবং বিনিয়োগের ওপর ভিত্তি করে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন সে সম্পর্কে আগে নিশ্চিত হয়ে যান। তারপরে আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী এক বা একাধিক ফ্রিল্যান্সিং কাজের দক্ষতা অর্জনের জন্য নেমে পড়তে পারেন।

উপসংহার:

ফ্রিল্যান্সিং শেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আপনার ধৈর্য ক্ষমতা দিয়ে কাজ করে যেতে হবে। আপনাকে যথেষ্ট সময় দিয়ে চর্চা করে দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে একজন ফ্রীল্যান্সার হয়ে উঠতে পারবেন। তবে একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে একদিনে কেউ কখনো বড় হয়ে ওঠে না।

আমরা যে ছোট থেকে বড় হয়েছি বছরের পর বছর আমাদের ব্যয় হয়েছে। আর তাই ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রেও আপনি একদিনে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন না। আপনাকে দিনের পর দিন সময় দিয়ে চেষ্টা করে যাওয়ার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

আর পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করার পরে আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে নামবেন। আর ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে আরেকটি বিষয় নজর রাখতে হবে সেটি হলো ইংরেজি বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। ইংরেজিতে কথা বলতে পারা ও লেখার প্রতি আপনার অভিজ্ঞতা অবশ্যই রাখতে হবে।

বিভিন্ন ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে কাজ দেবে তখন তারা আপনার সাথে ইংরেজি ভাষায় কথাপকথন করার মধ্য দিয়ে কাজ সম্পন্ন করবে। আর তাই ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে ইংরেজি বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে।

আমাদের আর্টিকেলটির যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে দয়া করে আপনার পছন্দমত যেকোনো একটি সাইটে অবশ্যই একবার শেয়ার করবেন। আপনার করা একটি শেয়ার আমাদেরকে আরো ভালো আর্টিকেল লিখতে উৎসাহিত করবেন ধন্যবাদ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

নাম: বাধন কুন্ডু । একজন আর্টিকেল রাইটার । ১০০% ইউনিক ও কপি মুক্ত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।