অফলাইন থেকে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে হলে যে যে বিষয়গুলো জানতে হবে।

বর্তমান সময়ে অনলাইন এবং অফলাইন এই দুই ভাবেই পুণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে অফলাইন ব্যবসা প্রায় বন্ধের দিকে।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আর তাই বুদ্ধিমান ব্যবসায়ীরা অনলাইন ব্যবসার দিকে জোর দিয়েছেন। অল্প কিছু সমস্যা বা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করা শর্তেও সাধারণ ইউজাররাও অনলাইন থেকে পণ্য কেনাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

অনলাইনে কারা ব্যবসা করতেছেন?

যারা আইটি সেক্টরের সাথে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তারা প্রায় সকলেই অনলাইনে ব্যবসা করতেছেন।

ওয়েবসাইট বানিয়ে যেমন সেখানে পণ্যের প্রচারণা চালাচ্ছেন ঠিক একইভাবে ইউটিউব ফেসবুকেও সেগুলোর বিজ্ঞাপন দিয়ে মার্কেটিং করতেছেন।

অনলাইন ব্যবসায় পিছিয়ে পড়তেছেন কারা?

বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে যারা আগের মত করেই অনলাইনে ব্যবসার প্রচারণা চালাচ্ছেন মূলত তারাই অনলাইন ব্যবসায় পিছিয়ে পড়তেছেন। অনলাইন ব্যাবসায় পিছিয়ে পড়ার কিছু কারণ নিচে তুলে ধরা হলো।

  1. নতুন প্লাটফর্মে ইনভেস্ট না করা।
  2. আইটি দক্ষতার অভাব।
  3. নিজের ওয়েবসাইটে কোন দক্ষ ব্যক্তিকে না রাখা।

এছাড়াও আরো অনেক কারনে অনলাইন ব্যবসায় অনেকেই পিছিয়ে পড়তেছেন। বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে যাদের এই বিষয়ে প্রচুর অভিজ্ঞতা নেই তাদের অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই কোন দক্ষ ব্যক্তিকে সাথে নিতে হবে।

অনলাইনে যে সব মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণা চালানো যায়।

ফেসবুক পেজ

অনলাইনে ব্যবসা চালানোর সবচেয়ে প্রথম এবং সহজ ধাপ হচ্ছে একটি সাজানো গোছানো ফেসবুক পেজ খোলা। এবং সেই ফেসবুক পেজে নিয়মিত আপনার পণ্য এবং কোম্পানি সম্বন্ধে আপডেট তথ্য পোস্ট করার।

এবং কেউ যদি সেই পেজে আপনাদেরকে মেসেজ করে সাথে সাথে সেই মেসেজের রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করা। এবং মাঝেমধ্যে আপনার ফেসবুক পেজটি বুস্ট করা।

ইউটিউব চ্যানেল

আপনি যদি আপনার কোম্পানির নাম দিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর দুনিয়ায় আপনি একধাপ গিয়ে থাকলেন।

কারণ বর্তমান যুগের মানুষেরা কোন কিছু সমন্ধে ভিডিওতে ভালোভাবে দেখতে পছন্দ করেন এবং এটা ভালো বোঝেন। আপনি যদি নিয়মিত ইউটিউবে আপনার প্রোডাক্ট গুলো রিভিউ দেন তাহলে সেখান থেকেই প্রচুর পরিমাণে সেল পাবেন।

ওয়েবসাইট

যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে আরো অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আলাদা করে এই ওয়েবসাইট। বর্তমান যুগে যদি আপনার প্রতিষ্ঠানের একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনাদের কোম্পানিটি সবার কাছে আলাদা বলে মনে হবে।

এবং ক্রেতারা ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে অর্ডার দেওয়াতে উৎসাহিত হবেন। এবং বর্তমানে করোনার এই সময় ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এটি অনেক কার্যকর।

