২০২৩ সালে টাকা আয়ের কয়েকটি সহজ উপায় কি?

টাকা আয়ের অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আছে। আপনি কোন ক্যাটাগরি মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান সেটা নির্ভর করে। আপনি যদি চান ই-কমার্স এর মাধ্যমে আয় করবো তাহলে করতে পারেন।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আপনি যদি চান, আমি গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করবো তাহলেও করতে পারেন। আপনার যদি লেখালেখির শখ থাকে তাহলে এটাকে কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারবেন।

আজকে আপনাদের কে নিয়ে কয়েকটি মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করবো যেখান থেকে আপনি ভালো মতো আয় করতে পারবেন। 

আপনার যদি একটু একটু ধারণা ও থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে আয় করতে পারবেন। 

১.ব্লগিং থেকে আয় 

আপনার লেখা লেখির শখ আছে তাহলে ব্লগিং থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। আপনি নিজেই একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

অনলাইনে এর মাধ্যমে আপনার আইডিয়া কে কিছু টেক্সট এবং ছবির মাধ্যমে ব্লগ আকারে শেয়ার করে ব্লগিং করতে পারবেন। 

ব্লগিং করতে কি কি লাগে? 

ব্লগিং করতে আপনার, ডোমেইন নাম, হোস্টিং এবং আপনার যে বিষয় নিয়ে লেখা লিখি করবেন সে বিষয় নিয়ে কিছু এডভান্স ধারণা। 

ডোমেইন নাম কি? ডোমেইন নাম হলো ওয়েবসাইট এর এর নাম। মনে করুন আপনি একটা দোকান খুলবেন তার একটা নাম লাগবে, অনলাইনে এটাকে বলা হয় ডোমেইন নাম।

দোকানের নাম আর ওয়েবসাইট এর নাম কিন্তু এক প্রকার সেইম।

হোস্টিং কি?

আপনি দোকান খুলবেন, দোকানে এর নাম ঠিক হলো।দোকানের একটা জায়গা লাগবে তো, দোকান টা কত বড় হবে দোকানে স্পেস কে অনলাইনে এটাকে হোস্টিং বলা হয়। 

আপনার ওয়েবসাইট এর স্পেস কে হোস্টিং বলে। 

আপনি যে বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবেন সে বিষয় নিয়ে আপনার ওয়েবসাইট আর্টিকেল প্রকাশ করুন। আপনার আর্টিকেল প্রকাশ হওয়ার পর সেটা শেয়ার করুন সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

ওয়েবসাইট থেকে আয় করা মাধ্যমে? 

ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে আয় করা যায়। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমে হলো গুগল এডস এর মাধ্যমে।

গুগল এডস এর জন্য আপনার ওয়েবসাইট কে উপযোগী করে তুলুন। তার জন্য গুগলের কিছু শর্ত মেনে চলুন। ওয়েবসাইট কে সুন্দর মতো সাজানো, প্রয়োজনিয় ওয়েব পেইজ তৈরি করা। 

1. About Us

2. Disclaimer 

3. Tram and condition 

এই পেইজ গুলো তৈরি করে তার পর আপনার ওয়েবসাইট কে গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন।

২ গ্রাফিক্স ডিজাইন 

গ্রাফিক্স ডিজাইন সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলাদেশর মধ্যে। আপনার যদি ডিজাইন স্কিল থাকলে কয়েকটি মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কোথায় শিখবেন সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো ইউটিউব। ইউটিউবে আপনি ভালো করেন ডিজাইন শিখতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কোথায় ইনকাম করবেন? বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে আয় করতে পারবেন। সেটা হোক fiverr অথবা Freelancer সাইটগুলো তে।

শুধু কি এখানে আয় করা যায়।অন্য কোন মাধ্যম আছে। অবশ্যই অন্য আরও অনেক মাধ্যম আছে। তারমধ্য হলো মাইক্রো স্টোক সাইট আপনার ডিজাইন আপলোড দিবেন, যতবার বিক্রি হবে ততবার একটা কমিশন আপনি পাবেন।

জনপ্রিয় স্টোক সাইট হলো। এডোবি স্টক,শাটারস্টক, ফ্রিপিক এর মতো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। 

৩. দারাজ থেকে আয়

আয়ের জনপ্রিয় আরেকটা মাধ্যম হলো দারাজ। দারাজ থেকে আপনি অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমে একটা ভালো আয় করতে পারবেন।

দারাজ থেকে আয়ের জন্য আপনাকে একটা ওয়েবসাইট লাগবে বা একটা প্ল্যাটফর্ম লাগবে যেখানে আপনি দারাজ এর পণ্য প্রমোট করবেন। 

আপনার কনটেন্ট যদি ভালো হয় তাহলে। আপনি প্রতিমাসে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। নিসন্দেহে দারাজ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। 

৪. ছবি বিক্রি করে

এটা কিন্তু ভিন্নতা নেই। গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে যেভাবে আয় করবেন ঠিক তেমনি ছবি বিক্রি থেকেও আয় করতে পারবেন।

ছবি বিক্রি করা জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমে হলো এডোবি স্টক এবং শাটারস্টক এখানে থেকে আপনি ভালো মতো আয় করতে পারবেন।

তার চেয়ে বরং Instagram ও আপনি আয় করতে পারবেন আপনার রিলস শেয়ার করে। আপনি একজন ফটোগ্রাফার আপনার আয়ের কোন ধরণ বা লিমিটেড নেই।যে কোন উপায়ে আপনি আয় করতে পারবেন। 

৫. ই-কমার্স সেলার

ই-কমার্স এর নাম শুনলে দারাজ এর নাম চলে আসে সবার প্রথমে।দারাজ আপনি একজন সেলার হতে পারেন আপনার কোন পণ্য দারাজে বিক্রি করতে পারবেন। মনে করুন আপনার জেলায় আপনি শুঁটকি মাছের জনপ্রিয়তা বেশি।

আপনি শুঁটকি মাছ দিয়ে দারাজে একজন সেলার হতে পারেন। দারাজ সেলার হতে হলে আপনাকে দারাজ এর কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে তাহলে দারাজ আপনাকে তাদের সাথে ব্যববসা করার সুযোগ দিবে।

আপনি শুধু শুটকি না, যে কোন পণ্য দিয়ে দারাজে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তার জন্য আপনার কিছু কাজ করতে হবে।

যে ব্যবসা করবেন তার জ্ঞান থাকা।আপনার ব্যবসার জন্য কিছু ইনভেস্ট, ইনভেস্ট থাকলে আয় করা খুব সহজ। দারাজ নিজেই আপনার পণ্য মার্কেটিং করবে,আপনার থেকে কিছু করতে হবে না।

শেষ কিছু কথা, আপনাদের কে ৫ টি বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করলাম। আপনি যে বিষয় নিয়ে ভালো দক্ষ মনে করেন সেটা নিয়ে আপনি আয় করতে পারবেন।

আয় করার জন্য নলেজ প্রয়োজন, আপনার একাডেমিক কোন ডিগ্রি প্রয়োজন নেই। আপনি চাইলে ব্লগিং শুরু করতে পারেন অথবা দারাজে একজন সেলার হয়ে ও আয় করতে পারবেন।

আপনার নিজের পণ্য না থাকলে অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমে ও আপনি আয় করতে পারবেন। 

আপনি ২০২৩ সালে কোনটি নিয়ে শুরু করতে চান সেটা কমেন্ট করে জানিয়ে দিতে ভুলবেন না।আশা করি ২০২৩ সালে আপনার অনলাইন আয় হবে বেশি।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