আর নয় বেকারত্ব, অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করুন।

আসসালামু আলাইকুম, বর্তমান সময়ে চাকরি খুঁজতে খুঁজতে অনেকে অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন। আপনি হয়তো চিন্তা করছেন, আপনার কপালে চাকরি জুটবে না। আবার অনেকে চাকরি পেলেও করতে চায় না। কারণ কেউ চাকরি করে, কেউবা ব্যবসা করে নিজের ক্যারিয়ার করতে চায়। যারা ব্যবসা করে নিজের ক্যারিয়ার করতে চান,কিন্তু পুঁজি কম, তাদের  জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটা।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

নিজের একটা ব্যবসা থাকুক, এটা সকলেরই স্বপ্ন থাকে। তবে বেশিরভাগ মানুষ তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না, অল্প পুঁজি থাকার কারণে।অনেকে ছোট ব্যবসা করতে চায়,কিন্তু আইডিয়া খুঁজে  পায় না।

তাই আজ আমি আপনাদের এমন কিছু ছোট ব্যবসা সম্পর্কে জানাবো,যেই ব্যবসা করে আপনি নিজের খরচ,এবং পরিবার চালাতে পারবেন। আর এই ব্যবসাতে আপনার পুঁজিও কম লাগবে।

আপনি ছোট ব্যবসা করতে অল্প টাকা আর বড় ব্যবসা করতে বেশি টাকার প্রয়োজন হবে এটাই স্বাভাবিক। অল্প টাকা দিয়ে ব্যবসা করা যায়, এটা শুনলে হয়তো অনেকে অভাক হবেন।কিন্তু অল্প টাকা দিয়ে ব্যবসা করে অনেকে আজ কোটিপ্রতি হয়ে গেছেন। 

এছাড়া আপনি যদি শিক্ষার্থী, চাকরি জীবি

হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি এই স্মার্ট ব্যবসাগুলো করতে পারবেন। আপনার এই ক্ষুদ্র ব্যবসা একদিন অনেক বড় ব্যবসা হয়ে উঠতে পারে। তবে তার জন্য আপনার ধৈর্য, পরিশ্রম কাজের উপর মন থাকতে হবে। তবেই আপনার ছোট ব্যবসাকে বড় করে নিতে পারবেন।নিচে কয়েকটি ছোট ব্যবসা সম্পর্কে বলা হলোঃ

ঘরোয়া খাবার তৈরির ব্যবসাঃ

বর্তমানে খাবার তৈরির ব্যবসা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি যদি শহরের দিকে লক্ষ্য করেন,তাহলে দেখবেন বেশিরভাগ মানুষ কর্মব্যস্থতার কারণে বাহির থেকে খাবার অর্ডার করে। ছোট একটা দোকান নেন।

হোম ডেলিভারি করা হয়, একটা ব্যানার লাগান। ব্যানারে খাবারের মেনু বলুন। যেমনঃ ভিবিন্ন ধরনের পিঠা,সিঙ্গারা-চমুছা,সেমাই, বিরানি ইত্যাদি। শহরাঞ্চলে পিঠার চাহিদা প্রচুর রয়েছে। 

পিঠার চাহিদা বেশি থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে 

বেচেলার মানুষ শহরে বেশি।আর পিঠা পছন্দ করে না এমন মানুষ কমে থাকে। এরকম আরও অনেক রকমের খাবার আছে, আপনি তৈরি করে, হোম ডেলিভারি এবং আপনার দোকানেও বিক্রি করতে পারবেন। 

নার্সারীর ব্যবসাঃ

অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া গুলির মধ্য মধ্য নার্সারির ব্যবসা অন্যতম জনপ্রিয়।বর্তমান শহরের অধিকাংশ মানুষই বাড়ির ছাদে, ফ্ল্যাটে, বারান্দায়, বিভিন্ন জায়গাতে টবে ফুল, গাছ-পালা লাগাতে পছন্দ করে। আর এই গাছগুলো নার্সারি থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। খুব কম মানুষই নার্সারি সাথে জড়িত কিন্তু এর চাহিদা প্রচুর রয়েছে। 

