ঐতিহ্যবাহী মজাদার আচারী কালা ভুনার অথেন্টিক রেসিপি?

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা সবাই? আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি ভিন্ন ধর্মী আচারী কলিজা ভুনার রেসিপি। অনেকেই আছে কলিজা থেকে একটু ভিন্ন গন্ধ পায়।সেই গন্ধটা দূর করে কিভাবে খুব মজার সাথে কলিজা ভুনা তৈরি করতে হয় সেই টিপস সহ থাকছে আজকের রেসিপি।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

তাহলে দেখে নেওয়া যাক রেসেপিটি। প্রথমে কলিজা গুলোকে একটু বড় বড় টুকরো করে কেটে নিয়ে খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর ধুয়ে নেওয়া কলিজা গুলোকে ফুটন্ত গরম পানিতে চুলার আঁচটাকে একদম বাড়িয়ে দিয়ে ঘড়ি ধরে চার থেকে পাঁচ মিনিট কলিজাগুলোকে ফুটন্ত গরম পানিতে জাল করে নিতে হবে।

খেয়াল রাখবেন খুব বেশি সময় ধরে কিন্তু জাল করবেন না এতে করে কলিজার টুকরো শক্ত হয়ে যায়। এবার সিদ্ধ করা কলিজার পানির উপরে যে ময়লা ভেসে উঠেছে সেই ময়লা গুলো থেকে কলিজা গুলোকে ছেঁকে সড়িয়ে নিতে হবে।

এবর প্রতিটা কলিজা একটু চেক করে নিবেন যদি কলিজার ওপর থেকে একটি আবরণের মতো দেখা যায় তাহলে সেটাকে টান দিয়ে সরিয়ে নিতে হবে। এতে করে কলিজাটা অনেক সফট থাকবে এবং কলিজাটা শক্ত হবে না ।

তারপর রান্না করার আগে কলিজাটা আবার ভালো করে ধুয়ে নিয়ে রান্না করতে যেতে হবে।এখন একটি কড়াইয়ে আধা কাপ পরিমাণ সয়াবিন তেল দিতে হবে।

তারপর এর মধ্যে দিতে হবে আধা চা চামচ পরিমাণ আস্ত জিরা,গরম মসলা(একটা কালো এলাচ,তিন চার টুকরো দারচিনি, দুটো তেজপাতা, চার টুকরো লং এবং চার টুকরো  সবুজলাচ) এগুলো  দেওয়ার পর একটুখানি ভেজে নিতে হবে।

এবার এর মধ্যে এক কাপ পরিমাণ পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। তারপর সবার সাথে পেঁয়াজটাকেও ভেজে নিতে হবে। কাজটা ভেজে নেয়ার পর এর মধ্যে একটু সামান্য পানি দিয়ে দুই টেবিল চামচ আদা বাটা,এক টেবিল চামচ রসুন বাটা,হলুদের গুঁড়া আধা চা চামচ,মরিচের গুড়া দেড় টেবিল চামচ,দুই টেবিল চামচ ধনিয়ার গুড়া,এক টেবিল চামচ জিরার গুড়া আর স্বাদ অনুযায়ী লবন দিতে হবে।

এখন এসব কিছুকে একত্রে খুব ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। মসলাটা কষিয়ে নেওয়ার পর ধুয়ে রাখা কলিজা গুলোকে একদম ছোট টুকরো টুকরো করে কেটে মসলার মধ্যে দিয়ে দিতে হবে এবং ৪ থেকে ৫ মিনিট মসলার মধ্যে কলিজাটা কষিয়ে নিতে হবে।

কষিয়ে নেওয়ার পর এর মধ্যে দুই কাপ পরিমান টিউব করে কেটে রাখা আলু,দশ বারোটা রসুন কোয়া দিয়ে আলু এবং কলিজাটাকে ভালোভাবে প্রায় চার পাঁচ মিনিটের মত আবারো কষিয়ে নিতে হবে।

কষিয়ে নেওয়ার পর এর মধ্যে দিতে হবে আধা কাপ পরিমাণ পানি। খুব বেশি পরিমাণ পানি দেওয়ার দরকার নেই কারণ আলুর নিজস্ব একটা পানি আছে।

অতিরিক্ত পানি দিলে পানিটা শুকিয়ে নিতে নিতে আলুটা গলে যেতে পারে।তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যখন আলু আর কলিজা পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে যাবে এবং ভুনা ভুনা হয়ে আসবে। তখন অন্য আরেকটি কড়াইয়ে বাগার তৈরি করে নিতে হবে । এই বাগারটি হবে আচারী স্বাদের।

বাগাড়ের জন্য  আরেকটি কড়াইয়ে প্রথমে দুই টেবিল চামচ সরিষার তেল আর এক টেবিল চামচ পাঁচফোড়ন এগুলোকে একটু ভেজে এর মধ্যে দিতে হবে ১/৩ কাপ পেঁয়াজ কুচি। তারপর পেঁয়াজটাকে লালচে করে ভেজে নিতে হবে।

ডাল বাগার দেওয়ার সময় পেঁয়াজটাকে যেভাবে লালচে করে ভাজা হয় সেভাবে লালচে করে ভেজে নিতে হবে।

এরপর বাগারটাকে কলিজার মধ্যে দিয়ে দিতে হবে এবং এর সাথে দিতে হবে ফালি করে নেওয়া টমেটো, পেঁয়াজ এবং কয়েকটা আস্ত কাঁচামরিচ এছাড়া এরমধ্যে টক জলপাই বা আমের আচার দিয়ে দিতে হবে এক টেবিল চামচ।

এবার এই সব কিছুকে মিশিয়ে  আবারো চুলায় জাল করে নিতে হবে। এবং চুলার আঁচটাকে কমিয়ে রাখতে হবে এতে করে আচারের ফ্লেভারটা কলিজার মধ্যে খুব ভালোভাবে ছড়িয়ে যায় সেই সাথে টমেটোটাও গলে গলে আসবে পেঁয়াজটাও একটু সেদ্ধ হয়ে আসবে এভাবে প্রায় ৬-৭ মিনিট জাল করে নিতে হবে।

এবার কলিজাটা হয়ে গেছে এখন আপনারা চুলা থেকে নামিয়ে সার্ভ করে খেতে পারেন মজাদার আচারী কালা ভুনা।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