কিভাবে মানসম্মত আর্টিকেল লিখতে হয়।

বেশিরভাগ সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন এবং ব্লগসাইটগুলো মানসম্পন্ন আর্টিকেল খুঁজে থাকেন। এবং এই কাজের জন্য তারা লেখকদের একটা ভাল পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

বাংলা ভাষার ব্লগসাইট গুলোতেও আর্টিকেলের চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ বাংলা লিখেও আপনি এখন ভালো পরিমান অর্থ আয় করতে পারবেন।

কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না কিভাবে একটি মানসম্মত আর্টিকেল লিখতে হয়। একটি মানসম্মত আর্টিকেল লেখার পূর্বে প্রয়োজন ভালোভাবে পরিকল্পনা করা। 

আপনার আইডিয়া যদি পরিকল্পনা মাফিক হয়। তাহলে আপনি আপনার আর্টিকেলটিকে সঠিকভাবে, সংক্ষিপ্তভাবে, স্পষ্টভাবে, সুসঙ্গতভাবে এবং সম্পূর্ণরূপে লিখতে পারবেন।

এখানে আমি ৫ টি কৌশল উল্লেখ করেছি।  যা একটি মানসম্মত আর্টিকেল লিখতে সহায়তা করবে। অতএব আর্টিকেল লেখা শিখতে পুরো লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

একটি মানসম্মত আর্টিকেলের মৌলিক উপাদান হচ্ছে,,

  1. একটি উপযুক্ত টাইটেল।
  2. উৎসাহ দানকারী ওপেনিং প্যারাগ্রাফ।
  3. মূল অংশ
  4.  সমাপনী অনুচ্ছেদ 

 ১.  উপযুক্ত টাইটেল

 একজন পাঠক টাইটেলের উপর নির্ভর করে পুরো লেখাটি পড়বে কি পড়বে না। এজন্য টাইটেলকে একটি আর্টিকেলের প্রাণ বা মূল বলা হয়। 

প্রথমত, আপনার আর্টিকেলের টাইটেলের দিকে ফোকাস করুন। কিভাবে এটা তথ্য-বহুল এবং আই-ক্যাচিং করা যায়।

টাইটেল এর মধ্যে যে দুইটা বিষয় অন্তরভুক্ত থাকবে।

  • সার্চ-ফ্রেন্ডলি কি-ওয়ার্ড ।
  • পুরো আর্টিকেলের বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এমন একটি কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন যেটা সহজেই গুগলে র‍্যাংক করে। এবং পাঠকরা সহজেই আপনার আর্টিকেলটি খুঁজে পায়। আপনাকে এসইও সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। 

 ২. একটি উদ্বোধনী অনুচ্ছেদ

আপনার আর্টিকেলের ওপেনিং প্যারাগ্রাফটা এমনভাবে লিখতে হবে, যাতে করে পাঠকরা প্রথম প্যারাগ্রাফ টা পড়ে বাকি প্যারাগ্রাফ গুলো পড়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আগ্রহী হয়। 

ওপেনিং প্যারাগ্রাফটি হবে যেমন তা,

  • পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে। 
  • যে টাইটেল টা দিয়েছেন, তার একটি ধারণা প্রথম প্যারাগ্রাফ এর মধ্যে দিতে হবে।
  •  কৌতূহল জাগিয়ে তোলে।
  • আর্টিকেলের বাকি অংশগুলো পড়তে আগ্রহী হয়। 

৩. মূল অংশ 

মূল অংশ বিভিন্ন তারাই বিভক্ত থাকবে। প্রতিটি প্যারা একটা নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে লিখতে হবে। অপ্রয়োজনীয় তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে নয়তো পাঠক বিরক্ত অনুভব করবে এবং লেখাটা আর পড়তে চাইবে না।

এ কারণে একজন আর্টিকেল লেখক কে লেখার ক্ষেত্রে মূল অংশের দিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।  

পাঠকের কাছে এটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য বিভিন্ন রেফারেন্স দিতে পারেন দিতে পারেন।

একটি মানসম্মত আর্টিকেল লেখার জন্য মূল অংশের যে বিষয়গুলোর দিকে আপনাকে মনোযোগ দিতে হবে তা হচ্ছে,

  •  প্রয়োজন অনুসারে অনুচ্ছেদ সাজানো। 
  •  প্রতিটি অনুচ্ছেদ একটি কেন্দ্রীয় ধারণা কে উদ্দেশ্য করে লেখা। 
  •  বিশ্বাসযোগ্য তথ্য এবং রেফারেন্স। 

 ৪. সমাপনী অনুচ্ছেদ 

শেষ প্যারাগ্রাফে আপনার মূল কথাটি লিখুন, এবং পাঠকদের কিছু প্রশ্ন করুন। এবং সে প্রশ্নের উত্তর দিন। কিছু কৌতুহল রেখে দিন, যাতে করে পাঠক ভবিষ্যতে আপনার যেকোনো লেখা পড়তে আগ্রহী হয়। এবং আপনাকে ফলো করে রাখে।

 সমাপনী অনুচ্ছেদে বেশিরভাগ লেখক যে কৌশলটি অনুসরণ করেন তা হচ্ছে,

  •  আর্টিকেলটির একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ।
  •  পাঠকের কাছে একটি প্রশ্ন রেখে দেওয়া।
  • পরবর্তী আর্টিকেলে সে প্রশ্নের উত্তরেরপ্রতিশ্রুতি দেওয়া।

৫. প্রুফ-রিডিং

লেখাটি সাবমিট করার পূর্বে লেখাটি বারবার পড়ুন এবং দীর্ঘ বাক্যগুলোকে কেটে ছোট করুন। একটা লেখা লেখার পরে কমপক্ষে তিনবার সেটাকে পুনরায় যাচাই বাছাই করুন।

লেখক পাড়ায় একটি কথা প্রচলিত রয়েছে যে এক ঘন্টা লেখুন এবং ৫ ঘন্টা সেটাকে যাচাই বাছাই করুন।

আপনি যে তথ্যগুলো দিবেন সেটা কি অবশ্যই সত্য কিনা তা যাচাই বাছাই করবেন কারণ একবার যদি পাঠক ভুল তথ্য পায় তাহলে সে আর কখনো আপনার লেখা পড়বে না।

 যাইহোক, লেখা একটি সাধনা.  শুরুতেই আপনি খুব ভালো করতে পারবেন না। কিন্তু ধীরে ধীরে আপনি লেখা লিখিতে দক্ষ হয়ে উঠবেন। 

এমনকি প্রথম দিকে আপনি লেখার বিষয়বস্তু খুঁজে পাবেন না। কি লিখবেন সেটাও খুঁজে পাবেন না।  এজন্য ধৈর্য ধরুন এবং বেশি বেশি ব্রেন-স্টোমিং করুন।

যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ?

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

বাগাতিপাড়া, নাটোর থেকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ অনার্স শেষ করে মাস্টার্স করছি। ৪ বছর হলো এই জগতে আসছি। ভবিষ্যতে লিখালিখির প্লাটফর্মে ভাল কিছু করার ইচ্ছা আছে। সকলের দোয়া পার্থী।