ইউটিউব থেকে আয় করার কার্যকর ৭ টি উপায়।

আস্সালামু আলাইকুম, প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ; ইউটিউব থেকে আয় করার কার্যকর ৭ টি উপায়। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আলোচ্য টপিক:-

বর্তমানে সময়ে Youtube বেশ জনপ্রিয় একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় গুগল, ফেসবুকের পরেই কিন্তু ইউটিউবের স্থান। 

দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটা মুহুর্তেই আমরা বিভিন্ন বিষয়ে জানতে Youtube এ সার্চ করে থাকি। আর এখন এই ইউটিউব হয়ে গেছে মানুষের আয় একটি উৎস। আর ইউটিউব থেকে আয় করা যায় কথাটি আর কারো কাছেই অজানা নয়।

বাসায় বসে খুব সহজেই আমরা একটি ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে সেখানে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে আয় করা যায়।তাই আজ এই পোষ্টে আমরা জানব কিভাবে ইউটিউব থেকে সহজে আয় করা যায়? ত চলুন বন্ধুরা আমাদের মূল আলোচনা শুরু করার আগে দেখে নেই কিকি থাকছে আমাদের আজকের আলোচনায়।

টপিক সূচি:-

1. এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়।

2. নিজের পণ্য বিক্রি করে আয়।

3. ব্লগিং চ্যানেল তৈরি করে আয়।

4. স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয়।

5. ডোনেশনের মাধ্যমে আয়।

6. বিজ্ঞপন থেকে আয়।

7. অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয়।

1. এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়।

Youtube থেকে টাকা ইনকাম করার একটি সহজ এবং কার্যকর উপায় হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। এর জন্য আপনাকে কোন কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। আপনি কোম্পানির পণ্যের রিভিউ দিবেন ভিডিওতে। আর পণ্যের লিংক আপনার ডেস্ক্রিপশন বক্সে দিয়ে দিতে হবে।

এতে করে যদি কেউ আপনার দেওয়া লিংক ব্যবহার করে পণ্য ক্রয় করে তবে সেখান থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমানে কমিশন পেয়ে যাবেন।

2. নিজের পণ্য বিক্রি করে আয়।

বর্তমানে অনেক বড় বড় ইউটিউবারা Youtube এ তাদের নিজেদের পণ্য বিক্রি করে প্রচুর পরিমানে ইনকাম করছেন। এটি সাধারনত ঐ সব ইউটিউবাররা করে থাকেন যাদের Youtube এ অনেক ফ্যান, ফলোয়ার্স থাকে। 

ভিডিও তে পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে দিন। এতে আপনার ফ্যানরা পণ্যের ছবি দেখে আকৃষ্ট হবে এবং পণ্য ক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। সেখানে ফ্যান, ফলোয়ার্স দের কাছে খুব সহজে পণ্য বিক্রি করে আয় করা যায়।

আর এই প্রদ্ধতি অবলম্ভন করে বর্তমানে অনেক ইউটিউবরা প্রচুর পরিমানে টাকা উপার্যন করছেন 

3. ব্লগিং চ্যানেল তৈরি করে আয়।

Youtube থেকে আয় করার আরো একটি কার্যকর উপায় হলো ইউটিউবে ব্লগিং চ্যানেল তৈরি করা। বর্তমানে অনেকেই দেখা যায় ইউটিউবে ব্লগ চ্যানেল খুঁলেন। আপনি চাইলে ইউটিউবে ব্লগ চ্যানেল তৈরি করে সেখানে আপনার ব্যক্তিগত কাজকর্ম, মতামত ইত্যাদি শেয়ার করে আয় করতে পারবেন।

সেখানে আপনি আরো খেলাধুলা, বিভিন্ন আকর্ষনীয় স্থানে ভ্রমন, কোথায় ভালো পোশাক পাওয়া যায়, কোন রেস্টুরেন্ট এর খাবার বেশ ভালো, দেশ- বিদেশের বিভিন্ন আকর্ষনীয় টুরিস্ট স্পর্ট ইত্যাদির বর্ননা দিতে পারেন।

কারন এখন এই ধরনের ভিডিও গুলো বেশি দেখে থাকে। আপনার চ্যানেলে যদি এই ধরনের ভিডিও থাকে তবে দর্শকরা আপনার চ্যানেলের ভিডিও দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। এতে আপনি ইউটিউব থেকে প্রচুর পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

4. স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয়।

যে সমস্ত ইউটিউব চ্যানেল অনেক জনপ্রিয় এবং যাদের অনেক ভিউয়ার্স এবং ফ্যান রয়েছে তারা বিভিন্ন কোম্পানি থেকে স্পন্সর এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।আর এই ধরনের ইউটিউব চ্যানেলে কোম্পানির পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়ার অফার করে থাকে।

