ইউটিউব থেকে সহজেই চাকুরীজীবিদের স্যালারি-র থেকে বেশি টাকা উপার্জন করুন

Basic Steps:

  1.  প্রথমেই আপনার একটি Gmail Account লাগবে। আপনার সঠিক ইনফর্মেশন দিয়ে একটি Gmail Account তৈরি করে নিন।
  2.  ইউটিউব.কম গেলে আপনার জিমেইল এর নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে। এখন প্রথম কাজ শেষ। এখন পরের কাজ-

Advance:

  1. Click On Your Avatar>Creator Studio>Channel>Advanced এ যান। আপনার Country বাংলাদেশ থেকে ইউনাইটেড স্টেট্‌স এ পরিবর্তন করুন।
  2.  Channel>Status and Features এ আপনার চ্যানেল ভেরিফাই করুন।
  3. Enable Monetization. স্টেপসগুলো অবলম্বন করে Enable করে নিন।
  4. ১৫ মিনিটের দীর্ঘ ভিডিও আপলোড করার জন্য Longer Videos Enable করে নিতে পারেন।
  5.  Channel>Monetization>How will be i get paid এ ক্লিক করুন। স্টেপসগুলো অবলম্বন করুন এবং আপনার সঠিক বেক্তিগত ইনফর্মেশন দিয়ে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিন।

এখন আপনার নিজের ভিডিও বানান এবং তা মনেটাইজ করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করুন।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

বাংলাদেশ থেকে কি আয় করা সম্ভব

এ বিষয়টি নিয়ে লেখার আগে আমি অনেক বাংলা সাইট Research করে দেখেছি। বিভিন্ন জন তাদের সাইটে বিভিন্ন চাতুরীর কথা লিখেছেন যে, কিভাবে বাংলাদেশ হতে YouTube এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে হয়। আসলে YouTube এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টাকা উপার্জন করা সম্ভব।

youtube এর কয়েকটি নীতিমালা আছে যা ফুলফিল করলেই আপনি ইউটিউবে মনিটাইজেশন পাবেন। যেমন: 4000 ঘন্টা ওয়াচটাইম এবং 1000 সাবসক্রাইবার হলেই আপনি এড শো করে ইনকাম করতে পারবেন। 

এছাড়াও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। 

  • কপিরাইট ভিডিও ব্যবহার করা যাবে না। 
  • ভায়োলেশন কোন ভিডিও প্রকাশ করা যাবে না। 
  • 18 প্লাস কোন ভিডিও আপলোড করা যাবে না।
  • কোন ধর্ম, জাতী, সম্প্রদায় কে অবমাননা করে ভিডিও প্রকাশ করা যাবে না।

কি করে ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট খুলব?

খুব সহজ, একটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরী করুন। নিজের সঠিক নাম, বয়স এবং ফোন নম্বর দিয়ে। এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে ইউটিউবে লগ ইন করুন। সেখানে ‘Create Channel’ পাবেন। তার মাধ্যমে নিজের চ্যানেল তৈরী করুন। একটা ভালো প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটো অ্যাড করুন। এবং আপনার নিজের ক্যামেরায় তৈরী যে কোনো ফুটেজ আপলোড করুন। ব্যস, আপনার ৫০ শতাংশ কাজ রেডি।

আমি ভিডিও আপলোড করেছি কিন্তু টাকা আসছে না।

টাকা উপার্জন করতে হলে আপনাকে আপনার ভিডিওটি ‘Monetized’ করতে হবে। ইউটিউবের Video Manager-এ ক্লিক করুন, বা-দিকে একটা লিস্ট আসবে সেখানে Channel-e ক্লিক করুন, সেখানে আপনি Monetization পাবেন।

এখান থেকে আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্টটি অ্যাকটিভ করতে হবে। (অ্যাকটিভ করার উপায়টি লিখে সঠিক বোঝানো সম্ভব নয়, নিজে থেকে চেষ্টা করুন এবং স্টেপগুলি ফলো করুন)।

আমি কি যেকোনো ভিডিও আপলোড করতে পারি?

