নতুন কম্পিউটার কিনার পর কোন কোন সফ্টার ব্যবহার করতে হবে।

নতুন কম্পিউটার কিনার পর কোন কোন সফ্টার ব্যবহার করতে হবে বা প্রয়োজন হবে তার উপর ভিত্ত করে।যদিও সব কিছু একটি পাঠের মধ্যে অন্তরভুক্ত করা সম্ভব নয়, তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যাপসের ব্যাপারে বলা হবে।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

১. এন্টিভাইরাস অ্যাপ

আপনি যদি কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তবে আপনাকে অবশ্যই একটি এন্টিভাইরাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। কারণ, বেশিরভাগ ভাইরাস ইন্টানেটের মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রবেশ করে থাকে।

কম্পিউটারে যদি একবার ভাইরাস আক্রমণ করে তাহলে, আপনার কম্পিউটার নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে, আপনার গুরুত্ব পূর্ণ ফাইল নষ্ট করে ফেলতে পারে। এমনকি কম্পিউটার হ্যাকের শিকার হতে পারে। অতএব আপনাকে এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য একটি এন্টিভাইরাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।

এন্টিভাইরাস অ্যাপ ২ ধরণের হয়ে থাকে। যথা:

ক. পেইড এন্টিভাইরাস অ্যাপ

খ. ফ্রি এন্টিভাইরাস অ্যাপ

২. ক্রোম ব্রাউজার

আপনি হয়তো অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের কাজ করে থাকবেন, এর জন্য প্রয়োজন পড়বে বিভিন্ন রকমের অ্যাপ। এর সংখ্যা নিশ্চয় অনেক হবে। ফলশ্রুতিতে দেখা যাবে যে, কম্পিউটারের হার্ডিক্সে প্রচুর জায়গা দখল করে আছে। এতে কম্পিউটার স্লো হয়ে যাবে।

এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি মাত্র অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, আর তা হলো ক্রোম ব্রাউজার। ক্রোমে কি না আছে, গুগল থেকে শুরু করে ফেসবুক, ইমেইল, ইনস্ট্রাগ্রাম, গুগল ট্রান্সলেট ইত্যাদি যাবতীয় সব কিছুই রয়েছে।

৩. অইনরার (WinRaR)

অইনরার হচ্ছে কোনো ফাইল বা অ্যাপ জিপ (Zip)  থেকে আনজিপ (Unzip)  অথবা রার (Rar) থেকে আনরার (UnRar) করার জন্য ব্যবহার করা হয়। অনলাইনে যত অ্যাপ বা ফাইল থাকে সব জিপ বা রার করে রাখা হয়।

এরফলে এতে কোনো প্রকার ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে না। আবার কোনো এন্টি ভাইরাসও প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ফাইল বা অ্যাপ সুরক্ষিত থাকে।

আপনি যদি কোনো অ্যাপ অনলাইন থেকে ডাউনলোড করেন তাহলে সেই অ্যাপ রার বা জিপ করা থাকে। ডাউনলোড করার পর সেই অ্যাপ সরাসরি পিসিতে ইনস্টল করতে পারবেন না। কারণ, জিপ ফাইল বা রার ফাইল বা অ্যাপ ইনস্টল করা যায় না।

এরজন্য আপনার পিসিতে অইনরার অ্যাপটি ব্যবহার করুন ।

৪. মাইক্রসফ্ট অফিস

আপনার যদি লেখা-লেখি করা, গণিত, বিভিন্ন বিষয়ের উপর হিসাব রাখার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি মাইক্রোসফ্ট অফিস ব্যবহার করুন। এরমধ্যে অনেক ফিচার রয়েছে। তারমধ্যে ৪ অন্যতম।

ক. মাক্রোসফ্ট ওয়ার্ড

খ. মাইক্রোসফ্ট এক্সেল

গ. মাইক্রোসফ্ট অ্যাকসেস

ঘ. পাওয়ার পইন্ট

মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড-এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরণের লেখা-লেখি করতে পারবেন। গল্প, উপন্যাস, কবিতা থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ কাজ লিখে রাখতে পারবেন।

মাইক্রোসফ্ট এক্সেল-এর মাধ্যমে আপনি ব্যবসা থেকে শুরু করে, যাবতীয় সমস্ত ধরণের গানিতিক হিসেব নিকেশ করতে পারবেন।

মাইক্রোসফ্ট অ্যাকসেস-এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ডকুমেন্ট সেভ করে রাখতে পারবেন। যেমন: আপনার কম্পানিতে কতজন ইমপ্লোয়ি আছে, তাদের পরিচয়, বেতন ইত্যাদি সব কিছু লিখে রাখতে পারবেন।

পাওয়ার পইন্টের মাধ্যমে আপনি আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, কাজের ধরণ ইত্যাদি একটি প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারবেন।

৫. বিজয় বায়ান্নো

আপনি নিশ্চয় বাংলায় লিখতে পছন্দ করেন বা বাংলায় লেখায় প্রয়োজন পড়বে, তাহলে আপনি বিজয় বায়ান্নো অ্যাপটি ব্যবহার করবেন।

কারণ, এটি ব্যবহার করে লেখার কাজ খুবই সহজ। তাছাড়া বাংলাদেশে সরকারী অফিস থেকে শুরু করে বেসরকারী সমস্ত কম্পানি গুলোতে বিজয় বায়ান্নো অ্যাপ ব্যবহার করে লেখার কাজ করা হয়।

আপনি যদি অভ্র বা অন্য কোনো অ্যাপ ব্যবহার করার কথা চিন্তা করেন তাহলে সেই চিন্তা মাথায় থেকে ঝেড়ে ফেলুন। কারণ সব ক্ষেত্রেই বিজয় বায়ান্নো অ্যাপ ব্যবহার করা হয়।

আপনি যদি কম্পিউটার অপারেটর পদে জব করতে চান তাহলে আপনার বিজয় বায়ান্নো দিয়ে লেখার এক্সপেরিয়েন্ট থাকতে হবে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