(-,-)এ (+) কেন হয় ,কীভাবে হয়। খুব সহজ । সাথে দুটি ধাঁধা।

-,- এ কীভাবে + হয় ;- আমরা এ টেক্সট এ সহজভাাবে বুঝানোর চেষ্টা করেছি  বিষয়টাকে। একদম প্রাথমিক থেকে সবাই আশা করি বুঝতে পারবে ।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আশা করি সবাই টেক্সটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে । এর শেষে থাকছে  একটি ধাঁধা । তাহলে শুরু করা যাক ; 

(-,+)=(-) ,(+,-)=(-)আবার (+,+)=(+) হওয়ার সহজ ব্যাখ্যা ;

+,- এগুলো গানিতিক প্রতীক । আমাদের অংক করার সময় মনে হতে পারে যে ,কীভাবে (-,-)এ (+)হয়,আবার (-,+)এ (-) হয় এবং কেন  (+,+)এ (+)হয় । কিন্তু কীভাবে হয় তা জানি না । আজ আমরা সহজভাবে তা জানার চেষ্টা করব ।

কীভাবে (-,-)এ (+)হয়  ,(-,+)এ (-)হয় , (+,+)এ (+) হয় তা আমরা বাংলা বাক্যের মাধ্যমে বুঝতে চেষ্টা করতে পারি । যেমন আমরা যদি বলি ,

                          এটা ঠিক না যে , আমি ফল খাই না যে ,আমি ফল খাই 

উপরের বাক্যটির প্রথম চরণটি (Part) না অর্থ প্রকাশ করেছে এবং পরের  চরণটি হ্যাঁ অর্থে প্রকাশ পেয়েছে । এবং এর অর্থ হল আমি ফল খাই না ,যা না অর্থে প্রকাশ পেয়েছে। 

এখানে হ্যাঁ এবং না মিলে না অর্থ প্রকাশ পেয়েছে। এভাবে হলো হ্যাঁ ,না = না।

তাহলে,(-,+)=(-) হয় । এভাবে (-,+) এ (-) হয় । আশা করি বুঝেছ ।

এখন,(+,+) এ (+) হয় কীভাবে তা দেখবো ;

এভাবে যদি বলি যে,

                      এটা ঠিক যে ,আমি ফল খাই

এর অর্থ হলো আমি ফল খাই । এখানে দুটি পজিটিভ চরণ দিয়ে বাক্যটির অর্থ পজিটিভ হয় । এখানে হ্যাঁ ,হ্যাঁ =হ্যাঁ হয়েছে ।

তাহলে (+,+) = (+) হয় ।

কিন্তু (-,-) এ কীভাবে (+) হয় । এখন তাই জানাবো ।

(-,-) এ কীভাবে (+) হয় ;

একই ভাবে যদি বলি যে ,

                            এটা ঠিক না যে ,আমি ফল খাই না

এই বাক্যের দুটি চরণ নাবোধক হলেও  এর অর্থ হলো আমি ফল খাই ,যা হ্যাঁবোধক বাক্য । এই বাক্যটি  নেগেটিভ আর নেগেটিভ দুটি চরণ দিয়ে  গঠিত । কিন্তু  এর অর্থ পজিটিভ এ প্রকাশ পেয়েছে । নেগেটিভ আর নেগেটিভ দিয়ে হয়েছে পজিটিভ । তাহলে বলা যাচ্ছে যে, (না,না) = হ্যাঁ ।

(-)আর (-) দিয়ে হয়েছে (+) । এভাবেই , (-,-) = (+) হয়।

এভাবে আমরা বাংলা বাক্য দিয়ে বিষয়টা  বুঝতে পারি । যদিও এটা  অংক বা রেখাচিত্র দ্বারা বুঝানো হয় নি । কারন এভাবে বুঝালে একটু কঠিন মনে হতে পারত।

কিন্তু এটা ছোট থেকে বড় সবাই আশা করি খুব সহজে বুঝতে পারবে । এটা মজা করে বুঝতে পারবে সবাই ,আশা করি । 

এটা কিন্তু এর আসল ব্যাখ্যা না । বুঝানোর জন্য এইভাবে বলা হল । আশা করি সবার এই ব্যাখ্যাটা ভাল লেগেছে ।

আপনি যদি ঠিকভাবে সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ধন্যবাদ । আর ভিতরে কোন ভুল হলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।

ধাঁধা শুরু ;

প্রথমে ধাঁধাগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন । তারপর যদি না পারেন তাহলে উত্তর দেখবেন।

আজকের প্রথম ধাঁধা হচ্ছে  ,

পানি যাকে ভেজাতে পারে না ,আগুন যাকে পোরাতে পারে না , অস্র যাকে কাটতে পারে না , রোগ যাকে ধরতে পারে না ,

যার আকার আছে কিন্তু শরীর নেই , কেও যাকে কাদাতে পারে না ,কেও যাকে হাসাতে পারে না , আলোতে বিদ্ধি পায় , একমাত্র অন্ধকারেই সে চলে যায় , বলতো কে সে ?

আজকের দ্বিতীয় ধাঁধা হলো ,

 ধর তুমি হঠাট অজানা এক দেশে চলে এসেছেন । এখন  সেখান থেকে বের হতে পারছেন না । সেখান থেকে বের হওয়ার তিনটি মাত্র দরজা আছে । কিন্তু সব দরজায় কিছু বিপদ আছে । প্রথম দরজায় থাকবে ভয়ংকর বিষাক্ত শাপ ।

দ্বিতীয় দরজায় আছে অনেক ভয়ংকর ভয়ংকর বিষাক্ত মাকড়শা । তৃতীয় দরজায় আছে ছয় (৬) মাস না খেয়ে থাকা বাঘ ,সিংহ । এখন তিন দরজায়ই প্রাণের ভয় ।

তুমি কোন দরজা দিয়ে গেলে বেঁচে ফিরে আসতে পারবে ?

                                         (একটু বুদ্ধি দিয়ে ভাবো তাহলে পেরে যাবে) 

ধাঁধাগুলোর উত্তর আগেই দেখবেন না । প্রথমে ছিন্তা করে দেখবে তারপর না পারলে উত্তর দেকবেন । 

ধাঁধাগুলোর উত্তর এখানে ,

প্রথম ধাঁধাটির উত্তর হলো -ছায়া ।

দ্বিতীয় ধাঁধাটির উত্তর হলো:- তৃতীয় দরজা । কারণ ছয় (৬) মাস না খেয়ে তো বাঘ ,সিংহ মরে পচে গেছে ।

আশা করি ধাঁধাগুলো ভালো লেগেছে । এর সঙ্গে শেষ করলাম আজকের টেক্সট। ধন্যবাদ ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