ছাত্র ছাত্রীদের অনলাইন ইনকাম ২০২১

ছাত্রাবস্থায় সব ছাত্ররই একটি আশা থাকে যে সে ইনকাম করবে। আর বিগত বছরগুলোতেও এই সব জিনিস নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে অনেক ছাত্র ছাত্রীকেই দেখা গিয়েছে। তবে পূর্ব ধারণা না থাকার ফলে তারা প্রতি পদেই হোচট খায়।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

অনেকেই আবার মিথ্যে এড ফি এর দায়ে ছাত্র ছাত্রীদেরকে বোকা বানায়। এখন আপনিও যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন তবে নিশ্চয় এমন কোনো পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।

তবে এটার জন্য কিন্তু আপনার পিছিয়ে যাওয়া মোটেও ঠিক হবে না। কেননা অনলাইন ইনকাম বিষয়টি কিন্তু মোটেও গুজব নয়। আর তাই আপনার এই বিশ্বাসকে আরো কিছুটা জোরদার করতে আজকে কিছু কাজের তালিকা হাজির করছি যার মাধ্যমে সহজেই মাসে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন জেনে আসি স্টুডেন্ট অবস্থায় কিভাবে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায়-

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করে-

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলতে মূলত বুঝায় অন্যের কাজে সহযোগিতা করা ঘরে বসেই অর্থাৎ দূরে থেকে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

কিন্তু কথা হলো অন্য কেউ কেন আপনাকে তার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে নিবে, তাই না? আসলে এখানে মূল বিষয়টি হলো বাইরের দেশের অনেকেরই কাজের অনেক বেশি চাপ থাকে। আর তাই তারা তাদের কাজগুলোকে একটা রুটিন এর মধ্যে নিয়ে আসতে ও নিজের চাপ কিছুটা কমাতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। আর এই কাজটি এখন এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে ফাইভারে(fiverr.com) সবচেয়ে বেশি ডিমান্ডেড জবের মধ্যে এটি একটি।

এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো ক্লায়েন্টের ইমেইলগুলো চেক করা, তার মিটিং টাইম ফিক্সড করা ইত্যাদি। আর এর মাধ্যমে মাস শেষে একটা ভালো অ্যামাউন্টই আয় করতে পারবেন আপনি।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার-

আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন যে পৃথিবীতে এখন কোটি কোটি মানুষ এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বাংলাদেশে এই ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটিরও বেশি।

আর পৃথিবীর কথা বলতে গেলে তো সংখ্যাটা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। জেনে অবাক হবেন যে এখন ফেসবুক ব্যবহারকারির সংখ্যা প্রায় ৩বিলিয়ন। অন্যদিকে ইউটিউবে রয়েছেন ২ বিলিয়নের কাছাকাছি। আর এই সুযোগটাই এখন অনেক কোম্পানির কাছে লোভনীয় হয়ে গেছে কেননা এর মাধ্যমে তারা তাদের ব্যবসা আরো বেশি বাড়াতে পারবে বেশি বেশি কাস্টমারের মাধ্যমে।

প্রায় সব কোম্পানিরই এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজনেস পেজ বা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে থাকে তাদের পণ্য সেবা এই ব্যবহারকারীদের মাঝে পৌঁছাতে।

আর এই পেজ কিংবা অ্যাকাউন্টগুলো চালানোর জন্য তাদের প্রায়ই প্রয়োজন হয় সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের। যারা তাদের পেজ কিংবা অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবে এবং কাস্টমারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিবে।

আর আপনিও একজন ছাত্র হিসাবে এই কাজটি করে নিজের ক্যারিয়ার ডেভলপ করতে পারেন।

পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টটেশন ডিজাইনার-

পাওয়ার পয়েন্ট এর সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। স্কুলের সেই আইসিটি বইই হোক বা নিজের ল্যাপটপেই পাওয়ার পয়েন্ট নিয়ে কখনো না কখনো ঘাটাঘাটি হয়তো আপনি করে থাকবেন। জানেন কি আপনি যদি ভালো মানের স্লাইড তৈরি করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই এই স্লাইড দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন?

