বিটকয়েন কি? কিভাবে বিটকয়েন থেকে আয় করা যায়।

আস্সালামু আলাইকুম, প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আবারও আমি হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের সামনে নতুন আরও একটি পোষ্ট নিয়ে। আজকের এই পোষ্টটে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব বিট কয়েন কি?  কিভাবে বিটকয়েন থেকে আয় করা যায়।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

ত আশা করছি আমার আজকের পোষ্টটি যদি আপনারা সবাই মনোযোগ সহকারে ভালো ভাবে শেষ পর্যন্ত পড়েন তবে ইনশা আল্লাহ আপনারা সবাই অনেক উপকৃত হবেন। ত চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে শুরু করে দেই আমাদের আজকের আলোচনা।

১/ বিটকয়েন কি?

বিট কয়েন দিয়ে আয় করা যায় কথাটি এখন সবাই জানেন। আপনি ও হয়তো এতক্ষনে কথাটি জেনে গেছেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম হলো বিটকয়েন। আজ থেকে মাত্র ১০ বছর আগে চালু হওয়া বিট কয়েন বর্তমানে মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে।

যারা ঘরে বসে আয় করতে চান তাদের জন্য বিটকয়েন দিয়ে আয় করা হতে পারে সেরা মাধ্যম।

২/  বিটকয়েন দিয়ে আয়।

বিট কয়েন হলো এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি আসলে কি?  --- ত সহজ ভাষায় বলতে গেলে ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো এক ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রা।

তবে এই মুদ্রার বাস্তব কোন রুপ নেই, এটি শুধু অনলাইনে লেনদেনের কাজে ব্যবহার করা যায়।অথাৎ ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্স আপনার পকেটে না রেখেই অনলাইনে আপনি লেনদেন করতে পারবেন।

৩/ বিটকয়েন থেকে আয় করার পূর্ব করনীয়।বিটকয়েন দিয়ে আয়।

ত এখন চলুন দেখে নেই বিটকয়েন থেকে আয় করার পূর্বে আমাদের করনীয় কিকি। বিটকয়েন থেকে আয় করার বেপারে আগে সর্ম্পূণ জ্ঞান অর্জন করোন।বিটকয়েন থেকে আয় করা পূর্বে ভবিষ্যতের ঝুঁকি এবং লাভের কথা পরিকল্পনা করোন।

মূলধন না থাকলে প্রথমে মাক্রো জবের মতো ছোট খাটো কাজ দিয়ে প্রথমে ধারনা করে নিন।বিটকয়েন থেকে আগে যারা আয় করেছেন প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে ধারনা নিন।৪/ বিট কয়েন দিয়ে আয় করার উপায়। বিটকয়েন দিয়ে আয়।

বর্তমানে বিটকয়েন দিয়ে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে।তার মধ্য থেকে যেকোন একটি উপায় অভলম্বন করেই আপনারা ঘরে বসে বিটকয়েন থেকে আয় করতে পারবেন।

তবে বিটকয়েন থেকে আয় করার জন্য বিটকয়েন থেকে আয় করার সর্স্পষ্ট কিছু উপায় আপনাদের জানতে হবে। আর এই পোষ্টে আমি আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করব বিটকয়েন থেকে আয় করার উপায় গুলো।

ত চলুন বন্ধুরা এখন দেখে নেই বিটকয়েন থেকে আয় করার উপায় গুলো।

বিট কয়েন ট্রেডিং। মাইনিং করে বিট কয়েন থেকে আয়। শেয়ার বাজার করে বিটকয়েন থেকে আয়।বিট কয়েন লেখক।মাক্রো জব করে বিট কয়েন থেকে আয়।বিভিন্ন ওয়েবসাইট দিয়ে বিটকয়েন থেকে আয়।মোবাইল  এপস দিয়ে বিট কয়েন থেকে আয়।

