ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সেরা ও সহজ ৭টি কাজ

বর্তমান সময়ে আমাদের এই ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি এক বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারাবিশ্বে প্রতিনিয়ত হু হু করে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

যদি আমরা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় অগ্রসর হতে যাই তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সেরা ৭টি কাজ সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সেরা ৭টি কাজ সম্পর্কে যথেষ্ট আলোচনা করব।

এই ফ্রিল্যান্সিং পেশার চাহিদা দিন দিন অসংখ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশের বর্তমান অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত অনলাইনে কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে যথেষ্ট টাকা উপার্জন করে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য অনলাইনে বহু মার্কেটপ্লেস রয়েছে। যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা খুব সহজেই কাজ করে আয় করতে পারে। তবে এই কাজ সম্পর্কে ফ্রিল্যান্সারদের অবশ্যই যথেষ্ট ধারণা থাকতে হবে।

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে চাকরির বাজারে এক বিশেষ মেধা প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হাওয়ায়, অনেক শিক্ষিত তরুন-তরুনীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এ কারণেই তারা তাদের ক্যারিয়ার গঠনের জন্য ফ্রিল্যান্সিং পেশা কে অন্যতম পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

আবার অনেকেই আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং পেশাটিকে যেকোনো সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকার চাকরির থেকেও অনেক সুবিধাজনক একটি পেশা হিসেবে মনে করছে। তাদের এই মনে করার এক বিশেষ কারণ আছে।

কারণটি হলো, এই ফ্রিল্যান্সিং পেশায়  আপনি ঘরে বসে কাজ পরিচালনা করতে পারবেন। এই ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি এই সকল কাজ আপনার ইচ্ছে মত যে কোন জায়গায়, ঘরে বসেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন। এটি এক বিশেষ সুবিধা হয়ে থাকে।

এছাড়াও আরও একটি বিশেষ সুবিধা আছে সেটি হলো, এখানে আপনি আপনার ইচ্ছে মতন কাজ করে প্রচুর আয় করতে পারবেন। এখানে আপনি কাজ করার জন্য পরিপূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন। কেননা, ফ্রিল্যান্সিংকে একটি স্বাধীন বা মুক্ত পেশা বলা হয়ে থাকে।

তবে এখানে কাজ করে আয় করার কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা বা ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। আপনি এখানে যত বেশি কাজ করবেন আপনার আয় তত বেশি হবে।

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই নিজের জীবনকে পুরোপুরি বদলে ফেলছে, এর পেছনে অন্যতম কারণ থাকে সেটি হলো, সঠিকভাবে কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য। ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো টাকা ইনকাম করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই আপনার কাজের প্রতি যথেষ্ট দক্ষতা রাখতে হবে।

আমরা অনেকেই আছি যারা ফ্রিল্যান্সিং করে থাকি, কিন্তু আমাদের কাজের কোনরকম দক্ষতা না থাকায় আমরা ভালোভাবে আয় করতে পারিনা। আর তাই আপনি যে কাজটি তে পারদর্শী হন না কেন আপনাকে সেই কাজটি খুব ভালোভাবে করে দিতে হবে ক্লায়েন্টকে।

সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং পেশায় বিভিন্ন ক্লায়েন্টকে, তাদের বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। আপনি যদি ক্লায়েন্টকে সঠিকভাবে কাজ করে দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি প্রচুর আয় করতে পারবেন।

এখানে পেমেন্ট নিয়ে আপনাকে কোন রকম চিন্তা করতে হবে না। আপনি যদি আপনার ক্লায়েন্টকে সঠিকভাবে কাজ করে জমা দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি পেমেন্ট পেয়ে যাবেন।

আর বর্তমান সময়ে এটি ধারণা করা হচ্ছে যে, আগামীতে আয়ের বড় উৎস ও কর্মসংস্থানের বৃহৎ সেক্টর হয়ে উঠবে এই ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি। বর্তমান আমাদের দেশে দুই লক্ষের অধিক তরুণ-তরুণীরা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় জড়িত। এই হার অতি শীঘ্রই বাড়তে শুরু করেছে বলে ধারণা করা যায়। 

তবে আপনি যদি এই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নামতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এর সেরা কাজ গুলোর উপর নজর রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অধিকাংশ কাজ রয়েছে। এদের মধ্যে আমরা সেরা ৭টি কাজ সম্পর্কে আপনাদের কাছে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সেরা ৭টি কাজ সম্পর্কে। নিচে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হলো:

১.ওয়েব ডেভেলপমেন্ট:

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং পেশার একটি বিশেষ কাজ হয়ে উঠেছে এই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। এই কাজটি বর্তমান অসংখ্য জনপ্রিয় আর যেসব ফ্রিল্যান্সাররা একটি প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে তাদের আয় অনেক বেশি হয়ে থাকে।

সাধারণত প্রযুক্তির এক বিশেষ অগ্রযাত্রায় বিশ্বের ছোট-বড় নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ব্যক্তিগত ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রায় সবাই ইন্টারনেটের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।

