ইউটিউব চ্যানেল থেকে হাজার হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায়

বর্তমান সময় অনলাইনের মাধ্যমে আয় করা এক বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অনলাইন থেকে আয় করার মধ্যে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা অসংখ্য জনপ্রিয় একটি কাজ হয়ে থাকে। আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করবো ইউটিউব চ্যানেল থেকে হাজার হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায় সম্পর্কে।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আলোচ্য বিষয়:

ইউটিউব বর্তমান সময়ে অসংখ্য জনপ্রিয় একটি সাইট হয়ে থাকে। আর এই ইউটিউব এর মাধ্যমে অনেকেই অনেক ভাবে আয় করে যাচ্ছে। অনেকেই এই ইউটিউবকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে বিভিন্নভাবে আয় করে যাচ্ছে।

বর্তমান যেহেতু অনলাইন এক বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছে, সেহেতু অনলাইনের একটি বিশেষ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ইউটিউব। এই ইউটিউব এর মাধ্যমে অসংখ্য ভিডিও প্রচার করা হয়ে থাকে। আমরা যেকোন ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করতে চাইলে ইউটিউব এর মাধ্যমে প্রকাশ করা অন্যতম বিষয় হয়ে থাকে।

সারা বিশ্বে এই ইউটিউব বর্তমান সময় এক বিশেষ জনপ্রিয় স্থান অধিকার করেছে। ইউটিউব কে আমরা প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ব্যবহার করে থাকি। এই ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনি কিছু কাজ করার মধ্য দিয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করা অনেক জনপ্রিয় ব্যাপার হয়ে থাকে। তবে ইউটিউবে ১০ মিনিটের একটি ভিডিও যদি পাঁচ-ছয় মিনিট করে দেখা হয় আর যদি সেই ভিডিওটি এক লক্ষের মত ভিউ হয় তাহলেই ১৪- ১৫ হাজার টাকা নিমিষেই আয় করা সম্ভব হয়ে থাকে। কিন্তু এই ভিডিওটি যদি ৮ মিনিটের নিচে হয় তাহলে আয় অর্ধেক হয়ে যাবে।

তাই এক্ষেত্রে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ভালো আয় করতে চাইলে ৮ মিনিটেরও অধিক সময় এর ভিডিও আপলোড করতে হবে। তাহলে মোটামুটি একটি ভাল আয় করার রাস্তা তৈরি হয়ে যায়।বর্তমান সময়ে অনলাইনে আয় করার যেসব সাইট ও মাধ্যম রয়েছে তারমধ্যে অনেক সহজেই ইউটিউব এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। ইউটিউব এর মাধ্যমে আয় করতে গেলে আপনাকে কোনরকম ঝামেলায় পড়তে হবে না। তবে আপনাকে একটি ভালোভাবে এবং সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করতে হবে। আর সেটি হবে আপনার ইউটিউব থেকে আয় করার অন্যতম একটি পথ। 

আপনি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে খুব সহজেই ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ভিডিও আপলোড করার মধ্য দিয়ে খুব ভালোভাবে আয় করতে পারবেন। তবে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে আয় করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তাহলে ভালো মতন আয় করা সম্ভব হয়ে যাবে।

আমরা হয়তো অনেকেই আছি যারা এখনো জানিনা যে, ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা আয় করা যাবে কিভাবে? তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউটিউব চ্যানেল থেকে কিভাবে আয় করবেন সে সম্পর্কে। নিচে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো:

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা যাবে কিভাবে:

বর্তমান সময়ে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা একটি জনপ্রিয় কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আয় করে অনেকেই প্রচুর অর্থ উপার্জন করে যাচ্ছে। আপনি একটু চেষ্টা করলেই ইউটিউব থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে গেলে সর্বপ্রথম যেটি করতে হয় সেটি হলো, আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। এবং আপনার সেই ইউটিউব চ্যানেলটিকে খুব ভালোভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে হবে। চ্যানেলটিকে ভালো ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার পর চ্যানেলটিতে আপনাকে ভিডিও আপলোড করতে হবে আর এই ভিডিওগুলো আপনি নিজের ইচ্ছামত যেভাবে খুশি বানিয়ে নিতে পারেন।