হ্যাঁ। কথাটি সত্য। আপনি যদি কোনো বিজনেস সেমিনার জয়েন করেন থাকেন কখনো সেখানে দেখবেন একটি স্ট্যান্ড থাকে যেখানে বিভিন্ন স্লাইড প্রদর্শিত হয়। আর এই বিজনেস সেমিনার যারা আয়োজন করে থাকেন তারাই এমন প্রেসেন্টেশন এর জন্য লোক খোঁজেন।

তাদের সাথে কাজ করতে পারেন আপনি। আর আপনি একজন ভালো পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড প্রস্তুতকারক হতে পারলে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারেন এই সেক্টর থেকে।

ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হয়ে আয়-

না ওয়েব ডেভলপার নয়। ওয়ার্ডপ্রেস ডেভললপার এর কথা বলছে। ওয়ার্ডপ্রেস মূলত হচ্ছে এমন একটি প্লাটফর্ম যেখান থেকে খুব সহজেই নিজের একটি ফ্রি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন। তবে এই ফ্রি-ওয়েবসাইটের বাইরেও ওয়ার্ডপ্রেস এক ধরনের বাড়োতি সুবিধা দিয়ে থাকে আর তা হলো নিজের ওয়েবসাইট নিজেই কাস্টমাইজ করা।

এজন্য আপনাকে একজন ওয়েব ডেভলপার হতে হবে না। শুধুমাত্র ওয়ার্ডপ্রেস শেখার মাধ্যমেই আপনি এই কাজে পারদর্শী হয়ে উঠতে পারবেন। আর আপনাকে একটি বিষয় জানানো খুবই জরুরি বোধ করছি আর তা হলো বর্তমানে পৃথিবীতে যত লাখ বা মিলিয়ন ওয়েবসাইট আছে তার ৩৫% থেকে ৩৭% ই ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা তৈরি।

অর্থাৎ আপনি যদি পৃথিবীর মোট ওয়েবসাইটকে ১০০টি ওয়েবসাইট ভাবেন তবে তার মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা তৈরি হলো মোট ৩৭টি ওয়েবসাইট। আর দিন দিন এর জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আপনি যদি একজন ভালো ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হয়ে থাকেন তবে খুব সহজেই কিন্তু এই কাজটি করতে পারেন। আর এর ইনকাম শুনলে আপনি চমকে যাবেন কেননা একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন বা বানানোর জন্য আপনার বাজেট রাখা হবে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।

তো দেরি কেন আজই শিখে ফেলুন আর ছাত্র জীবনেই ইনকাম শুরু করে দিন। বন্ধুরা লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন:-

এসইও স্পেশালিস্ট হিসাবে আয়-

বর্তমানে অন্যতম ও জনপ্রিয় কাজ হলো এসইও। এসইও এর পূর্ণরূপ করলে দাঁড়ায় সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন। এর অর্থ হচ্ছে কোনো একটি নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ড এর জন্য একটি ওয়েবসাইটের কোনো কন্টেন্টকে গুগল সার্চ রেজাল্টের সবার উপরে আনা।

প্রশ্ন করতে পারেন মানুষ এটি কেন করে? উত্তর হচ্ছে তার ওয়েবসাইটে ভিজিটর পাওয়ার জন্য। আর এই ভিজিটর কেন পেতে চায় তা হয়তো জানেন।

হ্যা, এসইও স্পেশালিস্ট হিসাবে কাজ করে আপনি একটি ভালো অ্যামাউন্টের টাকা আর্ন করতে পারেন। বর্তমানে যে সব ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে তার বেশির ভাগই এই এসইও স্পেশালিস্টদের কাছে যায় শুধুমাত্র তাদের ওয়েবসাইটটি র্যাং ক করানোর জন্য।

আর এরই ফাকে আপনি যদি এসইও শিখে ফেলতে পারেন তবে অন্যের জন্য কাজ করে মাসে খুব সহজেই লাখের উপরে ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনি কাজ খুজতে পারেন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে তবে আপনি যদি সেদিক বিমুখী হতে চান তবে দেশি ক্লায়েন্ট এর জন্য কাজ করতে পারেন।