৪/ বিটকয়েন দিয়ে আয়।

ক) বিট কয়েন ট্রেডিং।

বিটকয়েন থেকে আয় করার সবচেয়ে ভলো উপায় হলো বিটকয়েন ট্রেডিং। বিটকয়েন ট্রেডিং  এর মানে হলো, আপনি কম দামে বিটকয়েন ক্রয় করে নিজের কাছে রাখবেন।

এবং পরবর্তিতে যখন বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধি পাবে তখন আপনি সে গুলো বেশি দামে বিক্রি করে দেবেন।

তবে বিটকয়েন ট্রেডিং করে আয় করার জন্য আপনার বিটকয়েন মার্কেট সর্ম্পকে ভালো ধারনা থাকতে হবে।

যারা অভিজ্ঞ আছেন তাদের জন্য এটি হতে পারে টাকা আয়ের সেরা মাধ্যম। কারন ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট খুব কঠিন হওয়ায় নতুন এবং অনঅভিজ্ঞ দের জন্য এটি বেশ কঠিন হবে।

* বিটকয়েন ট্রেডিং করে আয় করার সেরা কিছু ওয়েবসাইট নিচে দেওয়া হলো :-

কয়েন বেস।বিটরেক্স।ক্রাকেন।লুনো।বিট স্টাম্প।

খ) মাইনিং করে বিট কয়েন থেকে আয়।বিটকয়েন দিয়ে আয়।

প্রফেশনালি যারা বিটকয়েন দিয়ে লেনদেন করেন তারা  মূলত বিটকয়েন মাইনিং থেকেই আয় করে থাকেন।তবে এই প্রদ্ধতিকে বিটকয়েন আয় না বলে বিটকয়েন উৎপাদক বলাই ভালো।

কারন বিটকয়েন মাইনিং হলো কম্পিউটার গ্রাফিক্সকে কাজে লাগিয়ে বিটকয়েন তৈরি করা। প্রফেশনালি যারা বিটকয়েন বিজনেস করেন তারা মূলত বিটকয়েন মাইনিং দিয়ে বিটকয়েন তৈরি করে তা অনলাইনে বিক্রি করেন।

গ) শেয়ার বাজার করে বিটকয়েন থেকে আয়।

বর্তমানে অনলাইন মার্কেটে বিটকয়েনের ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, যারা ফলে এখন শেয়ার বাজারে বিটকয়েনের প্রভাব উর্ধ্বমূখি । বর্তমানে এমন অনেকেই আছেন যারা টাকা বা ডলারের বদলে বিটকয়েন ব্যবহার করে থাকেন।

আপনিও চাইলে বিটকয়েন বিনিয়োগ করতে পারবেন। কারন বিটকয়েন বিনিয়োগে ঝুঁকি কম এবং বিটকয়েনের চাহিদা বর্তমানে ব্যাপক।

যাদের বিটকয়েন সর্ম্পকে ভালো ধারনা রয়েছে তারা এই প্রদ্ধতিতে আয় করতে পারবেন।

ঘ) বিট কয়েন লেখক।বিটকয়েন দিয়ে আয়।

বিটকয়েন সর্ম্পকে এখনও সবার জ্ঞান হয়নি। কারন বিটকয়েন নতুন মার্কেটে এসেছে তাই সবার কাছে বিটকয়েন চেনাতে লেখকের প্রয়োজন।

আর তাই বিভিন্ন ওয়েবসাইস তাদের ব্লগে বিটকয়েন সর্ম্পকে লেখার জন্য লেখক ভাড়া করে। আবার কিছু কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা শুধু বিটকয়েন সর্ম্পকে লেখা গুলো পাবলিষ্ট করে।

আর তাই আপনাদের যদি বিটকয়েন সর্ম্পকে ভালো জ্ঞান থাকে তবে, বিটকয়েন লেখক হয়ে আপনি ভালো পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন।