সারা বিশ্বের নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচারের দায়িত্ব ইউটিউবকে দিয়ে থাকে। সাধারণত একটি ইউটিউব চ্যানেল কত জন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে সেটা কিন্তু কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, যদি সেই ভিডিওটি লোকজন না দেখে থাকে।

তবে ইউটিউব চ্যানেল গুলোর আয় টি নির্ভর করে সাধারণত বিজ্ঞাপনগুলোর উপর। একটি চ্যানেলের প্রচারিত ভিডিওগুলোর ভিউ যত বাড়বে চ্যানেলটির ইউটিউব থেকে ততবেশি ধরনের বিজ্ঞাপন পেতে শুরু করবে। আর বিজ্ঞাপন পাওয়ার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয়ের এর পরিমাণ তথ্য বেশি হয়ে থাকবে।

একটি ইউটিউবারের আয় এর ক্ষেত্র হিসেবে তার প্রধান উৎস হচ্ছে গুগল এডসেন্স। সাধারণত গুগল এডসেন্স আবেদন যাচাই করার পর ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজ করার মতো উপযুক্ত মনে করে থাকলে এবং সেই চ্যানেলটি তে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড হয়ে থাকলে এই চ্যানেলটিকে অনুমোদন করে দিয়ে থাকে।

সেই অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে ইউটিউব চ্যানেল এর ভিডিও যখন কেউ দেখে থাকে তখন ভিডিওতে বিজ্ঞাপনগুলো শো হতে শুরু করে থাকে। এবং বিজ্ঞাপন ভিউ করার পর থেকেই ইউটিউব একজন ইউটিউবার কে টাকা প্রদান করে থাকে।

আপনি যদি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারবেন সেগুলো হলো:

  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

  • প্রডাক্ট রিভিউ এর মাধ্যমে।

  • নিজস্ব প্রোডাক্ট বিক্রি করার মধ্য দিয়ে।

তবে ভিডিও আপলোড করতে গেলে ইউটিউবকে কোন ধরনের টাকা দিতে হয় না। আপনি ভিডিও আপলোড করার কাজটি সম্পূর্ণ ফ্রী ভাবে করতে পারবেন। আপনার ভিডিওর সাইজ নিয়ে কোন রকম চিন্তা করতে হবে না, যত বড় ধরনের ভিডিও আপলোড করতে ইচ্ছে হয়, আপনি ততো বড় ধরনের ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল খোলা কোন রকম ঝামেলা যুক্ত ও কঠিন কাজ নয়। আপনি একটু চেষ্টা করলেই একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন। ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও আছে ইউটিউব চ্যানেল খোলার ব্যাপারে আপনি সেইসব ভিডিও দেখে নেওয়ার মাধ্যমে আপনি নিজেই চেষ্টা করে খুলে নিতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল খুলতে গেলে এর কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হয়। কিছু বেসিক রিকুয়ারমেন্ট ছাড়া আপনি ইউটিউব চ্যানেলটিকে খুলতে পারবেন না। তবে এই ইউটিউব চ্যানেল খুলতে গেলে যেগুলো আপনার থাকা প্রয়োজন সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • আপনার বয়স কমপক্ষে হলেও ১৮ বছর বয়স হতে হবে।

  • আপনার একটি ব্যবহৃত জিমেইল আইডি লাগবে। যেখানে প্রতিনিয়ত মেইল আসতে পারবে এবং আপনি মেইল পাঠাতে পারবেন।

  • আপনার একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর লাগবে।

  • ইউটিউব প্রোগ্রামের নানা ধরনের পলিসি গুলো মেনে কাজ করতে হবে।

ইউটিউব চ্যানেল খুলে আপনাকে ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনাকে যেকোন ধরনের ভালো মানের ভিডিও তৈরি করতে হবে। আর এই ভিডিও তৈরি করতে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের সাহায্য নিতে পারেন অথবা আপনি ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

আপনি কম্পিউটার অথবা মোবাইলের বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল ভিডিও গুলো তৈরি করেও আপলোড করতে পারেন। 