এর জন্য নিজের একটি বিজনেরস পেজ তৈরি করে কাজ শুরু করতে পারেন।

ভয়েস ওভার জব-

ছাত্র ছাত্রীদের জন্য তুমুল জনপ্রিয় একটি জব হলো ভয়েস ওভার জব। ভয়েস ওভার বলতে মূলত বোঝানো হয় আপনার ভয়েস কোনো ভিডিও বা প্রেসেন্টেশনে যুক্ত করা। অর্থাৎ ইউটিউবে যে ভিডিওগুলো দেখে থাকেন যেখানে সরাসরি মানুষ না থাকলেও পিছন থেকে একটা আওয়াজ ভেসে আসে আপনাকেও সেই কাজটাই করতে হবে।

এই কাজের জন্য আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে একটা স্ক্রিপ্ট দিবে ও আপনাকেও সেই অনুযায়ী বলতে হবে।

আর ভয়েস ওভার জবটা পার্টটাইম অর্থাৎ ছাত্র ছাত্রীদের জন্য একদম পারফেক্ট। এখানে বেশি সময় আপনাকে দিতে হবে না তবে মাস শেষে প্রতি কাজের ইনকামটার পরিমাণ কিন্তু অনেক বেশি।

ইমেইল মার্কেটিং করে আয়-

ইমেইল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মূলত কোনো কোম্পানির বিশেষ ছাড় কিংবা অফার সমন্ধে তার কাস্টমারদেরকে ইমেইল পাঠিয়ে থাকে।

আপনি যদি দারাজ কিংবা অন্যান্য ই-কমার্স সাইট বা অনলাইন মার্কেটগুলোর সাথে যুক্ত থাকেন তবে দেখতে পাবেন তাদের বিশেষ ছাড়ে তারা আপনাকে প্রতি নিয়তই মেসেজ দিয়ে যায়।

এটি কিন্তু এমনি এমনি নয়। বরং ইমেইল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ কাজটি করে থাকে। আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে বেছে নিতে পারেন এই কাজটি। আর এর মাধ্যমে খুব সহজেই একটা ভালো পরিমাণের টাকা মাস শেষে পাওয়া যায়।

ডোমেইন ফ্লিপিং করে ইনকাম-

ডোমেইন ফ্লিপিং যদিও কোনো ধরনের জব নয়। তারপরও এর মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারেন। আসলে এখানে আপনি আপনার ডোমেইনটি বিক্রি কিংবা ওয়েবসাইট খুব ভালো দামে সেল করতে পারবেন।

একজন ছাত্র হিসাবে আপনি যদি একটি ভালো ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন তবে একটি ভালো অংকের টাকার বদলে এখানে তা বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও ধরুন আপনি একটি অনেক ভালো ডোমেইন নেম কিনেছেন যা অন্য কেউ কিনতে বেশ আগ্রহী।

সে ক্ষেত্রে আপনি যে দামে ডোমেইন কিনেছেন তার চেয়ে আরো অনেক বেশি দামে তা বিক্রি করে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারেন।

কন্টেন্ট রাইটিং করে আয়-

ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনার এই সময়টাতে লেখার হাত অনেকটা ভাল থাকে কেননা তারা বিভিন্ন উপন্যাস কিংবা গল্প পড়ে সে হিসাবে লেখার চেষ্টা করে। অনেকেই শখের বসে অনেক ভালো কিছু লিখে ফেলে। হয়তো আপনিও তেমনি একজন।

আচ্ছা আপনি একবার ভাবুন আপনার এই ভালো লেখাটির জন্য আপনাকে কেউ টাকা দেয় তবে আপনার কেমন লাগবে? নিশ্চয় ভালো, তাই না? হ্যাঁ, কন্টেন্ট রাইটিং জবটাও ঠিক এমন আপনি অন্যের জন্য কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে লিখে দিবেন।

আর এটি আপনার ক্লায়েন্ট নিজের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করবে। কন্টেন্ট রাইটিং জব বর্তমানে এক তুমুল খ্যাতি অর্জন করেছে।কেননা প্রতিদিনই যেহেতু ওয়েবসাইটের সংখ্যা বাড়ছে আর তাই ওয়েবসাইটের জন্যও কন্টেন্টও প্রয়োজন পড়ছে অধিক পরিমাণে।

তাই আপনার লেখার হাত যদি ভালো হয়ে থাকে তবে একটি ওয়েবসাইটে পার্টটাইম রাইটার হিসাবে কাজ করে সপ্তাহে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। কথা হলো এই কাজটি কিভাবে খুজবেন?