ঙ) মাক্রো জব করে বিট কয়েন থেকে আয়।বিটকয়েন দিয়ে আয়।

বর্তমানে  অনলাইনে এমন অনেক  ওয়েবসাইট আছে যারা ছোট ছোট কাজের জন্য আপনাকে বিটকয়েন প্রদান করে। আর এই ছোট ছোট কাজ গুলোকেই মাক্রো জব বলে।

তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মাক্রো জবের কাজ গুলো হয়ে থাকে ইউটিউবে ভিডিও দেখা,সার্ভে করা ইত্যাদি।

মাক্রো জব করার সেরা একটি ওয়েব সাইট হলো

* বিটকয়েনগেট।

চ) বিভিন্ন ওয়েবসাইট দিয়ে বিটকয়েন থেকে আয়।বিটকয়েন দিয়ে আয়।

বর্তমানে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা নিয়মিত ছোট ছোট কাজের জন্য টাকা বা ডলারের পর্রিবতে বিটকয়েন প্রদান করে। 

এমন অনেক প্রতিষ্টান আছে যারা টাকা বা ডলারকে বিটকয়েনে রুপান্তরিত করে কর্মীদের বিটকয়েন প্রদান করে থাকে।

আপনি চাইলে এসব ওয়েবসাইটে ছোট ছোট কাজ করে বিটকয়েন আয় করতে পারবেন।তবে এই প্রদ্ধতিতে বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে বিটকয়েন আয় করা বেশ কঠিন হবে।

কারন এসব বেশির ভাগ ওয়েবসাইটই আমেরিকা কেন্দ্রীক হয়ে থাকে যার ফলে বাংলাদেশ এবং ভারতীয়দের দিয়ে ছোট খাটো সার্ভে করায় না।

ছ) মোবাইল  এপস দিয়ে বিট কয়েন থেকে আয়। বিটকয়েন দিয়ে আয়।

আশ্চর্যজনক বেপার হলো বর্তমানে মোবাইল এপস দিয়েই বিটকয়েন আয় করা যায়। বাংলাদেশ কিংবা ভারতের মতো দেশ থেকে ও মোবাইল এপস দিয়ে আপনি বিটকয়েন আয় করতে পারবেন।

এটি কিন্তু ছাত্র ছাত্রীদের জন্য আয় করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এই প্রদ্ধতিতে আপনি কোন রকম ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই একটি স্মার্টফোন দিয়ে কাজ করেই বিটকয়েন আয় করতে পারবেন।

প্রথম ধীকে আয় কম হলেও ধীরে ধীরে আয়ের পরিমান বৃদ্ধি পাবে।

৫/ বিট কয়েনের সুবিধা। বিটকয়েন দিয়ে আয়।

নিচে বিটকয়েনের সুবিধা  সমূহ আলোচনা করা হলো:-

  • বিশ্বের যেকোন জায়গা থেকেই এটি ব্যবহার করা যায়। সকল দেশের একি মুদ্রা হিসাবে বিটকয়েন ব্যবহার করা যায়।
  • বিটকয়েন দিয়ে টাকা এক্সচেঞ্জ করতে কোন ঝামেলা হয়না।এতে এক্সচেঞ্জ কস্ট সেফ করা যায়।
  • বিটকয়েন দিয়ে আয় করতে কোন রকম পারসনাল ইনফরমেশনের প্রয়োজন হয় না। তাই যে কেউ খুব সহজে এখানে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ করতে পারবে।
  • বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানি গুলো বিটকয়েন গ্রহন করে। তাই এখন কেনাকাটায় মাস্টার কার্ডের পর্রিবতে বিটকয়েন লেনদেন করতে পারবেন।

৬/ বিট কয়েনের অসুবিধা।বিটকয়েন দিয়ে আয়।

বিটকয়েনের এতো গুলো সুবিধা থাকার পরও এর কিছু ঝুুকি ও রয়েছে। তাই নিচে বিটকয়েনের কিছু অসুবিধার কথা উল্লেখ করা হলো :-