তবে আপনি যেকোন ভিডিও তৈরি করার আগে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে ভিডিওটি অবশ্যই মজাদার শিক্ষণীয় ও একটি ভালো মানের ভিডিও হতে হবে। ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে অন্যের করা ভিডিও নকল করা যাবেনা।অন্যের করা ভিডিও নকল করলে আপনি কপিরাইটের দায়ে পড়ে যেতে পারেন। 

তাহলে আপনার ইউটিউবে আয় এর ক্ষেত্রে এক ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে। আপনাকে ভালোভাবে জেনে বুঝে ভিডিও তৈরি করতে হবে। আপনি যে ভিডিওটি তৈরি করবেন সেই ভিডিওটি যেন মানুষ দেখে উপকৃত হতে পারে। মানুষ উপকৃত হওয়ার মতো ভিডিও আপলোড করলে আপনার চ্যানেলের ভিডিও গুলো মানুষ বেশি পছন্দ করবে এবং বেশি করে দেখতে থাকবে। 

ভিডিও তৈরি করতে গেলে আপনাকে ইউটিউব এর টপিক নির্ধারণের ক্ষেত্রে কিছু টিপস ফলো করতে হবে। আপনি যদি টিপস গুলো অনুসরণ না করে ভিডিও আপলোড করে যান এক্ষেত্রে আপনার ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করলে সেটি ভিউ হবে না। আর এজন্য ভিউ পাওয়ার জন্য ইউটিউব এ মানুষের যে ধরনের ভিডিও দেখতে পছন্দ করে থাকে, এবং যে ধরনের ভিডিও এক বিশেষ চাহিদা আছে আপনাকে সে ধরনের ভিডিও তৈরী করতে হবে।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে এমন একটি বিষয় বানিয়ে তুলবেন যে বিষয়টি নিয়ে আজকাল মানুষের বেশি পরিমাণ চাহিদা ও রুচি বোধ করে থাকে। এবং আপনি যেই ভিডিওগুলো আপলোড করবেন সেগুলো সেই বিষয় নিয়ে ইন্টারনেট ইউটিউবে সার্চ না হলে আপনার আয় অনেক কমে যাবে।

ইউটিউব চ্যানেল কি বিষয়ে তৈরি করে থাকবেন:

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আপনি অধিক লাভবান হয়ে যেতে পারেন। আর ইউটিউব চ্যানেল খুলে সফলতা অর্জন করার জন্য আপনার টপিকের উপর নির্ভর করা এক বিশেষ জরুরী হয়ে থাকবে।

তবে ইউটিউব চ্যানেল কি কি বিষয়ে আপনি তৈরি করবেন সেগুলো আমরা আপনাকে নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি। এবং বর্তমান যে টপিকগুলোর এক বিশেষ চাহিদা রয়েছে সে সম্পর্কে আমরা নিচে আলোচনা করলাম:

১. টেকনোলজি বিষয়ক:

বর্তমান আমাদের এই আধুনিক যুগে অনলাইন যুগ বা ইন্টারনেটের যুগ বলা হয়। আর এই ইন্টারনেটের যুগে টেকনোলজির বিষয় এক বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে গিয়েছে। সাধারণতঃ ব্লগিং এবং ইউটিউব উভয় ক্ষেত্রেই টেকনোলজি রিলেটেড টপিক এর মূল্য অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে।

টেকনোলজি বিষয়ক যেকোন ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করলে এর বিয়ের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে থাকে। টেকনোলজি বিষয়ক ভিডিও ইউটিউবে এক বিশেষ জনপ্রিয় স্থান অধিকার করে থাকে।

২. গেমিং বিষয়ক ভিডিও:

ইউটিউব এ সাধারণ গেমিং চ্যানেল এবং গেমিং বিষয়ক ভিডিও এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। ইন্টারনেট বিশ্বে ইউটিউব চ্যানেল যত ধরনের রয়েছে তার মধ্যে গেমিং চ্যানেল এর জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে। গেমিং চ্যানেল খোলার মাধ্যমে ইউটিউবে অনেক বেশি আয় করা সম্ভব হয়ে যায়।

৩. যেকোনো টিউটোরিয়াল বিষয়ক: 

