ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়।

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয় একটি পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা সত্য যে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে এবং সামনে আরো অনেক বদলে যাবে।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

এখন ডিজিটাল যুগ এবং সকল কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে করে থাকে।

ডিজিটাল সময়ে এখন যদি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান না থাকে তাহলে সত্যই আশ্চর্যজনক কথা। তাই আপনাকে এটি অবশ্যই জানতে হবে। বাংলাতে একটি প্রবাদ রয়েছে যে প্রচারে প্রসার।

আপনি যদি আপনার  প্রোডাক্টের প্রচার না করেন তাহলে আপনাকে ব্যবসাক্ষেত্রে হাত গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া আর উপায় নেই। তাই আপনাকে এটি জানা অবশ্যই জরুরি।

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু তথ্য।

১. 2020 সালের পর 90 পারসেন্ট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে শুরু হয়েছে।  আর এটা আপনারা নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছেন।

করোনাকালে মানুষ অনলাইনে বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম চালিয়েছেন।

২. এখন ঐ শুরু না করলে অ্যামাজন আলিবাবা যদি বাংলাদেশে এসে পড়ে তাহলে আমাদেরকে মার্কেটে টিকে থাকা অসম্ভব করে দিবে।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং সম্বন্ধে জ্ঞান থাকলে আপনি ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং আয় করতে পারবেন।

৪. ডিজিটাল মার্কেটিং বিশাল বড় একটি জায়গা চাইলে এটি আপনি পেশা হিসেবে নিতে পারেন।

৫. ডিজিটাল মার্কেটিং কে আপনি পেশা হিসেবে নিতে বা ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে না চাইলে এ বিষয়ে আপনার সামান্য হলেও জ্ঞান থাকতে হবে।

না হলে আপনি বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণার শিকার হবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি।

কোন একটি কোম্পানি খোলার পর সবার সাথে কোম্পানির কথা অর্থাৎ মানুষকে বিভিন্নভাবে বলে প্রচার করেন আর এই কাজটি যখন খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে করা হয়।

তখন তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয় এক কথায় অনলাইনের মাধ্যমে কোনো কিছু প্রচার করার নামই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়।

যেমন ফেসবুক টুইটার ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি তবে বলে রাখি মানুষ যেহেতু এখন বেশিরভাগ মানুষ সময় ফেসবুকে দেয়। তাইএর মাধ্যমে  মার্কেটিং একটি বেশ বড় জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ও লাভজনক।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে যা রয়েছে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে অনেক বিষয় রয়েছে। যা জানা অবশ্যই প্রয়োজন। নিচে দেওয়া হল।

১। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

২। গুগোল মারকটিং

৩। ইয়াহু মার্কেটিং

৪। ইমেইল মার্কেটিং

৫। এসএমএস মার্কেটিং

৬। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

৭। মোবাইল মার্কেটিং

৮। সিপিএ মার্কেটিং

৯। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

১০।লিড জেনারেশন

এছাড়াও আরও অনেক রয়েছে। তার মধ্যে আমি গুরুত্বপূর্ণ দশটি লিংক দিয়ে রাখলাম।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর নাবিধ সুবিধা রয়েছে।ধরুন আপনার কোন একটি পণ্যের ব্যবসা রয়েছে।

এখন আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হচ্ছে না অথবা চাচ্ছেন আপনার প্রোডাক্ট বেশি বিক্রি এক্ষেত্রে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং অবলম্বন করে খুব সহজে ঘরে বসেই আপনার পণ্যটি বিক্রি করে দিতে পারবেন।

এবং সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোথায় শিখবো।

এ বিষয়ে আমি কোন রকমের সোজা উত্তর দিতে পারব না। কারণ এরকম অনেক আইটি কোম্পানি রয়েছে যারা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নিয়ে ভালো মত কাজ শিখায় না। অর্থাৎ প্রতারণার শিকার করায়।

এখন আপনি মনে করছেন তাহলে কিভাবে শিখব এর আরেকটি সোজা উত্তর হল আপনি গুগলে সার্চ দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জেনে ও বুঝে নিতে পারেন।

এছাড়াও রয়েছে ইউটিউব যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভিডিও দেখে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবেন।

আর যদি আপনার পরিচিত কোন আইটি কোম্পানি থাকে তাহলে আপনি সেখানে ভর্তি হতে পারেন।

তবে সেটা যাতে উন্নত মানের হয়। এবং প্রতারণার শিকার হতে না হয় তবে ভর্তি হতে পারো।

কিভাবে আয় করা যায়।

অনলাইন বা অফলাইনে দুটোকে কাজে লাগিয় টাকা ইনকাম করা যায় এছাড়াও আরও অনেক বন্ধ রয়েছে।

মানুষ বিভিন্ন রকম কাজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করছে মোটকথা অনলাইনে এমন কোন কাজ নেই যা হওয়ার কারণে শুধুমাত্র এখানে দক্ষতা থাকতে হবে।

আপনার যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা থাকলে সেটা ভিত্তিতে কাজ করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন।

অনলাইনে আয় করার উপায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করা জন্য আপনাকে খুব ভালকরে যে কোন একটি বিষয়ে জানতে হবে। আপনি যখন পুরোপুরি এক্সপার্ট  হয়ে যাবেন তখন আপনি আপনার পছন্দমত একটি মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করবেন।

সেটি হতে পারে  ফাইবারঅথবা আপকওর্য়াক কন আপকওর্য়াক   প্রথমেযে কোনো একটাতে একাউন্ট করবেন।তারপর একটি গিগ সেট করবেন। হতে পারে সেটি ফেসবুক মার্কেটিং।

আর এর মধ্যে উল্লেখ থাকবে যে কোন কাজে ডেলিভারির জন্য আপনার কত চার্জ নিবেন। আপনাকে প্রথমে সুন্দর করে গিগ গুলেো সাজাতে হবে। এভাবে চার থেকে পাঁচটি গিগ তৈরি করে নিতে হবে।

নতুন অবস্থায় অনলাইন মার্কেটে কাজ পেতে একটু অসুবিধা হতে পারে। বা দেরি হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি বিড করে কাজ নিবেন।

তারপর আপনি যখন আস্তে আস্তে ভালোভাবে কয়েকটি কাজ ক্লায়েন্টকে ডেলিভারি দিতে পারবেন এবং ফাইভস্টারপাবেন তখন আপনার গিফটি মার্কেটপ্লেসে রেঙ্ক হতে থাকবে।

আর আপনি যত রেঙ্ক পাবেন কাজের পরিমাণ ততই বৃদ্ধি পাবে। এবং আপনার অনলাইন ইনকাম টও অনেক বেশি পরিমাণে হতে থাকবে।

পরিশেষে,

ওপরে শুধু হালকা করে বোঝালাম যে ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করা সম্ভব আরেকটি অনেক জনপ্রিয় হাজার হাজার মানুষ তা করছে এবং হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে।

অতএব শুধুমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।আর  এটার আরো অনেক বিস্তারিত জানতে দয়াকরে সার্চ করুন গুগলে। ধন্যবাদ। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