বিদ্যুৎ কিভাবে এলো কখনও কি ভেবেছেন ? টমাস আলভা এডিশন এবং নিকোলা টেসলার অস্বাধারন আবিস্কার

বর্তমান দুনিয়ায় হয়ত এমন কোথাও খুজে পাওয়া যাবে না। যেখানে,  বৈদ্যুতিক বাতির দেখা মিলে ন। সুইচ টিপলে জ্বলে আলো। কিন্তু সেটা মূল বিষয় নয়, মূল বিষয় কিভাবে আমাদের ঘর প্রযন্ত আসেছে এই আলো জ্বলার পর্যপ্ত বিদ্যুৎ। আজ সে বিষয় নিয়েই কিছু লিখছি দয়া করে শেষ প্রযন্ত পড়ুন।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

বিদ্যুৎ নিয়ে কিছু বলতে গেলে সর্বপ্রথম চলে আসবে দুই বিদ্যুৎ গুরুর কথা;

একজন টমাস আলভা এডিশন এবং অন্য জন হলো নিকোলা টেসলা।

বিজ্ঞানি টমাস আলভা এডিশন প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করেছিলেন।শোনা যায় তিনি প্রায় এক হাজার বার চেষ্টা করে আবিষ্কার করেছিলেন প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি। কিন্তু তার তৈরি বাতি ছিল ডিসি বিদ্যুৎ  দ্বারা পরিচালিত বাতি। অল্প সময়ের মধ্যেই তার তৈরি হয় বিশাল প্রতিষ্ঠান। খুব ভালোই চলছিল তার ব্যাবসা।

ডিসি কারেন্ট ব্যবহারে বেশকিছু ঝামেলা থেকেই যায়। যেমন; ডিসি কারেন্ট খুব দূর দূরত্বে প্রেরন করা যায় না। প্রচুর পাওয়ার লস হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।

তাই এ বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করে বিজ্ঞানি নিকোলা টেসলা। তৈরি করে এসি কারেন্ট।চলে আসে এক বিশাল মাইল ফলক। তিনি আবিষ্কার করেন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার। হ্যা ঐ ট্রান্সফরমার যা আমরা বৈদ্যাুতিক পোলের উপর দেখতে পাই। এই ট্রান্সফরমার ই আসল আলাদিলের প্রদিপ যার মাধ্যমে মূহূর্তেই লক্ষ লক্ষ ভোল্টেজ উৎপাদন করে হাজার হাজার মাইল দূরত্বে প্রেরন করা যায়।

তিনি আবিষ্কার করলেন বেদ্যুতিক বাতি যা এসি কারেন্ট দিয়ে ব্যবহার করা যাবে।তিনি এমন যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন স্বাভাবিক মানুষের চিন্তার বাইরে। তিনি যা তিন্তা করতেন তাই আবিষ্কার করতেন। যখন নিকোলা টেসলার ব্যবসা বড় হতে লাগল তখন টমাস আলভা এডিসনের ব্যয়সায় লস শুরু হয়। আস্তে আস্তে টমাস আলভা এডিসনের ব্যবসায় দেউলিয়া হয়ে যায়।

আসুন এবার বিবরন করা যাক কিভাবে আমাদের বাসা বাড়ি প্রযন্ত পৌছায় আমাদের অতি প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ। সর্বপ্রথম কোন জেনারেশন কোম্পানি থেকে আবিষ্কার হয় বৈদ্যুতিক পাওয়ার। জেনারেশন ভোল্টেজ  থাকে প্রায় এগারো হাজার ভোল্ট প্রযন্ত।

এরপর এই জেনারেশনকৃত ভোল্টজ যার স্টেপ আপ ট্রান্সফরমারে সেখান থেকে ট্রান্সমিশন ভোল্টজ উৎপাদন করে। বাংলাদেশের ট্রান্সমিসন ভোল্টেজ হলো প্রায় ৩২,৬৬,১৩২,২৫৬ কেভি ইত্যাদি। এর পর ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয় দূরত্বে।

প্রয়োজনীয় অঞ্চলের সাবস্টেসনে বসানো হয় স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার। সেটার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ভোল্টজ কে এগারো হাজার ও চারশত চল্লিশ ভোল্টজে রুপান্তর করে। এরপর পোলের উপর যে জগের তো কিছু একটা দেখা যায় ওটার মাধ্যমে ২২০ ভোল্টজে রুপান্তর করে বাসা বাড়ির  সপ্লাই দেয়া হয়।

এভাবেই পৌছায় আমাদের বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