ফুসকার ব্যবসাঃ

ফুচকা খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। কম বেশি সবাই ফুচকা পছন্দ করে। শিক্ষিত তরুণ যারা অন্য ব্যবসা করতে ইতস্তত বোধ করে তারা একটি ছোট দোকান নিয়ে ফুচকার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে স্থায়ী দোকান নিতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনি ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়েও এই ব্যবসা করতে পারবেন। ভ্রাম্যমাণ দোকানকে এমনভাবে সাজাবেন যা মানুষের নজর কাড়ে। আর আপনার ফুচকার স্বাদ যদি অন্যদের তুলনায় একটু ভিন্ন হয় তাহলে আপনার গ্রাহকের সংখ্যাও বেড়ে যাবে।

ফ্লেক্সিলড মোবাইল সরঞ্জামঃ

আপনি যদি অনেক কম টাকায় ব্যবসা করার কথা ভাবছেন তাহলে একটি ছোট্ট মোবাইল রিচার্জ দোকান শুরু করতে পারেন। বর্তমান যুগে মোবাইল বিহীন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ছোট থেকে বয়স্ক মানুষও মোবাইল ব্যবহার করে।

মোবাইল ব্যবহার করলে অবশ্যই রির্চাজ করা লাগবে। মোবাইল রির্চাজের পাশাপাশি বিকাশ,নগদ,রকেট, উপায় রাখতে পারেন। আবার মোবাইল সরঞ্জাম যেমনঃহেডফোন, কাভার,মোবাইল গ্লাস,ব্লুটুথ ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। মোবাইলের ব্যবসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

কোচিং সেন্টার ব্যবসাঃ

কোচিং সেন্টার নাম শুনলেই মানুষ মনে করে পড়াশুনা সম্পর্কিত কোন বিষয়। কিন্তু পড়াশুনা ছাড়াও আপনি অনেক বিষয়ে কোচিং করাতে পারেন।

পড়াশুনা বিষয়ে কোচিং হচ্ছে কমন। এখানে আপনি যদি একবার জনপ্রিয় হতে পারেন তাহলে প্রচুর ছাত্রছাত্রী পাবেন।

পড়াশুনা বাদে আপনি নাচ, গান, কবিতা আবৃতি, খেলাধুলা, শরীর চর্চার বিষয়ে কোচিং সেন্টার খুলতে পারেন।মোট কথ,আপনি যেই জিনিসটার উপর দক্ষ সেটি নিয়ে কোচিং করাতে পারেন।

কসমেটিকস ব্যবসাঃ

অন্য কোন ব্যবসার চেয়ে বাংলাদেশে কসমেটিক্স শপ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত মেয়েরা এই ব্যবসার প্রধান গ্রাহক। এই ব্যবসা থেকে প্রায় ২৮% থেকে ৩০% বা তার বেশি আয় করা যায়। কসমেটিক ব্যবসা বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে রুপচর্চা। আপনি যদি, নিজের দিকে লক্ষ্য করেন।

তাহলে দেখবেন, একটি বডি স্পে,পারফিউম, ফেসওয়াস,সাবান টুথপেষ্ট ইত্যাদি যেকোনো একটি আপনি নিজেই ব্যবহার করেন। রুপচর্চা করে না,এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুসকিল। যদি পুঁজিও কম থাকে তাহলে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারবেন। 

আমাদের দেওয়া আর্টিকেল যদি আপনাদের কাছে ভাল লেগে থাকে তবে এটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আর্টিকেলটা আপনার ভালো না লাগে, তাহলে সময় নষ্ট করার জন্য মাফ করবেন। আল্লাহ হাফেজ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দামী বইটির নাম হলো -আল কুরআন