আপনি আপলোড করতে পারবেন সব ভিডিও কিন্তু সব ভিডিও থেকে পয়সা উপার্জন করতে পারবেন না। আপনি অন্য কোনো সিনেমা বা টিভির থেকে নেওয়া ভিডিও বা অডিও , এমনকি আপনার ভিডিওর মধ্যেও যদি অন্য কারো ভিডিও বা অডিও থাকে তাহলে সেটাও মনেটাইজ হবে না, ইচ্ছে করলে ইউটিউব আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে ব্লক করে দিতে পারে এবং আর আপনি কখনই আপনার নিজের নামে ভবিষ্যতে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।

পাড়ার ফাংশানে একজন গায়ক গান গেয়েছে আমি তার ভিডিও নিয়েছি, সেটা কি আমি আপলোড করতে পারি?

এক্ষেত্রে ভিডিওটি আপনার নিজের কিন্তু যেহেতু অডিওটি অন্য কারো তাই আপনি সেটি থেকে উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু যার গান সে যদি কমপ্লেইন করে তাহলে সেই ভিডিও থেকে কোন উপার্জন করতে পারবেন না। অন্য কারো গান আপনি নিজে গেয়েছেন সেটাও কিন্তু ইউটিউব গ্রহণ করবে না।

কত টাকা উপার্জন সম্ভব?

এরও কোনো সঠিক উত্তর নেই। ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের মূল উৎস হচ্ছে ভিউ। যে ভিডিও যত বেশী ভিউ হবে সে ভিডিও তত বেশী অর্থ উপার্জন করবে। তবে মোটামুটি ভাবে প্রতি হাজার মনেটাইজ ভিউতে ১ থেকে ৫ ডলার অবধি আয় সম্ভব।

মনেটাইজ ভিউ কি ?

ধরা যাক আপনার ভিডিওটে যে অ্যাড আসে, সেটা ১ মিনিট-এর মাথায়। এবার আপনার ভিডিওটি ৫০০০ ভিউ হয়েছে কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার জন হয়ত আপনার ভিডিও ১ মিনিটের কম দেখেছে।

তাহলে ৫ হাজার ভিউ স্বত্তেও আপনার মনেটাইজ ভিউ হবে মাত্র ২ হাজারমনেটাইজ ভিউ কত হয়েছে সেটা একমাত্র যার অ্যাকাউন্ট সেই দেখতে পারবে ‘Analytics’-এ ক্লিক করে।

কখন থেকে টাকা আয় সম্ভব?

আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লিকেশান অ্যাপ্রুভড হতে দুই থেকে তিন দিন লাগে। একবার অ্যাপ্রুভড হয়ে গেলেই আপনার আয় শুরু।

টাকা কিভাবে পাবে পাব?

আপনার ইনকাম লেভেল যতদিন না ১০০ ডলার হচ্ছে ততদিন আপনি টাকা পাবেন না। ১০০ ডলার হলে আপনার বাড়িতে গুগল থেকে একটি চিঠি আসবে তাতে একটি কোড নম্বর থাকবে সেই কোড নম্বর দিয়ে আপনাকে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস দিতে হবে অর্থাৎ ব্যাঙ্ক নেম, অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নেম, সুইফট কোড ইত্যাদি।

আপনার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট-এ আপনার নাম এবং ঠিকানা আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের নামের সাথে মিল থাকতে হবে, নইলে এই টাকা আপনি পাবেন না। তাই অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যেই নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেখানে যে অ্যাড্রেস দেওয়া আছে সেটাই ব্যবহার করবেন।

টাকা পেতে কতদিন সময় লাগবে

এটা নির্ভর করবে আপনার ভিডিও দৈনিক কতজন লোকে দেখছে। কতবার দেখা হয়েছে এবং কতগুলো এড ক্লিক হয়েছে। তার উপর নির্ভর করে আপনার আয় হবে। 100 ডলার হলেই পেমেন্ট পাবেন। গুগলএডন্সে প্রতিমাসের 21 তারিখে পেমেন্ট পাঠিয়ে থাকে আর 2 থেকে 5 দিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। 

