মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার পাঁচটি সহজ উপায়।

মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। কিন্তু আপনাদেরকে আমি পাঁচটি সহজ উপায় বলবো যে মাধ্যম থেকে সত্যি সত্যিই মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যাবে, এবং মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আর্টিকেল শুরু করার আগে আমি আপনাকে একটি কথা বলতে চাই যে যে কোন কাজের ধৈর্য থাকা আবশ্যক। কারণ কোন কাজে প্রথমত সাফল্য অর্জন করা যায় না কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের পরেই সফলতা অর্জন হয়।

১. Youtube  চ্যানেল বানিয়ে অনলাইন ইনকাম:

বর্তমান যুগে ইউটিউব এর জন্য প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চায় দেওয়ার সাথে সাথে ইউটিউব দ্বারা মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে অনেকে। কিন্তু প্রথমত টাকা আয় করা এত সহজ নয়, এর পিছনে অনেক ধৈর্য থাকতে হয়।

আগে বলে রাখি ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য প্রথমে ইউটিউবে একটি প্রফেশনাল চ্যানেল ক্রিয়েট করতে হবে। তারপর চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে মনিটাইজেশন অন করে তারপর থেকে ইউটিউব থেকে আয় করা সম্ভব।

মনিটাইজেশন অন করার শর্তগুলো হলো এক হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ওয়াচ টাইম লাগবে। তবেই মনিটাইজেশন অন করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এটা মনে রাখবেন যে নিজের চ্যানেলে যে ভিডিও গুলো আপলোড করবেন সেগুলো যেন নিজের অরজিনাল ভিডিও হয়। যদি তা না হয় অন্যের ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করলে মনিটাইজেশন অন হবে না। এবং আপনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করবে।

তাই কষ্ট করে নিজের ভিডিও নিজে তৈরি করে নিজের চ্যানেলে আপলোড করবেন

ইউটিউবে কেমন ভিডিও আপলোড করতে পারবেন?

নিজের youtube চ্যানেলে যে কোন ধরনের ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। যেমন ফানি ভিডিও, মোবাইল রিভিউ, স্টোরি, যেকোনো রকমের ভিডিও আপনি আপলোড করতে পারবেন।

তাড়াতাড়ি সাকসেস পাওয়ার জন্য আপনি নিজের মোবাইলে টিউটোরিয়াল ভিডিও বানিয়ে আপলোড করবেন।

ভিডিও বানানোর সময় এটা খেয়াল করবেন যেন অন্যের ভিডিওর সাথে কোন জায়গায় আপনার ভিডিও কপি সেটা আমার জান মনে না হয়। এভাবে ভিডিও অরজিনাল করে আপলোড করতে থাকলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি মোবাইলে আয় করা শুরু করতে পারবেন।

শুধু নিজের ইউটিউব চ্যানেলে নিজের ভিডিও ছাড়লে তার ইনকাম হবে না টাকাটা আনবেন কিভাবে এটাও তো জানতে হবে। তাই না চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে টাকাটা কামাবেন।

Youtube থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন?

প্রথমে আপনার বেটা আপনার আপলোড করে নি এবং youtube এর ওয়েবসাইটে আসা হাজার হাজার মানুষ আপনার ভিডিওতে ভিউ করতে থাকে।

আপনার ভিডিও ভালো লাগলে তারা আপনার চ্যানেলটা সাবস্ক্রাইব করে রাখে পরবর্তী ভিডিও দেখার জন্য। ইউটিউবে মনিটাইজেশন অপশন রয়েছে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন যখন আপনার মনিটাই দূষানো হয়ে অন হয়ে যাবে। তখন youtube কোম্পানি করতে গুগল এডভাইটেজ আপনার ভিডিওতে দিবে এবং মানুষ আপনারে ভিডিও প্লে করার আগে ওই অ্যাডগুলো দেখবে।

এবং অ্যাডের মাধ্যমে আপনি ডলার আয় করতে পারবেন ধরেন আপনি আপনার চ্যানেলে ৫০ টি ভিডিও আপলোড করলেন। এবং প্রতিদিন 30 টি করে ভিউ আসতেছে তাহলে আপনার মাসে ভিউ আসতেছে ১৫০০ ১৫০০ ভিউ আসার ফল আপনার মাসে দেখবেন ৩০০ থেকে ৪০০ ডলার ইনকাম হবে।