আপনাকে শুধু ঐ কোম্পানির পণ্য সর্ম্পকে ভিডিও তে আকর্ষনীয় ভাবে বলতে হবে। যাতে মানুষ বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য ক্রয়ে আকৃষ্ট হয়।তবে মনে রাখবেন স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয় করার জন্য আপনার চ্যানেল প্রচুর ভিউয়ার্স এবং ফলোয়ার্স থাকতে হবে।

5. ডোনেশনের মাধ্যমে আয়।

বর্তমানে আপনার ভিডিও দেখে ফ্যানেরা আপনাকে কিছু অর্থ নিজের পকেট থেকে ডোনেট করার প্রক্রিয়া ইউটিউবে চালু রয়েছে। নতুন ইউটিউবারদের তেমন ফ্যান, ফলোয়ার্স থাকে না। তাই তাদের ইউটিউব থেকে আয় ও তেমন বেশি হয়না।আর তাই তারা ভিডিও তৈরি করার জন্য টাকা ও পায়না।

কিন্তু যদি আপনার আপলোড করা ভিডিও দেখে সবার ভালো লাগে, এবং আপনার ফ্যানরা যদি চায় আপনি আরো ভিডিও করুন।তবে তারা আপনাকে ভিডিও তৈরি করার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমানে টাকা ডোনেশন করতে পারে।

আর এই কাজটি প্যাট্রেয়ন নামক একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে।তবে এই মাধ্যম থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয়।

6. বিজ্ঞপন থেকে আয়।

একজন ইউটিউবারের Youtube থেকে আয় করার একদম প্রাথমিক এবং সহজ উপায় হলো বিজ্ঞাপন। আমরা সবাই জানি যে, ইউটিউবের ভিডিও তে দেখানো বিজ্ঞাপন থেকে ইউটিউবাররা ইনকাম করে থাকেন। ইউটিউব ভিডিও চলার শুরুতে বা চলাকালিন এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখানো হয়। আর গুলো হচ্ছে ইউটিউবারদের আয়ের একটি সহজ উপায়।

তবে বিজ্ঞাপন থেকে আয় করার জন্য বা এডসেন্স চালু করার জন্য বিগত ১ বছরে আপনার চ্যানেল আপলোড করা ভিডিও গুলোতে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১ হাজার সাবক্রাইব থাকতে হবে।আর এই শর্ত গুলো পূরণ করার পরই আপনি এডসেন্স চালু করে Youtube বিজ্ঞাপন থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।

7. অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয়।

আপনি যদি কোন বিষয়ে পারর্দশী হন, তবে আপনি আপনার সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই তা অন্যদের শিখানোর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।এখন অনেকেই ঘরে বসে ইউটিউবের সাহায্যে বিভিন্ন কোর্স করে থাকেন।

আপনি ও চাইলে শিক্ষামূলক বিভিন্ন ধরনের কোর্সের ভিডিও তৈরি করে তা Youtube এ আপলোড করে আয় করতে পারবেন। আর সেটি হতে পারে লেখা পড়া বিষয়ক কোর্স, সেলাই ট্রেনিং কোর্স, ভিডিও এডিটিং কোর্স, গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স, ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স ইত্যাদি। আর এগুলো কিন্তু বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়  অনলাইন কোর্স।

তবে খেয়াল রাখবেন যে, আপনার আপলোড করা ভিডিও দেখে যেন মানুষ উপকৃত হয়।আপনারা প্রথমে ফ্রি কোর্স চালু করতে পারেন এতে আপনার অনেক ফ্যান, ফলোয়ার্স তৈরি হবে। পরে আপনার বিভিন্ন ধরনের পেইড কোর্স চালু করতে পারেন।

শেষ কথা:-

ত প্রিয় বন্ধুগন এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা;-ইউটিউব থেকে আয় করার কার্যকর ৭ টি উপায়। 

ত আশা করছি পোষ্টটি পড়ে আপনারা সবাই অনেক উপকৃত হবেন।
আর পোষ্টটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো অবশ্য কমেন্ট করে আপনাদের মতামত আমাদের জানাবেন। আপনাদের মূলবান মতামত আমাদের ভবিষ্যতে আর ও ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহ যোগাবে।

আর পোষ্টটি সর্ম্পকে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে, তবে নিচে কমেন্ট বক্সে  কমেন্ট করে আমাকে জানাতে পারেন।আমি ইনশা আল্লাহ আপনাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

ত বন্ধুরা আবার ও খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোষ্টে নতুন কোন বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে হাজির হয়ে যাব।আর এতক্ষন ধৈর্য ধরে মনোযোগ সহকারে পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।ত বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই সবাই অনেক ভালো থাকবেন,  সুস্থ থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন।


আল্লাহ হাফেজ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

আস্সালামু আলাইকুম, আমি জহুরা। বর্তমানে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অর্নাস করছি। এবং পাশাপাশি একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে কাজ করছি।