আর যদি আপনার ব্যালেঞ্চ 100 ডলার এর নিচে থাকে তাহলে সেই মাসে আর পেমেন্ট পাবেন না। পরবর্তী মাসের ব্যালেঞ্চ এর সাথে আপনার ব্যালেঞ্চ যোগ হেবে।

ইউটিউব মূলত একটা মাধ্যম যেখানে মানুষ নিজেদের ভিডিও শেয়ার করে। এই সাইটের প্রাথমিক লক্ষ টাকা উপার্জন নয়। তাই টাকা উপার্জন করব ভেবে যদি আপনি ইউটিউব চ্যানেল খোলেন তাহলে আপনি নিরাশ হবেন।

ইউটিউব থেকে টাকা পেতে আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। হতে পারে আপনার প্রথম টাকা পেতে পেতে এক বছর বা তার-ও বেশি লেগে গেল কিন্তু একবার টাকা আসা শুরু করলে এবং আপনার ভিডিও প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার ভিউ দিতে পারলে বিশ্বাস করুন আপনাকে আর কোনো চাকরী করতে হবে না।

সকলেই কি টাকা আয় করতে পারে?

হ্যা পারবে।  আঠারো বছরের যে কেউ তার নিজের মৌলিক ভিডিও দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারে। কিন্তু কার ভিডিও কত জনপ্রিয় হবে সেটা নির্ভর করছে কিছুটা আপনার দক্ষতা এবং আপনার ভাগ্যের উপর।

প্রচুর মানুষ যারা নিজের পোষা বিড়ালের ছবি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করছে আবার অনেকে আছে যারা পয়সা খরচ করে নিজেরা নানা রকম ভিডিও বানিয়েও এক ডলার আয় করতে পারছে না। তাই সঠিক ভাবে যদি আপনি আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করতে পারেন তাহলে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা অসম্ভব নয়.

আয় করার আর যা যা করতে হবে

YouTube Channel তৈরীঃ প্রথমেই আপনাকে Gmail ID এর মাধ্যমে একটি YouTube Channel তৈরী করে নিতে হবে। YouTube.Com এ গিয়ে Gmail ID এর মাধ্যমে Signup করলেই আপনার YouTube Channel তৈরী হয়ে যাবে।

YouTube Partner হওয়াঃ তারপর বামপাশের অপশন হতে My Channel এ ক্লিক করলে আপনার YouTube Channel টি দেখতে পাবেন। আপনার Channel টির নামের উপরে Video Manager নামে আরেকটি অপশন দেখতে পাবেন সেটিতে ক্লিক করুন।

এখন বামপাশের Channel অপশনে ক্লিক করার পর ডানে অনেক অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার নামের পাশে থাকা Partner হতে মোবাইল নাম্বার দিয়ে Partner Verified করতে হবে। Partner Verified না করলে আপনার ভিডিও গুলিকে Monetized করতে পারবেন না।

ভিডিও আপলোড করাঃ  এখন আপনার ভিডিওটি আপলোড করুন। আপলোড হওয়ার পর ভিডিওটির নিচের দিকে Monetized অপশন দেখতে পাবেন। এখানে Monetize with ads অপশনে ঠিক চিহ্ন দিয়ে দিলেই আপনার ভিডিওটিতে এখন থেকে Google বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখাবে।

তবে সাবধান কোন প্রকার কপি করা ভিডিও আপলোড করবেন না। তাহলে ইউটিউব যে কোন সময় আপনার Monetized অপশন Disable করে দেবে।

AdSense এ Apply করাঃ এখন আপনাকে আপনার YouTube Channel এর মাধ্যমে Google AdSense এর জন্য আবেদন করতে হবে। এই AdSense এর মাধ্যমে আপনি টাকা উত্তোলন করবেন। এখন আবার বামপাশের Channel অপশন হতে Monetization অপশনে ক্লিক করে ডানপাশে Enable Monetization বাটন হতে Monetization একটিভ করে নিতে হবে।

