ক্লাউড কম্পিউটিং কি? কিভাবে কাজ করে। [বিস্তারিত এখানে]

বন্ধুরা আমরা আজ আলোচনা করব ক্লাউড কম্পিউটার নিয়ে। বর্তমানে খুব জনপ্রিয়  কমিউনিকেশন  হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটার  এখন জানা যাক ক্লাউড কম্পিউটার জিনিসটি কি? 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

ধরো তোমার মোবাইল তোমার কম্পিউটার   সবকিছুর যে ডেটাটা  কালেক্ট করছ বা স্টোর করেছ  সেটি সাধারনত কোথায় স্টোর হয়?  মোবাইলের ক্ষেত্রে তোমার মেমোরি কার্ডে। সেরকম  কম্পিউটার  এর ক্ষেত্রে হার্ডিস্ক এ তাছাড়াও  কম্পিউটার এর ক্ষেত্রে এক্সটারনাল মেমোরি ব্যবহার করা যায়। 

কিম্তু ক্লাউড কম্পিউটিং এর ধারণা অনুযায়ী  ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ক্লউডে  স্টোর করব।  বমরা একটু লক্ষ করলেই দেখতে পারবো  আমরা যে গুগল একাউন্ট গুলো ব্যবহার করি  সেখানে আমরা গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করছি,  জি মেইল ব্যবহার করছি  তারপর গুগল  ফটোজ ব্যবহার করছি,  এই সমস্ত জিনিস পত্র গুলো আমরা ব্যবহার করছি  সেগুলো তথ্য গুলো আমাদের মোবাইল  কিংবা আমাদের কম্পিউটার  কোনোটাতেই থাকে না।  সেটি সরাসরি গুগলের একটি  স্টোরেজ সিস্টেমে থাকে। 

ক্লাউড কম্পিউটিং কি?

ক্লাউড কম্পিউটিং  ক্লাউড মানে কি?  ক্লাউড মানে হলো মেঘ ব্আপনাদের এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে মেঘের সাথে আবার কম্পিউটার  এর সম্পর্ক কি? বলোতো মেঘ কি দিয়ে সৃষ্টি হয়?  হ্যা মেঘ সৃষ্টি হয় অনেক অনেক বিন্দু  পানির ফোটা দিয়ে তৈরি হয়।

এখন মেঘ আর কম্পিউটার  এর সম্পর্ক  এই জায়গায় যে   অনেক অনেক  কম্পিউটার  যখন পানিকনার মতো একত্রিত হয়ে সৃষ্টি করে  যে জিনিসটি সেটাই হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।  ক্লাউড কম্পিউটিং  হলো  এমন এক সিস্টেম  র‍্যেটার দ্বারা আপনি যত অর্থ খরচ করবেন  ততই আপনার  সার্ভিস তারা দিয়ে থাকবে।

তুমি যদি ৫ টাকার সেবা কেনো তাহলে তুমি ৫ টাকরই সেবা পাবা, তুমি যদি  ৫০০০ টাকার সেবা কেনো তখন তোমাকে ৫০০০ টাকারই সেবা তার দিয়ে থাকবেন।

সেই স্টোরেজ ম্যানেজ মেন্ট টাই হলো ক্লাউডিং।

এখন প্রশ্ন, এটা কিভাবে করে? 

বিভিন্ন ধরনের ক্লাউড রয়েছে পৃথিবীতে যেমনঃ গুগলের জন্য রয়েছে, অ্যমাজনের জন্য রয়েছে,  মাইক্রোসফট এর জন্য রয়েছে  এগুলো বিভিন্ন ক্লাউড কম্পিউটিং  এর  কোম্পানি  রয়েছে। এটা তাদের কোম্পানি  প্রদত্ত হয়ে থাকে

ধরো তোমার একটি কম্পিউটার  এর হার্ডিস্ক রয়েছে, সেই কম্পিউটার  এর হার্ডিস্ক সাধারনত কত হয়?

ধরো ১ টেরাবাইট  মানে, ১ হাজার ২৪ গিগাবাইট এ  সাধারনত ১ টেরাবাইট হয়ে থাকে।  এখন ধরো তুমি গেমও খেলো, গানও শোনে,  মুভি দেখো সব কিছু ডাউনলোড করো। ডাউনলোড করতে করতে এমন হলো,  তোমার  প্রয়োজনীয় তথ্য, এগুলো ১ টেরাবাইট থেকে  ক্রস করে বেশি মেমোরির তোমার প্রয়োজম হচ্ছে এখন তুমি কি করবা?? 