  • যদি কোন কারনে বিটকয়েন একাউন্ট নষ্ট হয়ে যায় তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জমা কিত বিটকয়েন আর ফেরত মেলে না।
  • ভার্চুয়াল মুদ্রা অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় অনেক সময় এটি হ্যাক হওয়ার আশংকা থাকতে পারে।
  • যদি কোন কারনে ভূল একাউন্টে বিটায়েন চলে যায়, তবে তা আর ফেরত পাওয়া যায় না।

৭/ বিট কয়েন থেকে কেশ আউট করার নিয়ম।বিটকয়েন দিয়ে আয়।

ত এভার চলুন জেনে নেই বিটকয়েন থেকে কেশ আউট করার নিয়ম বা কিভাবে বিটকয়েন থেকে কেশ আউট করা যায় জেনে নেই।

বিটকয়েন কে ডলারে রুপান্তর করা তেমন কোন কঠিন কাজ নয়। আপনার কয়েনবেজ একাউন্টে এক্সচেঞ্জ অপশন আছে, সেখান থেকে আপনি ডলারকে বিটকয়েনে এবং বিটকয়েনকে ডলারে রুপান্তর করে নিতে পারবেন।

তবে এক্সচেঞ্জ রেট কেমন হবে তা বলা কঠিন হবে, কারন একেক সময় এক্সচেঞ্জ রেট একেক রকম হয়ে থাকে।

আপনি যদি বিটকয়েন কেশ আউট করে আপনার ব্যাংক একাউন্ট বা মাস্টার কার্ডে নিয়ে আসতে চান তবে বিটকয়েন কে ডলারে রুপান্তর করতে হবে। 

৮/ শেষ কথা। বিটকয়েন দিয়ে আয়।

ত প্রিয় বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা বিটকয়েন কি?  বিটকয়েন দিয়ে কিভাবে আয় করা যায়।

আশা করছি আপনারা সবাই আমার আজকের এই পোষ্টটি পড়ে অনেক উপকৃত হবেন এবং বিটকয়েন সর্ম্পকে সবাই বেসিক ধারনা লাভ করতে পারবেন।

আশা করছি আপনারা যদি আমার আজকের পোষ্টটি ভালো ভাবে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে ইনশা আল্লাহ আপনাদের আর বিটকয়েন সর্ম্পকে কোন অসুবিধা হবে না।

আর আজকের এই পোষ্টে কিটকয়েন থেকে আয় করার ৭টি উপায় আলোচনা করেছি। তবে মনে রাখবেন বিটকয়েন দিয়ে আয় করা কিন্তু সহজ কোন বিষয় নয় তবে ধৈর্য ধরে কাজ করলে এই মাধ্যম থেকে আপনিও টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে মনে রাখবেন উপরে আমি বিটকয়েন থেকে আয় করার যে উপায় গুলো আলোচনা করেছি তা ছাড়াও এখন আরও অনেক উপায় রয়েছে বিটকয়েন থেকে আয় করার।

আর আপনাদের যদি বিটকয়েন সর্ম্পকে কোন কিছু জানার থাকে তবে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে আমাকে জানিয়ে দেবেন। আর আমি ইনশা আল্লাহ আপনাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্ট করব।

ত আবার ও হাজির হয়ে যাব আপনাদের সামনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে নতুন কোন পোষ্টটে। ত এই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

ত প্রিয় বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের বিটকয়েন সর্ম্পকে আলোচনা। ত আজ এই পর্যন্তই সবাই অনেক ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন, আর আমার জন্য বেশি বেশি করে দোয়া করবেন।

আর এতক্ষন আমার পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আল্লাহ হাফেজ। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

আস্সালামু আলাইকুম, আমি জহুরা। বর্তমানে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অর্নাস করছি। এবং পাশাপাশি একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে কাজ করছি।