হ্যাঁ, এ ধরনের কাজ খোঁজা একটু কঠিন কেননা এখন কন্টেন্ট রাইটিং এর অনেক ডিমান্ড হলেও ওয়েবসাইটগুলো আমাদের নজড়ে খুব কমই আসে। তবে চিন্তা নেই আমি কিছু ওয়েবসাইটের নাম দিয়ে দিচ্ছি যেখানে কাজ করে আপনিও একটি ভালো মানের অ্যামাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন। সেগুলো হলো-

জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম

বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় , শুধু বাংলাদেশে বলব না ভারত এর পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ মিলিয়ে জে আইটি একটি তুমুল জনপ্রিয় ওয়েবসাইট।

যেখান সারা বছরই রাইটার নিয়োগ দেয়া হয়। অর্থাৎ আপনি যেকোনো সময় সেখানে লিখতে পারবেন। আর এখানে কাজের কোনো চাপও নেই। সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনি যদি এই সেক্টরে নতুন হয়ে থাকেন জে আইটি আর্নি প্রোগ্রামে লিখে লেখার হাত আরো ভালো করে নিতে পারেন।

আর চমৎকার করার মতো বিষয় এটিই যে এখানে 350 শব্দের একটি আর্টিকেল লিখলেই সেটা পাবলিশ করা হবে। এবং আপনার আর্টিকেল যত ভিউ হবে আপনার তত ইনকাম হতে থাকবে। একটি লেখার জন্য 4000 টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। সুতরাং এমন সুযোগ হাত ছাড়া করার প্রশ্নই উঠে না। কি বলেন?

অর্ডিনারী আইটী-

বাংলাদেশে সম্প্রতি চালু হওয়া আরেকটি ওয়েবসাইট হলো অর্ডিনারী আইটি। এটি যেহেতু নতুন তাই এখানে এখনো রাইটার বা লেখক নিয়োগ চলছে। আর এক্কেবারে নতুন রাইটারদের জন্য তারা রাখছে একটি কোর্স যার মাধ্যমে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছু জানতে পারবেন। কোর্সটির মূল্য মাত্র ১০৫০ টাকা। তবে ঘাবড়াবেন না যেন।

১০৫০৳ আপনার প্রথম মাসের বেতনের সাথে ফেরতযোগ্য। আর ২য় মাস থেকে আপনি পাবেন একটী ফিক্সড অ্যামাউন্টের জব। যেখানে প্রতি মাসেই আপনাকে দেয়া হবে ৮০০০ টাকা করে। আর আপনি যদি বাড়তি কাজ করতে পারেন তাহলে তো তা আরো বেড়ে যাবেই। সত্যি অনেক দারুণ একটি অফার। দেরি না করে আজকেই ইনকাম শুরু করুন।

লোগো ডিজাইনিং করে আয়-

লোগো একটি কোম্পানি বা ওয়েবসাইট যাই বলুন না কেন একটি ব্যবসার মূল সার্ভিসটাকে তুলে ধরে। তাই একটি লোগো এর উপর ব্যবসা অনেকটাই নির্ভর করে।

আর তাই কোম্পানি কিংবা ওয়েবসাইটগুলো চায় ভালো করে তাদের লোগোটি তৈরি করতে। আর তাই তারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে মার্কেটপ্লেসে লোগো ডিজাইনার এর বিজ্ঞাপন দেয়।

এখন আপনি যদি একজন ভালো লোগো ডিজাইনার হয়ে থাকেন তবে খুব সহজেই এসব কাজে বিড বা অ্যাপ্লাই করে কাজটি করতে পারেন। আর চমৎকার হয়ে যাবেন এটা শুনে যে একটা লোগোর দামই ৩০ ডলার থেকে ৪০ ডলার পর্যন্ত( যদিও এটা খুবই হাই ফাই কোনো লোগোর জন্য) । লোগো ডিজাইনার হিসাবে এভাবেই নিজের ক্যারিয়ারটি শুরু করে দিতে পারেন।