তে তখন তোমার অবশ্যই অবশ্যই  অনলাইন কিংবা,  কোনো ক্লাউডের হেল্প নিতে হবে।  সেক্ষেত্রে যে জিনিসটি হয়, ধরো তোমার গুগলের কথাই বলি, গুগলে একটি আলাদা স্টোর ভাড়া দেওয়ার ব্যবসৃথা রয়েছে ।  সহজ কথায় যদি আমি বলি  স্টোর টা যেটা আমরা শেয়ার করছি

এবং আমরা জানিও না যে কোথায় এই মেমোরি বা এই তথ্য গুলি  স্টোর হচ্ছে  তো  এই ভাবে আমরা ডটাগুলো সবগুলো ডেটে আমরা রাখতে পারছি। 

তো এগিলো বিষয় থেকেই ক্লাউড কম্পিউটার এর ধারনাটি এসে থাকে।   এবার (এন এ এস টি)  ন্যাচারাল   ইন্সটিটিউট অফ  স্ট্যান্ডারড এনড টেস্টি এই অনুসারে  ক্লাউড কম্পিউটিং  এর তিনটি উপাদান থাকতে হবে যথা;

  1. রিসোর্স স্কেবেলিটি। 

  2. অন ডিমান্ড। 

  3. প্লে এজ ইউ গো। 

রিসোর্স স্কেবিলিটিঃ 

রিসোর্স  স্কেবিলিটি বলতে বুঝায়  ছোট হোক বড় হোক আমাকে এই সেবাটি দিতে হবে।  যেমন আমি ১ জওবির একটা ফাইল  ক্লাউডে রাখতে চাচ্ছি। এই জন্্য আমি সেবা পাবো  ২ কিলো বাইট এর একটা ফাইল আমি অনলাইনে রাখতে চাচ্ছি সেক্ষেত্রে আমি  আমি সৃটোর পাবো।  

অর্থাৎ  আমি  যেকোনো সাইজের জন্য যেকোনো সেবার জন্যই আমাকে এই সেবা দিতে হবে। 

অল ডিমান্ডঃ অল ডিমান্ড মানে বুঝায় আমি যখনই সেবা চাবো না কোনো সাহাজ্য চাবে তখনই পাবো।  ধরো আৃি রাত ৩ টা বাজলেও আমি সেবাটি পাবো  সকাল  ১০ টা কিংবা অন্যন্য সময়,  বা যেকোনো সময়ে  আমাকে সেবা দিতে রাজও থাকতে হবে বা প্রসেস  থাকতে হবে। 

পে এজ ইউ গোঃ পে এজ ইউ গে বলতে আমরা বুঝি  তোমার আগে থেকে কোনো স্টোরেজ আগে থেকে ভাড়াও নিতে হবে না  আগে থেকেকোনে ধরনের পেও করতে হবে না, বা কোনো টাকাও দিতে হবে না।   মানে যখন সেবাটি চাবো এবং সেবাটি পাবো তখন থেকে  এবং যতকণ   পর্যন্ত এই সেবার আওতায়   আমার থাকবো ততক্ষন পর্যন্তই আমাদের  বিল দিতে হবে।  

ধরো আমি একটা ডাটা ক্লাউডে রাখতে চাই,  এবং আমি তথ্যটি সেখানে আপলোড বা সেভ করলাম। ১০ঃ০১ মিমিটে  আমি ক্লাউডে ঢুকলাম এবং প্রয়োজনীয় তথ্যটি সেখানে সেভ করলাম।

আমি যখন বের হবো   তখন ধরো  ১০ঃ১০ বাজে ,অর্থ্যাৎ মাঝখানে যে আমি  ছি লাম  এই  ক্লাউডে  আমার বিল পরিশোধ করতে হবে।  এছাড়া আমাকে এক্সট্রা  কোরৃস ভারাও নিতে হবে না  কিংবা আগের থেকে কোনো  ঝামেলাও পোহাতে হবে না। 

এতক্ষন আৃরা জানলাম এন  আই এস টি  অনুসারে  ক্লাউডের বৈশিষ্ট্য। এখন আমরা জানবো সার্ভিস অনুযায়ী  ক্লাউডের বৈশিষ্ট্য - 

  1. আই ই ই এস 
  2. পি এ এ এস 
  3. এস এ এ এস

আই ই ই এসঃ  ইনফ্রাাসট্রাকচার বলতে বুঝায়  আৃরা যে একটা স্টের নিচ্ছি। স্টোর বলতে আমরা কি বুঝাই?  র‍্যেমন ধরো  এইরকম একটা সার্ভার  যেটা আমরা ভারা নিচ্ছি  একে আমরা বলি ইনফ্রাসট্রাকচার বুঝায়। 

আমাকে যেই সুবিধাটা দিচ্ছে এটা আই এ এস এর আন্ডারে পরে।  মেইনলি একে বলে অবকাঠামো ,  আমরা যে অবকাঠামো টা ভাড়া  নিচ্ছি সেটাই হচ্ছে ইনফ্রাসর্রাকচার।  আশা করি বুঝাইতে পেরেছি।

পি ই এসঃ একে বলে প্লাটফর্ম  এজ এ সার্ভিস। মনে করেন আমরা একটা সার্ভার  ভাড়া নিলাম ,এখন কি করব?