তারপর নিচের দিকে How Will Paid নামে আরেকটি অপশন পাবেন। সেখানে associate an AdSense account এ ক্লিক করে Next ক্লিক করে আপনার Gmail ID এর মাধ্যমে লগইন করে যাবতীয় তথ্য দিলেই আপনার AdSense Request চলে যাবে। এখন ২-৩ দিনের মধ্যে আপনার AdSense Approve এর মেইল আপনার ইনবক্সে চলে আসবে।

নিয়মিত যা করতে হবে

নিয়মিত ভিডিও তৈরীঃ নিয়মিত নিত্য নতুন ভালমানের ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার Channel টির Viewer বাড়তে থাকবে। আর Viewer বাড়া মানেই হচ্ছে আপনার আয় বেড়ে যাওয়া।

ভিডিওটির বর্ণনা দেয়াঃ নতুন ভিডিও আপলোড করার পর সাথে সাথে ভিডিওটি সম্পর্কে তার নিচে বর্ণনা দিয়ে দেবেন। তাহলে YouTube সহজে আপনার ভিডিওটি সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যাবে। এতেকরে YouTube নির্ধারিত টপিক অনুযায়ী ভিজিটদের কাছে ভিডিওটি পৌছে দেবে।

ভিডিও শেয়ার করাঃ  ভিডিও পাবলিশ করার পর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, যেমন-ফেইসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ইত্যাদি সাইটগুলিতে আপনার ভিডিও শেয়ার করতে পারেন।

ব্যাক লিংক তৈরীঃ  আপনি যে বিষয় নিয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল বা ভিডিও তৈরী করছেন এরকম অন্য জনপ্রিয় সাইটগুলিতে আপনার ভিডিওটির লিংক দিয়ে দিতে পারেন। এতে করে সেখান থেকেও আপনার সাইটে প্রচুর ভিজিটর পেয়ে যাবেন।

Youtube SEO করবেন কীভাবে

ইউটিউব এসইও ( Youtube SEO) করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে সঠিকভাবে কি-ওয়ার্ড এর ব্যবহার করতে জানা।

আপনি যদি আপনার ভিডিওগুলোর মাঝে সঠিক ভাবে কি-ওয়ার্ড ব্যবহার না করতে পারেন তবে ,

আপনার চাহিদা মত কখনই র‍্যাঙ্কিং এর মাঝে আপনার চ্যানেলটিকে প্রবেশ করাতে পারবেন না ।

২. আকর্ষণীয়ভাবে আপনার ভিডিও পরিবেশন করার চেষ্টা করুন

সবসময় মনে রাখবেন আপনার ভিডিওটি যারা দেখবে তাঁদের রুচি অনুযায়ী কিন্তু আপনাকে ভিডিও বানাতে হবে।

এমন কিছু ভিডিও বানাবেন না যা শুধু মাত্র গুটি কয়েক মানুশের ভালোলাগায় পরিণত হয় ।

সঠিক ভাবে আপনার চিন্তা চেতনাকে কাজে লাগিয়ে ভালো তথ্য নির্ভর এবং অবশ্যই সৃজনশীল উপায়ে আপনার ভিডিও তৈরি করুন

ভালো মানের প্রফেশনাল ভিডিওগ্রাফার ব্যবহার করুন আপনার ভিডিও প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে এবং অবশ্যই দক্ষ কাওকে দিয়ে সেগুলোকে এডিট করিয়ে নিবেন ।

কখনই বাজেট নিয়ে ভাববেন না । সামান্য বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করলে আপনিও স্বল্প খরচে সবচাইতে ভালো মানের এবং সৃজনশীল কিছু প্রকাশ করতে পারবেন ।

ভিডিও প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন যেগুলো আপনার সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) এর ক্ষেত্রে আবশ্যক । যেমন ,

ভিডিও তে ব্যবহার করা কি-ওয়ার্ড গুলো যেন অবশ্যই ভিডিওটি প্লে হবার সবার ১০ সেকেন্ডের মাঝে উচ্চারিত হয় । অর্থাৎ ভিডিও যখন বানাবেন তখন ১০ সেকেন্ডের ভেতর সবগুলো কিওয়ার্ড উচ্চারণ করার চেষ্টা করবেন ।

কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে ভিডিও এর নাম সেভ করবেন ।

এসকল কাজ তো গেলো আপনার ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়। এছাড়াও আপনি যখন ভিডিও আপলোড করবেন তখনও আপনাকে অনেক ধরনের কাজ করতে হবে অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে । যেমন ,

এমন টাইটেল দিতে চেষ্টা করবেন যা মানুষের নজর কাড়তে সক্ষম হয়। টাইটেলের মাঝে যেন আপনার কিওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করা হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখবেন।

ভিডিও আপলোড এর পর করনীয়

একটি ভিডিও সার্চ-ইঞ্জিনের মাঝে অপটিমাইজেশন মানে এই নয় যে আপনি ভিডিও বানালেন আর শুধু সেগুলোকে আপলোড করে বসে থাকলেন ।

আপনার ভিডিও সঠিক ভাবে অপটিমাইজ করতে হলে আপলোডের পরেও অনেক কাজ আপনাকে করতে হবে যেমন ধরুন,

ভিডিওর মাঝে টিকা (Annotation) ব্যবহার করা ।

অ্যানোটেশন বা টিকা তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনার কি-ওয়ার্ড এর ব্যবহার করুন ।

ক্যাপশন (Caption) ব্যবহার করার চেষ্টা করুন সকল ভিডিওর মাঝে।

ক্যাপশন ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও ক্যাপশনের মাঝে কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন । অটো ক্যাপশন ফাইল ডিজেবল করে দিন ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পূর্ণ একটি প্রচেষ্টা এবং কৌশলগত ব্যাপার আর তাই আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি অথবা ভিডিও গুলো অপটিমাইজ করার ক্ষেত্রেও আপনাকে ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে হবে ।

Video URL পিং করে দেয়া

আপনি আপনার ভিডিওটি বিভিন্ন ধরণের পিং সাইট অথবা অন্যান্য কিউ এ সাইটে প্রকাশ করতে পারেন যেমন ধরুন (Quora,Pingler,pingme,Yahoo answer) এমন ধরণের সাইতে প্রকাশ করতে পারেন ।

পিংলার এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার লিংক আপলোড করে দিলে অটোমেটিক আপনার লিংক বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাকলিংক হিসেবে পরিণত হয়ে যাবে ।

এর ফলে আপনার ভিজিটর এর পরিমান অনেকটাই বাড়তে পারে ।

প্রথমেই আপনি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে পিংলার (Pingler.com) লিখে সার্চ করে তাঁদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন আপনার লিংক টি প্রবেশ করুন অবশেষে একটি ক্যাপচা কোড পূরণের মাধ্যমে আপনার কাজ শেষ করুন ।

ব্লগ অথবা ওয়েবসাইটের এ্যাড করে দিন

আপনার যদি ওয়েবসাইট থেকে থাকে অথবা ব্লগ থেকে থাকে তবে তার মাঝে কনটেন্ট এর সাথে মিল রেখে আপনি ভিডিও বানাতে পারেন এবং সেটা আপনার সাইটের মাঝে এমবেড করে দিতে পারেন ।

এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর যেমন আকর্ষণীয়তা হারিয়ে ফেলবে না ঠিক তেমন করে আপনার ভিডিওটির মাঝেও প্রচুর ট্র্যাফিক আসার সম্ভাবনা থাকে ।

Share your video

বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার চাইতে শক্তিশালী প্রচার মাধ্যম দ্বিতীয়টি আর নেই ।

আপনি নিজেও ভেবে দেখুন ইউটিউব নিজেও একটি বড় ধরণের সোশ্যাল মাধ্যম ।

আর তাই যতটুকু সম্ভব আপনার ভিডিওগুলো ফেসবুক,টুইটার সহ বিভিন্ন ধরণের সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার।

এর ফলে আপনার চ্যানেলের মাঝে ট্র্যাফিক আসবে অনেক গুন বেশি ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