চাকরির রিজিউম রাইটার হয়ে আয়-

পড়াশুনা শেষ করে চাকরি খুজছে এমন কারোর জন্য আপনি আপনার এই ছাত্র অবস্থাতেই সিভি বা রিজিউমি লিখে দিতে পারেন আর এটাই হলো একজন রিজিউম রাইটার এর কাজ।

একটি চাকরির যেহেতু অনেকটাই নির্ভর করে প্রার্থীর রিজিউম কেমন তার ওপর তাই ক্লায়েন্ট আপনাকে টাকা দিতে কখনো কার্পণ্য বোধ করবে না। কি ভাবছেন এমন একটি ছোট কাজের জন্য কেউ আপনাকে নক দিবে না? তাহলে শুনে রাখুন আপওয়ার্ক এবং অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে এর চাহিদা ব্যাপক।

শুধু কি তাই?

এই রিজিউম লেখকদের জন্য আজ কত কত ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে তা শুনলে আপনি চমকে যাবেন। হ্যাঁ, রিজিউম রাইটারদের নিয়ে তৈরি হওয়া অন্যতম কয়েকটি ওয়েবসাইট হলো-

১। রিজিউম স্লাস ভেগাস

২। বেস্ট টেন রিজিউম রাইটার্স

৩। রিজিউম রাইটিং গ্রুপ

তো দেরি কেন আপনি যদি মনে করেন আপনি এই সেক্টরে ভালো করতে পারবেন তো আজিই শুরু করুন।

বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য প্রশ্ন তৈরি করা-

আপনি যদি একটু আশেপাশে অর্থাৎ ইন্টারনেটে নজড় রাখেন তাহলেই দেখতে পাবেন যে এখন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে পড়াশুনা নিয়ে। মূলত এগুলো বিভিন্ন স্কুলের। আর তারা তাদের এই ওয়েবসাইটগুলোতে পাঠ্যবই হতে বিভিন্ন প্রশ্ন দিয়ে থাকে। তবে সময়ের স্বল্পতার কারণে তারা এই কাজগুলো নিজে নিজে করতে পারে না। আগের কাজগুলোর মতোই এ কাজগুলোতেও কিছু লোক প্রয়োজন পড়ে। অর্থাৎ আপনিও পাঠ্যবই থেকে প্রশ্ন লিখে তা এক্সেল ফাইলে সেভ করে এইসব ওয়েবসাইটে দিতে পারেন। তবে এর জন্য আপনাকে কন্ট্রাক্ট বেসিস এ কাজ করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলে কাজ নিতে হবে। যদিও এ কাজগুলোর খোঁজ পাওয়া খুবই কঠিন তারপরও অসম্ভব কিন্তু নয়।

স্টুডেন্টদের অনলাইন আয় সম্পর্কে কিছু মতামত-

শিক্ষার্থীদের যে অনলাইন ইনকামের কথা উপরে বলা হয়েছে তা কিন্তু শুধুই পার্টটাইম হিসাবে। আপনি কখনোই এটাকে আপনার ভবিষ্যত হিসাবে নিতে পারেন না। কেননা পড়াশুনা করে এর চেয়েও অনেক কিছু ভালো কিছু করার সামর্থ্য আপনার রয়েছে।

আর তাই উপদেশ একটা পার্ট ইনকামকে পার্টটাইম রেখেই পড়াশুনার যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর উপরোক্ত কাজ সম্পর্কে যা বলার তা হলো আপনাকে যেকোনো একটি কাজ বেছে নিয়ে তা তেই মন দিতে হবে। একাধিক কাজ এক সাথে করতে গেলে জগাখিচুড়ি হয়ে যাবে সব।

আর তাই যদি সফলতা পেতে চান আপনাকে অবশ্যই উপরোক্ত কাজগুলো মন দিয়ে করতে হবে এবং যেকোনো একটি করতে হবে। আরেকটি বিষয় তা হলো আপনি যাই নির্বাচন করুন না কেন আপনাকে একটা নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হবে। আর তা হলেই আপনার সাফল্য সূচিত হবে। ধন্যবাদ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