নিশ্চয়ই  কিছু ডাটাবেজ দরকার, আবার কিছু প্রসেসিং ইউনিট  দরকার সেগুলো সব আমরা প্লাটফর্ম  মেসেজ সার্ভিসে আমরা পাবো। 

এস এএ এসঃ সফটওয়্যার এজ এ সার্ভিস নিয়ে সফটওয়্যার এজ এ সার্ভিস  হলো ; ত্আমরা যখন বিভিন্ন ক্লাউডে কাজ করব  তখন বিভিন্ন সফটওয়্যার  এর সাহায্য নিতেই পারি। আমরা নিতে পারি যেমন  গুগল ড্রাইভ এটার মাধ্যমেই আমরা কম্পিউটার  ক্লাউড এ যোগ হতে বা এড হতে পারি।

সুতরাং আমরা এখানে যে সফটওয়্যার  টি পাবো  সেটি হচ্ছে সফটওয়্যার এজ এ সার্ভিস।  যে সমস্ত সফটওয়্যার  আমাদের কাংখিত  কাজে  ব্যবহার হচ্ছে সেটিই হচ্ছে সফটওয়্যার  এজ এ সার্ভিস। 

আমরা এখন একটা অংক দেখব যেটা দ্বারা  ডেটা ট্রানস পারিং সিস্টেম  ব্যবহার করতে  পারেনঃ 

মনে করেন একটি মডেম  এর স্পিড হলো ৫২ হাজার বিটস/সেকেন্ড কাজ করে বা ট্রানসফার করে  তাহলে ওই মডেমটি ১.৫ মেগাওয়াট  এর একটি ফাইল আসতে  বা ট্রান্সফার হতে কত সময় কাগবে? 

চ্তে চলুন অংক টা দেখে আসি -

প্রথমে ১.৫ মেগা বাইটকে বাইটে রুপান্তর করতে হবে।  রুপান্তর করতে দেখা যায় এটি বাইট এ রুপান্তর হয়। এবং এই বাইট থেকে বিটে রুপান্তর করতে হবে। এখন বাইটে রুপান্তর  করলে যেটা হবে সেটা হলো ৮ বিট সমান ১বাইট তাহলে দেখা যায় যে বিট চলে আসলো।

তারপরে আমাদেরকে যেটা করতে হবে সেটা হলো ঐকিক নিয়ম,  ঐকওক নিয়ম করলে দেখা যায় যে,  ৫২০০০ বিট দেয় ১ সেকেন্ড ১বিট দেয় ৷   ১÷৫২০০০ এত বিট দিয়ে দিলই উত্তর বের হশে আসবে। 

তো এইভাবে  আমরা ক্লাউড কম্পিউটিং  এর জটিলতা হলে খুব সহজেই গনিত কষে বা অংক কষে সমস্যার সমাধান করতে পারব। 

ক্লাউড কম্পিউটিং  এর প্রয়োজনিয়তা নিয়েঃ 

ক্লাউড কম্পিউটিং  এর ব্যবস্থা যদি না থাকত তাহলে আমাদের কঠিন সমস্যায় পড়তে হতো কারন আমরা যখন গুরুত্বপূর্ণ  বা অফিশিয়াল কাজ করতাম তখন স্টোটেজ শেষ হয়ে যেত এবং পরে নানান ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে আমাদেরকে ।

যেমন স্টোরেজ আবার নতুন করে খালি করতে হতো যতই সেটা প্রয়েজনিয় হোক কেন?  তখন কোনে উপায় ই ছিল না পরে বাধ্য হয়ে অনেক কষ্ট করে  কাজ করতে হতো।

আজ আর এখন আমাদের কাছে ক্লাউড কম্পিউটিং  এর সিস্টেম  রয়েছে আর যেই কারণে  সেই সমস্যা সৃষ্টি হয় না  বর আমরা আরামসে কাজ বাজ করতে পারি। অনলাইন দুনিয়ায়  আমাদের বিভিন্ন সমাস্যার সমাধান করতে বেশি প্যারা নিতে হবে না।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