আপনার যদি যেকোনো বিষয়ে খুব ভালো অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি যে বিষয় নিয়ে টিউটোরিয়াল তৈরি করতে পারেন। টিউটোরিয়াল তৈরি করে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে পারেন। যেকোনো বিষয়ে টিউটরের খুব মূল্য হয়ে থাকে এই ইউটিউব জগতে।

তবে আপনাকে কোন বিষয় নিয়ে টিউটোরিয়াল তৈরি করতে গেলে সে বিষয়টিকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করতে হবে। তবে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে আপনি যদি টেকনোলজি বিষয়ে টিউটোরিয়াল তৈরী করতে পারেন তাহলে সেটি আপনার জন্য খুব ভালো সুফল বয়ে আনবে।

৪. খাদ্য বিষয়ক ভিডিও তৈরি করে:

সাধারণত বিভিন্ন ধরনের খাদ্য বিষয়ক ভিডিও বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করে থাকে। খাদ্য বিষয়ক ভিডিওগুলো ইউটিউব জগতের অধিকাংশ মানুষ প্রতিনিয়ত দেখে থাকে।এই খাদ্যবিষয়ক ভিডিওগুলো হচ্ছে আপনি যেকোন খাবার খুব ভালোভাবে তৈরি করার পরিপূর্ণ নিয়মাবলী মধ্য দিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে পারেন।

সাধারণত বাসার মহিলারা যেসব বিভিন্ন রেসিপি রান্না করে থাকে সেগুলো যদি ভিডিও ধারণ করার মাধ্যমে ইউটিউবে আপলোড করা যায় তাহলে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারে।

৫. ফ্যাশন এবং সাজগোজ বিষয়ক ভিডিও তৈরি করে:

বর্তমান সময় অধিকাংশ মেয়েদের ফ্যাশন ও সাজগোজ বিষয়ক ভিডিও খুব বেশি পছন্দনীয় হয়ে থাকে। আর এই বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মহিলারাই সাজগোজ করতে অনেক ভালোবেসে থাকে। তবে শুধু মহিলারই নয় পুরুষেরা সাজগোজ করতে পছন্দ করে থাকে।

তবে মহিলাদের সাজগোজের বিউটি পার্লারের যেসব বিভিন্ন সাজগোজের কাজ কিংবা ফ্যাশন বিষয়ক ভিডিও তৈরী করে আপলোড করলে সেগুলো অধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করে থাকে।

৬. ভ্রমণ জাতীয় ভিডিও তৈরি করে:

নানা জায়গায় ভ্রমণ করতে আমরা সাধারণত কমবেশি অনেকেই পছন্দ করে থাকি। আমরা অনেকেই আছি যারা ভ্রমন প্রিয় লোক হয়ে থাকি। আর এই ভ্রমণ করা নিয়ে আপনি ইউটিউবার এর যাত্রা শুরু করতে পারেন।

আপনি যেকোন দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করার মধ্য দিয়ে সেগুলো ভিডিও করে আপলোড করতে পারেন। এই ভ্রমণ জাতীয় ভিডিও গুলোতে অনেক বেশি ভিউ হয়ে থাকে এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করে থাকে। তাই আপনি খুব সহজেই যেকোনো জায়গায় ভ্রমণ করার মধ্য দিয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবার হতে পারেন।

৭. পশুপাখি ভিডিও তৈরি করে:

আমাদের টেলিভিশন পর্দায় দেখবেন যে, বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি দেখানোর চ্যানেল রয়েছে। আপনিও বিভিন্ন পশু পাখির ভিডিও তৈরী করে আপলোড করার মধ্য দিয়ে এক বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেন।এই পশু পাখির ভিডিও গুলো অনেক বেশি ভিউ হয়ে থাকে এবং খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে যায়।

ইউটিউব মনিটাইজেশন করবেন কিভাবে:

বর্তমান সময়ে ইউটিউব এর এক নতুন পলিসি অনুসারে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করার জন্য আপনার ১০০০ বার সাবস্ক্রাইবার ও এক বছরে চার ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। অতএব চার ঘন্টা ভিডিও ভিউ হওয়ার পর আপনি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করে ইউটিউব থেকে আয়ের যাত্রা শুরু করতে পারেন। সাধারণত এই ইউটিউব পলিসি 2019 সালে আপডেট করা হয়। এবং এই আপডেট করার পর থেকে সে অনুসারে কাজ করা হচ্ছে ইউটিউবে।