এটা মনে করছেন খুবই অল্প কিন্তু মনে করেন আস্তে আস্তে আপনার সাকসেস আরো বেড়ে গেলে আপনার বিবারে বাড়তে থাকবে এবং আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন ইউটিউবের মাধ্যমে।

কিন্তু মনে রাখবেন একদিন এই সবকিছু সম্ভব নয় ধীরে ধীরে কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং ধৈর্য রেখে কাজ করতে হবে। এবং ইন্টারেস্ট রাখতে হবে তবেই আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন

২.অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস দিয়ে টাকা ইনকাম করুন:

নিজের মোবাইলে অ্যাপ এর মাধ্যমে ইনকাম করলে খুব একটা আয় হবে না। কিন্তু আপনি যদি স্টুডেন্ট বা হাউসওয়াইফ থাকে থাকেন এবং এক্সট্রা কিছু আয় করতে চান তাহলে এই পথটা আপনি বেছে নিতে পারেন।

Google প্লে স্টোরে গিয়ে আপনি যদি সার্চ দেন অনলাইনে ইনকাম বা রিচার্জ অ্যাপ ইনকাম ফ্রি ইনকাম এগুলো লিখে সার্চ দিলে এবলএবল অনেক ইনকাম করার অ্যাপ পাবেন।

এগুলো থেকে রিভিউ দেখে ট্রাস্টের যেকোনো অ্যাপ এ কাজ করতে পারবেন। ট্রাস্টেড দুটি এপস এর নাম হল পকেট মানি, টাকবক্স আপনি ইচ্ছে করলেই অ্যাপ এ কাজ করতে পারবেন এইগুলো গুগল প্লে স্টোর থেকে ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এবং এগুলো ডাউনলোড করার পর আপনাকে এমনি এমনি এরা টাকা দিবে না। টাকা দেন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কাজ করতে হবে ওই অ্যাপের ভেতরে তবে আপনি কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যেমন কাজগুলো হলো ভিডিও দেখা, অ্যাপস ডাউনলোড ডাউনলোডিং, রেফার করা ইত্যাদি তবে আপনাকে এড কর্তৃপক্ষ কিছু টাকা দেবে।

3. শর্ট লিংক ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম:

শর্ট লিংক থেকে কাজ করে টাকা আয় করা সত্যিই একবারেই সহজ পদ্ধতি। এখান থেকে খুব সহজেই মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়।

কিন্তু এখানে কাজ করতে হলে প্রথমে আপনাকে বিভিন্ন শর্ট লিংক ওয়েবসাইটে গিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর থেকে আপনি কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ট্রাস্টেড লিংক ওয়েবসাইট পাওয়ার জন্য আপনি google এ সার্চ দিলে বিভিন্ন শর্ট লিংক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন।

সেখানে বাছাইকৃত করে আপনি যেকোনো একটি সাইডে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি ভাবছেন শর্ট লিংক ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় করবেন  আসলে শর্ট লিংক হল গুগল shorter লিনক।

এখানে আপনাকে একটি বক্স দেওয়া হয় বক্সের মাধ্যমে যেকোন ওয়েবসাইটের লিংক শর্ট করতে পারবেন।

ইন্টারনেট থেকে ভিডিও গান আর্টিকেল যেকোনো বিষয়ের উপর লি ংক এখানের মাধ্যমে আপনি ছোট করতে পারবেন।

ধরেন আমার এই আর্টিকেল লিংক যদি আপনি shorter মাধ্যমে ছোট করেন। তাহলে আসল লিংক এর থেকে সরদার লিংকটি অন্যরকম দেখাবে।

আসল বিষয় হচ্ছে shorter ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন

আপনি যখন শর্ট লিংক ওয়েবসাইট এ কোন লি ংক ছোট করবেন তখন শর্ট করার সাথে সাথে ওই লিংক এর সাথে একটি এডভারটাইস লাগিয়ে দেওয়া হয়। যখন কোন ব্যক্তি ওই লিংক এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ঢুকবে তখন একটি অ্যাড ভিউ করতে হবে। এবং ওই এড এর মাধ্যমে কোম্পানি থেকে কিছু অংশ বা পারসেন্ট আপনাকে দিয়ে থাকে।

