চাকরি পাওয়ার সহজ টেকনিক

সরকারি চাকরি সোনার হরিণ।  কথাটি প্রথবাদ হলেও একদম সত্য। আপনি যদি একজন সরকারি চাকরি প্রার্থী হয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন সরকারি চাকরি পাওয়ার কতটা কঠিন বর্তমান সময়ে।  আপনি যদি ভালো পড়াশোনা করেও সরকারি চাকরি না পান তাহলে আমার আজকের লেখাটি শুধু মাত্র আাপনার জন্য।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আপনার জব না পাওয়ার পেছনে কারণ হলো আপনি টেকনিকের সাথে পড়ছেন না। আর আরেকটি কারণ হলো চাকরির বাজারে এখন প্রতিযোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। আপনি যদি ভালো ভাবে লক্ষ্য করেন। তাহলে অবশ্যই দেখতে পাবেন এসএসসি ও এইচএসসি পাশের যে চাকরি গুলো আছে এগুলোতে কমপিটিশন আগের তুলনায় অনেক বেশি। 

বিশেষ করে অফিস সহায়ক,  অফিস করণিক,  ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট,  টেলিফন অপারেটর, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার, হিসাব সহকারী পদ গুলোর চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা লাখ লাখ।  আবেদন পরে অনেক। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এতো প্রতিযোগীর মধ্যে চাকরি পেতে হলে আপনাকে কি পরিমাণ পড়তে হবে। 

আপনি যদি অল্প প্রতিযোগির পদ গুলোতে আবেদন করে অতি সহজেই চাকরি পেয়ে যান তাহলে আপনার কেমন অনুভব হবে! এখন আপনি বলতে পারেন ভাইয়া কম প্রতিযোগির পদ ও কি আদেও রয়েছে?  আমি বলবো হ্যা অবশ্যই রয়েছে। 

আপনাকে শুধু চোখ খোলা রেখে দেখতে হবে।  আমি আপনাকে আজ কম আবেদন সংখ্যার কিছু পদ গুলো বলবো যেগুলো তে আপনি আবেদন করে অতি সহজেই চাকরি পেয়ে যেতে পারেন।

আপনি কি কখনো লক্ষ্য করেছেন!  ইলেকট্রশিয়ান, সহকারী ইলেকট্রিশিয়ান, টেকনিশিয়ান,  জুনিয়র টেকনিশিয়ান, এসি অপারেটর, মেকানিক, সহকারী মেকানিক,  মেশিন অপারেটর,  ড্রাইভার এইসব পদ গুলোতে আবেদন সংখ্যা খুবই কম।

পরো বাংলাদেশ মিলে আবেদন সংখ্যা ২০০-৩০০ জনের বেশি পরে না। অন্য দিকে অফিস সহায়ক,  অফিস করণিক পদ গুলোতে আবেদন সংখ্যা লাখ লাখ।  তাহলে বুঝতেই পারছেন কোন পদগুলোতে আবেদন করলে অতি সহজেই চাকরি পেয়ে যাবেন।

এখন কথা হলো ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক,  সহকারী ইলেকট্রিশিয়ান, সহকারী মেকানিক, মেশিন অপারেটর,  এসি অপারেটর,  ড্রাইভার পদ গুলোতে আবেদন করতে কি কি যোগ্যতা লাগবে?  এই পদ গুলোতে আবেদন করতে এসএসসি / এইচএসসি পাশের সাথে ট্রেড কোর্স সার্টিফিকেট চাওয়া হয়।

এই ট্রেড কোর্সগুলো ৬ মাসের হয় বেশি ভাগই। আপনি বলতে পারেন ভাইয়া কি কি ট্রেড কোর্স করতে হবে?  আপনি কোন পদে আবেদন করবেন সেই পদ অনুযায়ী ট্রেড কোর্স করতে হবে। 

আপনি যদি ইলেকট্রিশিয়ান বা সহকারী ইলেকট্রিশিয়ান পদে আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইলেকট্রিক ট্রেড এর উপর ৬ মাসের বা ১ বছরর ট্রেড কোর্স করতে হবে। 

আপনি যদি মেকানিক পদে আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে মেকানিকাল ট্রেড কোর্স করতে হবে।  আপনি যদি এসি অপারেটর পদে আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে রেফিজারেটর এন্ড এয়ার কন্ডিশনিং ট্রেড কোর্স করতে হবে। 

আপনি যদি ড্রাইভার পদে আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ড্রাইভিং ট্রেড কোর্স করতে হবে এবং হালকা বা ভারি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।  এখন আপনি বলতে পারেন ভাইয়া এই ট্রেড কোর্স গুলো কোথায় থেকে করতে পারবো।

হ্যা আপনি আপনার জেলা বা উপজেলা শহরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর,  টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি), বিভিন্ন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে করতে পারেন। 

এখন যদি আপনার এলাকায় এইসব সরকারি প্রতিষ্ঠান না থাকে তাহলে কি করবেন? সমস্যা নেই আপনার এলাকায় সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যেকোন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান থেকেও ট্রেড কোর্স করতে পারবেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে করলে আপনি কোর্স শেষে সার্টিফিকেট সহ ভাতা পাবেন।

আর প্রাইভেট থেকে করলে আপনার ১ থেকে ২ হাজার টাকা লাগবে। আশা করি বিষয় টি ভালো ভাবে বুঝাতে পেরেছি। চেষ্টা করবেন সবসময় সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোর্স গুলো করার। প্রতি বছরেই এই কোর্স গুলোর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে।

কোর্স শেষ করে এই সার্টিফিকেট দিয়ে এই পদ গুলোতে আবেদন করতে পারবেন।  প্রতিযোগির সংখ্যা খুবই কম আবেদন করে পরিক্ষা দিলেই বুঝতে পারবেন। বিভিন্ন অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয়ের চাকরি বিজ্ঞপ্তি গুলোতে লক্ষ্য করলে ঐ পদ গুলো দেখতে পাবেন। 

এছাড়া বিভিন্ন সরকারি সায়ত্তশাসিত সংস্থা গুলোতেও নিয়োগ দিয়ে থাকে। এছাড়াও বেসরকারি ও প্রাইভেট কোম্পানি গুলোতেও ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক,  টেকনিশিয়ান,  ড্রাইভার পদ গুলোর চাহিদা অনেক বেশি। আপনার সফলতা কামনা করছি।  ধন্যবাদ। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ
Mir
Mir