সাধারণত ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজেশন অপশনটি টি আপনাকে এনাবেল করে নিতে হবে। আপনার সেই ইউটিউব চ্যানেলটি দিয়ে আপনাকে গুগোল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হবে।

তারপরে আপনাকে ইউটিউব চ্যানেলের লিংক থেকে কপি করতে হবে। সেই লিংকটি কপি করার পর গুগল এডসেন্স এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের লিঙ্ক এ গিয়ে আপনাকে ফরম ফিলাপ করে গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পর এক্সচেঞ্জ আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে এডসেন্স এর সাথে খুব ভালোভাবে যুক্ত করে দেবে।

আবেদন করার সাথে সাথে আপনি আপনার ভিডিও মনিটাইজ করতে পারবেন না। আপনার চ্যানেলটিকে কয়েকদিনের জন্য রিভিউ করা হবে। রিভিউ করার পরে তারা যদি আপনাকে উপযুক্ত মনে করে তাহলে আপনাকে অনুমোদন করে দেবে।

ইউটিউব চ্যানেলে আয় বাড়িয়ে তুলবেন কিভাবে:

আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল খুলে থাকেন এবং আপনার চ্যানেলে যদি আপনি আপনার আয়ে বাড়িয়ে তুলতে চান তাহলে শুরুতেই আপনাকে যেটির লক্ষ রাখতে হবে সেটি হলো ভালো মানের ভিডিও আপলোড করা। ভালো মানের ভিডিও আপলোড করে আপনি প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন।

তবে এর সাথে আপনাকে ইউটিউব এর সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ভিডিও অপটিমাইজেশন করতে হবে। এই দুটি কাজ যখন আপনি খুব ভালোভাবে করে থাকবেন তখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল হতে আয়ের পরিমাণ দিন দিন অধিক হারে বাড়তে থাকবে।

আপনাকে কোন নতুন ভিডিও আপলোড করার জন্য সেই ভিডিও ভালোভাবে বর্ণনা প্রদর্শন করতে হবে। সেই ভিডিও আপলোড করার সাথে সাথে ভিডিওটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে এর নিচে আপনাকে বেশ কিছু লাইনে বর্ণনা লিখতে হবে। তাহলে খুব সহজেই ইউটিউব আপনার সেই ভিডিও সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবে।

আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল থেকে খুব ভালোভাবে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত ভিডিও তৈরি করতে হবে। ভিডিও তৈরি করে আপনাকে ইউটিউবে আপলোড করতে হবে। আপনি যদি নিয়মিতভাবে ভিডিও আপলোড করতে পারেন তাহলে আপনার আয় ভালোভাবে হবে বলে আশা করা যায়।

শেষ কথা:

আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয় করতে চান তাহলে আমাদের উপরে আলোচিত বিষয় গুলো আপনার এক বিশেষ কাজে লাগবে। তবে এই বিষয়ে যদি আপনি পুরোপুরি নতুন হয়ে থাকেন তাহলেও আমাদের আলোচিত বিষয় গুলো আপনার কাজে আসবে বলে আশা করা যায়।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে হাজার হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায় গুলো আমরা খুব ভালোভাবে উপরে বর্ণিত করেছি। আপনি চাইলেই আমাদের সেই উপায় গুলো ফলো করার মধ্য দিয়ে কাজ করে যেতে পারেন। এতে ইউটিউব চ্যানেল খুলে আপনি যথেষ্ট লাভবান হয়ে যাবেন।

আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে দয়া করে আপনার পছন্দ মতন যেকনো একটি সাইটে অবশ্যই একবার শেয়ার করবেন। আপনার করা একটি শেয়ার আমাদেরকে আরো ভালো আর্টিকেল লিখতে উৎসাহ প্রদান করবে। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

নাম: বাধন কুন্ডু । একজন আর্টিকেল রাইটার । ১০০% ইউনিক ও কপি মুক্ত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।