স্বপ্ন থাকে Software Engineer হওয়ার কিন্তু কিভাবে হবে সেটা জানা থাকেনা। [চলুন জেনে নেই]

এখন এমনি একটি যুগে বসবাস করছি আমারা যার ৭০% কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার এর অধিনে রয়েছে।এমনও কাজ রয়েছে যেই কাজ আমরা একজন বেক্তিকে দিয়ে করালে ২ ঘণ্টা সময় খরচ হবে।কিন্তু যদি সফটওয়্যার এর সাহায্য করা হয়, তাহলে ২ থেকে ৫ মিনিট সময়ে করে ফেলা যায়।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

 

ট্রেনের টিকিট যদি কাউন্তারে থেকে নিতে যায় তাহলে আমাদের সারি সারি মানুষের পিছনে লাইনে দারিয়ে টিকিট ক্রয় করতে হয়।একই কাজ আমরা বাসায় বসে সফটওয়ারের সাহায্য নিয়ে নিমিষের মধ্য করে ফেলতে পারি। তাছাড়া রয়েছে লেন-দেন এর বেপার সফটওয়্যার এর সাহায্য খুব সহজে বাসাতে বসে নির্ভেজালে এবং সময় বাঁচিয়ে লেনদের করতে পারি।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই টেকনিক্যাল যুগ থেকে পিছিয়ে না থাকার জন্য অনেকের স্বপ্ন হয়ে থাকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু অনেকেই ভেবে থাকি যেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে আহামরি কিছু লাগে অনেক উচ্চ লেভেল এর পড়াশোনা লাগে। আসলে বিষয়টি এমন নয় আপনার মনে সৎ ইচ্ছা থাকলে আপনিও পারবেন কিন্তু এটি আবার অতি সহজ কাজ নয় খুব পরিশ্রম এবং সময় দিয়ে সফলতা অর্জন করতে হয়।

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কৌশলঃ

আপনি যদি ক্লাস ৮ এর Running Student হয়ে থাকেন বা তার নিচের ক্লাসের Student হয়ে থাকেন তাহলে আমি বলব আপনি এই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে গুগল এবং ইউটিউব এ ঘাটাঘাটি করেন।আপনি প্রোগ্রামিং বিষয় নিয়ে জানেন বুঝেন আসলে প্রোগ্রামিং কি এটি দিয়ে কি করা হয়।

প্রোগ্রামিং জগতে বিভিন্ন ধরণের প্রোগ্রামিং ভাষা রয়েছে যেমনঃ সি, সি++, সি শার্প, জাভা, পাইথন, গো, রুবি এবং পিএইচপি তা ছাড়াও শত শত ভাষা রয়েছে আপনি ভাষা সম্পর্কে জানুন। এবং কোন কোন ভাষা দিয়ে কি করতে হয় ধারনা নিন। যেমন সি প্রগ্রামিং কি? সি প্রোগ্রামিং দিয়ে কি করতে হয়? সি দিয়ে কি কি আবিষ্কার হয়েছে? আপনি ভাষা সম্পর্কে ধারনা নিয়ে রাখেন কাজে দিবে।

আমি বলবো যে যারা SSC দিবেন তারপর আপনি ভালো একটি প্রতিষ্ঠান দেখে কম্পিউটার সাইন্সে ডিপ্লোমা করুন।ডিপ্লোমার কথা বলছি এই কারনে আপনি যেই গ্রুপেই থাকেন না কেনো আপনাকে Allow করা হবে। তাছাড়া ডিপ্লোমা যেহেতু কারিগরি সে ক্ষেত্রে আপনি প্রাকটিকেল শিখতে পারবেন। আপনার ধারণা বেশি থাকবে এই বিষয় সম্পর্কে।আপনি সকল কিছু হাতে কলমেও ধারনা নিতে পারবেন সেটিই হলও মূলত সুবিধা।

আর যদি মন দিয়ে কাজ শিখেন তাহলে ৪ থেকে ৫ সেমিস্টার পর আপনি যে কোনও সাইটে কাজ করেই আপনার নিজের খরচ নিজে চালিয়ে নিতে পারবেন।তবে অনেক কে দেখা যায় কিছুদিন ভালো কাজ করে খুব মন দিয়ে তারপর বিরক্ত হয়ে যায় ভালো লাগে না শিখতে খুব কঠিন লাগে।তাই আপনাকে বলবো আপনি বুঝে শুনে ভর্তি হন কাজকে ভালোবাসেন মন থেকে শিখেন সখে নয় বিরক্তি দূর করুন ধৈর্য কে কাছে টানুন অবশেষ ফলাফল ভালো পাবেন।

অন্যথায় আপনি জদি HSC Complete করে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে চান তাহলে আপনার Background Science থাকতে হবে তা নাহলে আপনি পারবেন না ভর্তি হবে। সে জন্যই আপনাকে আগে বলেছি আপনার Background যদি কমার্স বা অন্ন সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশুনা করে থাকেন তাহলে আপনি SSC এর পরে ডিপ্লোমাতে ভর্তি হয়ে যান।

তবে অনেকেই রয়েছে যারা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে SSC পর্যন্তও পড়ালেখা করেনি তারা কাজকে ভালোবেসে ভিবিন্ন ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব কন্টেন্ট দেখে প্রোগ্রামিং শিখে সফটওয়্যার ডেভেলপ করে থাকে এবং ভিবিন্ন সফটওয়্যার  প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে থাকে। আসলে ইচ্ছেই সকল কিছুর মূল ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়, অলসতায় নয় ।

আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে এতক্ষন পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

(নিজের খেয়াল রাখবেন এবং আপনার পরিবারের খেয়াল রাখবেন)

খোদা হাফেজ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

Department of Software Engineering running student