তওবা। সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার বা তওবার শ্রেষ্ঠ দোয়া। তওবা করার নিয়ম।

التوبة (তওবা) শব্দের আভিধানিক অর্থ  হলো অনুতাপ৷ বান্দা যখন গুনাহের কাজ করে বুঝতে পারে যে সে ভুল করেছে,

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

এবং তার এহেন কাজের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে অনুতপ্ত হয়ে কাদে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তখন তার বান্দার কাজে খুশি হন এবং তাকে ক্ষমা করেন।   মহান আল্লাহ তায়ালা তওবা কারীকে অনেক পছন্দ করেন৷

তওবা করার জন্য অবশ্যই নিজের কৃত কাজের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে লজ্জিত হতে হবে। এবং ভবিষ্যতে যাতে নিজের দ্বারা এই ধরনের কাজ সংঘটিত না হয়,

তার জন্য মনে মনে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে৷ তাহলে আল্লাহ তায়লা সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন এমনকি সমস্থ গুনাহকে নেকীতে পরিবর্তন করে দেবেন৷ 

তওবা করার জন্য আল্লাহ তায়লার কাছে ভালোভাবে চাইতে হবে৷ নিজের ভাষায় আল্লাহ তায়লার কাছে চাইলেও আল্লাহ তায়লার কবুল করবেন। কারন, তিনি হলেন সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা। তাই তিনি সব কিছুর মনের ভাষাও বুঝেন ৷

তবে সর্বোত্তম ভাবে চাওয়ার পন্থা এবং দুঃআ আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (স) শিখিয়ে গেছেন। আর সেই দূঃআর নাম হলো "সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার"।

নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি সুদৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সকালে সায়্যিদুল ইস্তিগফার পাঠ করবে,

সে যদি সন্ধ্যা হওয়ার আগে মারা যায় তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর সে যদি সুদৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সন্ধ্যায় সায়্যিদুল ইস্তিগফার পড়ে সে যদি সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -সহিহ বোখারি: ৬৩০৬

আরবী উচ্চারণঃ 

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি। লা ইলাহা ইল্লা আনতা। খালাকতানি ওয়া আনা আবদুকা।

ওয়া আনা আলা আহদিকা। ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাতা’তু। আউজু বিকা মিন শাররি মা-সানা’তু। আবুয়ু লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা। ওয়া আবুয়ু লাকা বি জাম্বি। ফাগফিরলী। ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনবা ইল্লা আনতা।

বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ! একমাত্র আপনিই আমাদের প্রতিপালক। আপনি ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। আপনিই আমার স্রষ্টা এবং আমি আপনার দাস।

আমি আপনার সঙ্গে কৃত ওয়াদা ও অঙ্গীকারের ওপর সাধ্যানুযায়ী অটল ও অবিচল আছি। আমি আমার কৃতকর্মের সব অনিষ্ট হতে আপানার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমার উওর আপনার দানকৃত সব নেয়ামত স্বীকার করছি।

আমি আমার সব গুনাহ স্বীকার করছি। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। কেননা, আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।

আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের রহমতের ভান্ডার থেকে কখনো কেউ খালিফেরত আসে না৷ কারন আল্লাহ তায়ালা হলে দয়ার সাগর, রহমতের সাগর।

তিনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা করা তিনি পছন্দ করেন৷ আল্লাহ তায়লার প্রশংসা করে তার গুনগান গেয়ে যদি সঠিক ভাবে কেউ তওবা করে তাহলে আল্লাহ তায়লা তার গুনাহ ক্ষমা করবেন তা নয় বরং তার সমস্থ গুনাহকে নেকীতে পরিবর্তন করে দেবেন। - সুবহানাল্লাহ

পরিশেষে, আল্লাহ তায়লা তার বান্দাদের কখনো নিরাশ করেনা। বান্দা হাজার অপরাধ করে আল্লাহর কাছে যখন চায় তখন আল্লাহ তায়লার রহমতের সাগরে জোয়ার এসে যায়৷ আর আল্লাহ তার বান্দাদের ক্ষমা করে দেন৷ কারন আল্লাহ তায়লা হলে অসীম দয়ালু ৷

তবে একই ভূল বারবার করলে এবং বার বার তওবা করলে কাজ হবে৷ আল্লাহ তায়লার রহমতের দোহাই দিয়ে একই গুনাহ দিন দিন করে যদি ক্ষমা চাওয়ার সময় না পাওয়া যায় তাহলে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে৷

আরটিকেলটি ভালো লাগলে একটি লাইক করবেন এবং কমেন্ট করবেন। বন্ধুদেরও শেয়ার করে পড়ার সুযোগ করে দিবেন। ধন্যবাদ,,

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

My name is Maya. I am Freelancer. I'm working as a freelancer in some marketplace as a Content writing.