আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়ন যা কল্পনাকেও হার মানায়, প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার

আসসালামু আলাইকুম। একটা সময় ছিল যখন এই সভ্যতা এত উন্নত ছিল না। ছিল না আজকের মত এত উন্নতমানের জীবনযাপন। আজকের দিনে যে কাজটা কয়েক মিনিটে করা সম্ভব হচ্ছে,একসময় তা করতে কয়েক মাসও লেগে গেছে। কি কষ্টটাই না করতে হয়েছে আগেকার দিনের মানুষগুলোকে।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

কিন্তু এখন ভাবতে অবাক লাগে,অনেক জটিল জটিল কাজ এখন শুধু মাত্র একটা ক্লিকে করা সম্ভব হয়ে উঠেছে।মানুষের কষ্টের লাঘব ঘটেছে। মানুষ এত উন্নত জীবন যাপন করতে পারছে। আজকের সভ্যতা এত উন্নত হয়ে উঠেছে। আর এসবের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে প্রযুক্তির। এই প্রযুক্তির কারনেই আজকের এই সুন্দর ও উন্নতমানের বিশ্ব আমরা পেয়েছি।

এই প্রযুক্তির কারনেই মানুষ এত এত উন্নত জীবন যাপন করতে সক্ষম হয়েছে, লাঘব করতে পেরেছে তাদের কষ্টটাকে। আর এই প্রযুক্তি নিয়াই আজকের আর্টিকেলটা সাজানো হয়েছে, যেখানে থাকছে প্রযুক্তি বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা। যাতে আপনারা প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার, এর অপব্যবহার দূরীকরণ, আমাদের জীবনে প্রযুক্তির প্রভাব, প্রযুক্তির অগ্রগতি ইত্যাদি সকল বিষয়ে বিস্তারিত অবগত হতে পারেন।আশা করি ভালো লাগবে।

প্রযুক্তি কি: যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান প্রয়োগের ব্যবহারিক জ্ঞান ৷

প্রযুক্তি বলতে কি বুঝায়: প্রযুক্তি বলতে কোন একটি প্রজাতির বিভিন্ন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান প্রয়োগের ব্যবহারিক জ্ঞানকে বোঝায়। নিজের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে প্রজাতিটি কেমন খাপ খাওয়াতে পারছে এবং তাকে কিভাবে ব্যবহার করছে তাও নির্ধারণ করে প্রযুক্তি।

মানব সমাজে প্রযুক্তি হল বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলের একটি আবশ্যিক ফলাফল। অবশ্য অনেক প্রাযুক্তিক উদ্ভাবন থেকেই আবার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের অনেক জ্ঞানের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে।আবার,যেকোন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান সম্বন্ধে জ্ঞান এবং তা দক্ষভাবে ব্যবহারের ক্ষমতারকেও প্রযুক্তি বলা হয়।

প্রাচীন কালের প্রযুক্তি : প্রাচীনকালে মানুষ বন জঙ্গপ্রযুক্তিলে বসবাস করত।তারা বিভিন্ন পশুর মাংস খেয়ে জীবন বাঁচাত।তখনকার সময়টাতে মূলত প্রযুক্তির সূচনাটা হয়।তবে সে সময় পশু শিকার,আত্মারক্ষা ইত্যাদি কাজে তারা বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র, লাঠি ইত্যাদি তৈরি করত। মূলত এগুলোই ছিলো সে সময়ের প্রযুক্তি।

তখন থেকেই ধীরে ধীরে প্রযুক্তির বিকাশ হতে থাকে।মানুষ জন প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে থাকে। সেই সাথে তারা উন্নতর জীবনযাত্রার দিকে অগ্রসর হতে থাকে।মানুষ যখন আগুন জ্বালাতে শিখলো, তাদের জীবনধারাটা আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়ে গেলো। এটাও কিন্তু প্রযুক্তি। সভ্যতার ছুঁয়া পেতে থাকলো প্রযুক্তির কারনে। আর এই প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষ প্রাচীন কাল থেকেই করে আসছে।আর বর্তমান সভ্যতায় এসে পৌছাতে পেরেছে।