আপনি যদি আপনার শর্ট লিঙ্ক থেকে প্রতিদিন ১০০০ ভিউ করতে পারেন। তাহলে আপনি অনায়াসে ৫ থেকে ১৫ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

আসল কথা হচ্ছে এইসব কাজ আপনার মোবাইলের মাধ্যমেই করতে পারবেন। এবং মাথলি ভাল একটা ইনকাম করবেন ইনশাল্লাহ।

আপনার ইনকাম করতে হলে আপনার ধৈর্য এবং ইন্টারেস্ট থাকতে হবে। আপনি শুধু ভালো ভালো ভিডিও আর্টিকেল গুলো লিংক শর্ট করে আপনার ফেসবুক instagram whatsapp এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পেস্ট করবেন।

ওই লিংক থেকে যতগুলো গ্রাহক ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে আপনার তথ্য ইনকাম হবে। আপনি যত গ্রাহক করতে পারবেন আপনার তত ইনকাম হবে।

৪.ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা ইনকাম করুন:

যদি আপনার হাতে একটি মোবাইল ফোন থেকে থাকে তাহলে আপনি ওই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একটি ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট খুলে তার জনপ্রিয়তা করে তার মাধ্যম আপনি টাকা আয় করতে পারেন।

আজকাল পড়তে ব্র্যান্ড সার্ভিস প্রোডাক্ট গুলো instagram এর মাধ্যমে প্রচার করা হয়। এবং এর মাধ্যমে ভালো সুবিধা পাওয়া যায় আপনি আপনার instagram একাউন্ট এর মাধ্যমে পণ্যগুলো প্রচার করে কোম্পানির মাধ্যমে আপনি ভালো একটা পরিমাণে টাকা আয় করতে পারেন।

আজকাল অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা কিনা instagram এর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট সার্ভিস দিয়ে কোম্পানির কাছ থেকে প্রচুর টাকা আয় করে নিতে পারছে।

Instagram একাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে নিয়মিত কাজের ভিডিও এবং মজার মজার পোস্ট নিয়মিত করতে হবে।

এবং আস্তে আস্তে আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এর জনপ্রিয়তা হবে এবং তারপরে থেকে বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সরের মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারেন এভাবে আপনার instagram একাউন্টে প্রচুর ফলোয়ার হয়ে গেলে আপনি আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন ভাবে টাকা আয় করতে পারেন।

৫. ব্লগিং কি এবং ব্লক থেকে কিভাবে অনলাইনে আয় করবেন:

আপনি কি জানেন মোবাইল দিয়ে একটি ব্লগিং একাউন্ট করে অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকায় আয় করতে পারবেন। বর্তমান যুগে ব্লগিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং ক্রমাগত এটা একটা প্রফেশনাল ভাবে ক্যারিয়ার গঠনে সাফল্য অর্জনের পথ দেখিয়েছে।

আপনি অবশ্যই google এর google এর ব্লগার ডট কম ওয়েবসাইটে গিয়ে ফ্রি ব্লগ একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।

আপনার মোবাইল দিয়ে ব্লগ বানানোর জন্য মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগবে মোবাইল দিয়ে ব্লক তৈরি করে একেবারেই সোজা ব্লগে বিজি টর্চ আসা শুরু করলে নিজের ব্লগ রেজিস্টার করে google এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আয় শুরু করতে পারবেন।

আপনি যদি ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ল্যাপটপের প্রয়োজন নেই। আপনার আপনার নিজের হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে সহজেই ব্লগিং করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং নিয়ে যত বেশি ভিজিটর আসবে তত বেশি ইনকাম হবে আপনার তো আপনার এদিকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটে যেন ভালো ভালো টাইপের ব্লগিং করা হয়। এবং আপনি ভালো পরিমানের একটি আয় করতে পারবেন।

তো বন্ধুরা আপনাদেরকে আমি পাঁচটি ট্রাস্টেড এবং সত্যি সত্যি ইনকাম করা যায়। এমন পাঁচটি সাইট সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

এবং এর মধ্যে যেকোনো একটি বাছাই করে ইনকামের পথ সুগাম করতে পারবেন। এবং পরবর্তী আর্টিকেল নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে ইনশাল্লাহ ভালো থাকবেন সে পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