এসইও

আপনি যদি আপনার পুণ্য বা সেবাটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করেন তাহলে ক্রেতারা সহজেই ইন্টারনেটে আপনাদেরকে খুঁজে পাবেন।

এবং যেসব ক্রেতারা আপনার পুণ্যটিতে আগ্রহী তারাই আপনার সাইটটি ভিজিট করবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য যা যা জানতে হবে

  1. ফেসবুক মার্কেটিং
  2. ইউটিউব মার্কেটিং
  3. এসইও
  4. ওয়ার্ডপ্রেস
  5. গ্রাফিক্স ডিজাইন
  6. ওয়েব ডিজাইন
  7. কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি।

এইসব কিছু চালাতে হলে অবশ্যই আপনাকে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার, ওয়েব ডিজাইনার,কন্টেন্ট রাইটার এবং আইটি এক্সপার্ট নিয়োগ দিতে হবে।

একটি ব্যবসার শুরুর জন্য এই ধাপগুলো অনেক ব্যয়বহুল তাই এই ধাপের গুরুত্ব গুলো জানা সত্ত্বেও বেশিরভাগই পিছিয়ে পড়েন।

কম খরচে যেভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন?

দুইটি উপায়ে আপনি কম খরচেই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন।

১. ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিকে চুক্তিতে দিয়ে দেওয়া

শুরুতে আপনি চার পাঁচ জন স্টাফ কে নিয়োগ না দিয়ে একটা ভালো এজেন্সিকে চুক্তিতে রেখে দিতে পারেন।

তারা কম খরচেই আপনার সকল কাজ করে দিবে। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যে এজেন্সিকে আপনি রেখেছেন তারা কতটা বিশ্বাসত্ব এবং ওই কাজে কতটা দক্ষ। কারণ অনলাইনে এখন এইসব এজেন্সির অভাব নেই।

২. নিজে শিখে নিয়ে মার্কেটিং করা।

এটি একটি অনেক বড় ধাপ। কারণ এতগুলো বিষয় একসাথে শিখা এবং সেগুলো করা পাশাপাশি ব্যবসা ও কন্টিনিউ করা একটি বিশাল ব্যাপার।

তবে একবার যদি আপনি এগুলো শিখে যেতে পারেন তাহলে আপনার অনেক সুবিধা হবে। ব্যবসার শুরুতে আপনার কাউকে টাকা দিতে হবে না।

এবং পরবর্তীতে ব্যবসা বড় হলে যখন আপনি স্টাফদের রাখবেন তখন তাদের কাজ কেউ ভালোভাবে মনিটরিং করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ সফল হতে হলে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।

ধৈর্য একজন ডিজিটাল হওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধৈর্যশীল হতে হবে। আপনি অনেক টাকা খরচ করে একটি ক্যাম্পেইন তৈরি করলেন এবং সেখান থেকে আপনার লাভ আসলো না। এমন অবস্থায় ধৈর্য হারালে হবে না।

আপনাকে আপনার আইডিয়া চেঞ্জ করতে হবে এবং পুনরায় আবার চেষ্টা করতে হবে। এইভাবে চলতে চলতে একসময় সফলতা পাবেন।

শিখার মানসিকতা আপনি নিজেই ডিজিটাল মার্কেটিং করুন বা কোন স্টাফকে বিয়ে করান আপনাকে সব সময় শিখে যেতে হবে।

এতে আপনি স্টাফদের কাজকে ভালোভাবে মনেটরিং করতে পারবেন এবং নিজের জ্ঞানকে বৃদ্ধি করতে পারবেন। এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
MD. HAFIZUR RAHMAN - Feb 23, 2023, 10:06 AM - Add Reply

Nice article

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

"ভালোবাসার বার্তাগুলো অনেক সময় খুব সংক্ষিপ্ত ও সহজ হতে পারে। কিন্তু এর প্রতিধ্বনী সুদূর প্রসারিত।"