বর্তমান কালের  প্রযুক্তি: বর্তমানে যে উন্নত সভ্যতায় এসে আমরা পৌঁছেছি।তাতে উন্নত প্রযুক্তিরই অবদান।বর্তমানে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার নাই।প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে অনেক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।যে কারনেই মূলত আজকের বর্তমান এত উন্নত। শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, বিনোদন, কর্মক্ষেত্র,বসবাস ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যাধিক।

এগুলোতে প্রযুক্তি ব্যবহার করার কারনে অনেক উন্নত হয়ে উঠেছে এই ক্ষেত্রগুলো। মানুষ অল্প পরিশ্রমেই কাজ করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান উন্নতি সম্ভব হতো না যদি প্রযুক্তি না থাকত। এখন ঘরে বসেই পাঠদান করানো যাচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষা,রেজাল্ট ইত্যাদি অনলাইনের মাধ্যমে করা যাচ্ছে।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে এখন উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।আর যোগাযোগ ব্যবস্থা এতই উন্নত লাভ করেছে যে এখন এই বিশ্ব টা মানুষের হাতের মুঠোয়।পৃথিবীর এই প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে মূহুর্তের মধ্যেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে উঠেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা, বর্তমানে মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদির কারনে মানুষের জীবনেই পাল্টে গেছে। তারা অধিকতর উন্নত জীবন যাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

কম্পিউটার আবিষ্কার পুরো বর্তমানটাকেই পাল্টে দিয়েছে।প্রযুক্তির কারনেই আজকের বর্তমান এত সুন্দর ও উন্নত মানের।

প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার: বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তির কারনে এত উন্নত। কিন্তু এই প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। জানতে প্রযুক্তির ব্যবহারের উপযুক্ততা। কেননা, প্রযুক্তির অপব্যবহার এর কারনে বর্তমান বিশ্বকে নানারকম জটিল সমস্যার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। নানাভাবে প্রযুক্তির অপব্যবহার হচ্ছে।কিন্তু এগুলো রোধ করতে হবে।প্রযুক্তিকে সঠিক কাজে ব্যবহার করতে হবে। যেখানে যতটুকু দরকার ততটুকুই ব্যবহার করতে হবে।পরিবেশকে বাঁচাতে হবে।

ইচ্ছামত প্রযুক্তির ব্যবহার করা যাবে না।প্রযুক্তি ব্যবহারে অবশ্যই আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। বর্তমানে এমনও প্রযুক্তিও রয়েছে যা এই বিশ্ব ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।আর এতে প্রযুক্তির সার্থকতা সফল হবে।।

প্রযুক্তির অপব্যবহারের কুফল: প্রযুক্তি যেমন উন্নতির হাতিয়ার ঠিক তেমনি উন্নত বিশ্ব নিমিষেই ধ্বংস করার কারণও বটে। বর্তমানে প্রযুক্তির এত উন্নতির সত্ত্বেও প্রযুক্তির অপব্যবহার করা হচ্ছে। সঠিকভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার না করার কারনে বিশ্ব ঝুঁকিতে ঢলে পড়ছে। প্রযুক্তির অপব্যবহারে নানারকম দূর্ঘটনা ঘটছে। হাজার হাজার মানুষের জীবন ধ্বংস হচ্ছে। পরিবেশ তার ভারসম্য হারিয়ে ফেলছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে।জীবকুল হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে।আরো হাজারো সমস্যা তৈরি হচ্ছে শুধু প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারনে। সেজন্য প্রযুক্তির অপব্যবহার পরিহার করে এর উপযুক্ত ব্যবহার করতে হবে।।তাহলেই উন্নত বিশ্ব আরো উন্নত হবে।

আসলে সবকিছুরই ভালো দিকের পাশাপাশি খারাপ দিকও রয়েছে।আমাদেরকে সেই খারাপ দিকগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে।প্রযুক্তির অপব্যবহার দূর করে যথাযথ ব্যবহার করা শিখতে হবে। প্রযুক্তির সার্থকতা অর্জন করতে পারলেই আরো উন্নত ও সুন্দর হবে আমাদের এই বিশ্ব।।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

Student.Studies at Ananda Mohan College,Mymensingh.