দির্ঘ কয়েক বছর আগের কথা। আমি গ্রামে বাস করতাম। আমার গ্রামের নাম উজানিপুর। আমরা ৩ ভাই বোন। আমি সবার বড়। আমার বাবা মা সহ আমরা ৫ জনের সদস্য। আমার বাবা একজন কৃষক এবং মা গ্রীহিনী। আমার বাবা অনেক কস্টে আমাদের লালন পালন করেছেন। আমরা তিন ভাই বোন ই লেখা পরা করতাম ।
আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন
সাংসারিক খরচ চালাতে আমার বাবা হিম সিম খেতেন। আমি আমার বাবার কষ্ট সহ্য করতে পারতাম না। আমি ঠিক করেছি যে আমি আমার লেখা পরা স্থগিত রাখবো। আমি বাবাকে এ কথা যানালাম। বাবা রাজি হলোনা। আমি বাবা কে জোর করলাম। অবশেষে বাবা রাজি হল। আমি শুরু করলাম মাঠে কাজ করা।
দির্ঘ ৩ বছর কাজ করার পর আমি আবার লেখা পরা শুরু করি। এখন মোটা মোটি আমাদের পরিবার একটা সাভাবিক পর্যায়ে এসেছে। আমি ক্লাস ৭ এ ভর্তি হলাম। এর আগে আমি ৭ম শ্রেনীতে পড়াশোনা স্থগিত রেখেছিলাম। যাই হোক আমি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লেখা পরা করতাম এবং বিকালে কাজ করতাম। এভাবে চলতো আমাদের জীবন। আমার ছোট 2 বোন একজন ক্লাস 4 এ পরে অন্য জন ক্লাস 5 এ পরে। কয়েক মাস পর আমার এস এস সি পরিক্ষা ।
বাবাকে বলালাম বাবা আমার প্রাইভেট পরবো। না হলে পাস করতে পারবো না। বাবা বললো ঠিক আছে পরো। প্রাইভেট নিলাম । এখন আর কাজ করতে পারি না। পড়াশোনার প্রচুর চাপ। কোন মতে পড়িক্ষা দিলাম। আলহামদুূিলিল্লাহ পড়ীক্ষা গুলো খুব ভালো হইসে। যাই হোক পড়ীক্ষা শেষে ছুটি পেলাম বেশ কিছুদিন।
আবার কাজ করা শুরু করে দিলাম। কেটে গেল 2 মাস। আজকে আমার রেজাল্ট বের হবে । খুবই চিন্তায় আছি। অবশেষে 12 টার সময় গেলাম স্কুল এ। সেখানে যেতে যেতে 1 ঘন্টার মতো দেরি হলো। স্কুল এ যেতেই বন্ধুরা সব ধরলো আমাকে। বললো মিস্টি কই? আমি অবাক হয়ে বলালাম কিসের মিস্টি?
এবার তারা আমাকে বললো যে আমি নাকি এ+ পাইসি(আলহামদুলিল্লাহ)। আমি তো অনেক খুশি। আমি এক দৌর দিয়ে বারিতে গিয়ে মা- বাবাকে খবর টা যানাই তার তো অনেক খুশি হলো। আমাদের অভাবের সংসারে অভাব তারাতে তারাতে যে আামি এত ভাল রেজাল্ট করবো ভাবেতেই পারিনাই।
আজকের মতো এতটুকুই-- অন্যদিন আবার শোনাবো) ধন্যবাদ সবাইকে পরার জন্য।
You must be logged in to post a comment.