আর তারা চাচ্ছে একটি ভার্চুয়াল ঠিকানা হোক, কারণ একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান যেভাবে তার গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে অপরদিকে তা বিভিন্ন শহরে বা বিভিন্ন দেশে অবস্থিত নিজের সাথে আন্ত যোগাযোগ রাখতে পারে।

ওয়েব দুনিয়ায় ওয়েবসাইটের পরিমাণ প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ইউরো বেশি। আর প্রতিদিনই তৈরি করা হচ্ছে হাজার হাজার বিপুলসংখ্যক ওয়েবসাইট। আর এই ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ডিজাইন এর পাশাপাশি যেটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় সেটি হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের।

নতুন ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কিংবা পুরাতন ওয়েবসাইট নতুনভাবে ডেভেলপ করার জন্য প্রয়োজন একজন ভাল মানের ওয়েব ডেভেলপার। অনলাইন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস সহ নানা ধরনের লোকাল মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।

তবে একথা নিশ্চিন্তে বলা যায় যে, প্রায় যত ধরনের নাম করা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো রয়েছে সেগুলো সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন নির্ভরযোগ্য কাজ হলো এই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।

আমাদের বর্তমান নামকরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওডেস্ক সাইটে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ক্যাটাগরিতে ১০ হাজারের অধিক থাকে। সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং করার ৩৫% কাজই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর হয়ে থাকে।

আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপার হতে পারেন তাহলে আপনি প্রচুর পরিমাণ আয় করতে পারেন এটুকু নিশ্চিন্তে বলা যায়। একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডেভলপার হতে হলে অবশ্যই এইচটিএমএল, সিএসএস, পিএইচপি, জাভাস্ক্রিপ্ট, জেকোয়েরি, ইত্যাদি সহ আরো বিষয় আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপার হতে পারবেন।

২. গ্রাফিক্স ডিজাইন:

আপনি যদি একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ ভালোভাবে জানতে হবে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সাইটের গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের চাহিদা অনেক বেশি হয়ে থাকে। অনেকেই এই কাজটি করে প্রচুর ইনকাম করে থাকে।

অনেকেই আছে যারা আঁকতে অনেক ভালোবাসি। সময় পেলে কম্পিউটারে ইনস্টল ফটোশপ ইলাস্ট্রেটর নিয়ে বিভিন্ন প্রকার আর্ট করে থাকি। যদি আপনি খুব ভালো মতন আর্ট করতে পারেন তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজে নেমে পড়তে পারেন।

সাধারণত অন্যান্য সব প্রকার চাকরি থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশাটি সবচেয়ে নিরাপদ ও ঝামেলা বিহীন। আর এই নিরাপদ ও ঝামেলা বিহীন হওয়ার কারণে এই পেশাটি সারা বিশ্বে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

অন্যান্য সব পেশা বিপরীতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কোনো কাজের অভাব হয় না। প্রায় নামকরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যতগুলো রয়েছে সবগুলোতেই আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ ভালোভাবে পেয়ে যাবেন।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার সাধারণত বেশকিছু কালার ইমেজ এবং অ্যানিমেশন ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হন। এটা আউটপুট ডিজিটাল প্রিন্ট বই হতে পারে। আপনি যদি নিজেকে খুব ভালোভাবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনে তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার অনলাইনে কাজের কোন অভাব হবে না।

যেকোনো ধরনের মিডিয়া, প্রফেশনাল ডিসপ্লে, জার্নাল, কপারেট রিপোর্ট, মার্কেটিং ব্রোশিউর, বিভিন্ন ধরনের সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, বিভিন্ন লোগো ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন সহ বিভিন্ন সেক্টরে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের চাহিদা রয়েছে।

আর যদি আপনি একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে এই অনলাইনে কাজ করে আপনার আয়ের প্রায় সীমারেখার বাইরে চলে যাবে। আর যদি আপনি একজন নরমাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তারপরও আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।

৩. কনটেন্ট রাইটিং:

ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ কে পিছিয়ে রাখলে চলবে না। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে অবশ্যই কনটেন্ট রাইটিং কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিবেন।

অনলাইনে আয় করার অন্যতম সহজ ও সম্ভাবনাময় উপায় হলো লেখালেখি করে আয় করা। যেটিকে আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং অথবা কনটেন্ট ডেভেলপার বলা চলে।

যারা সাধারণত ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা আছে তাদের এই কনটেন্ট রাইটিং কাজটি করে আই এর পরিমাণ অনেক বেশি হবে। কনটেন্ট রাইটার বা বিভিন্ন কাজের জন্য কন্টেন্ট লিখে থাকে।

ওয়েব কন্টেন্ট ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য রিসোর্স বই, ব্রোশিউর, লিফলেট অন্যান্য প্রচারণার কাজে কনটেন্ট ডেভেলপ করা হয়ে থাকে। একজন কনটেন্ট ডেভলপারের অনেক কাজের ক্ষেত্র থাকে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:

কপিরাইটিং, ব্লগ লেখা, ওয়েব কনটেন্ট, প্রেস রেলীজ ইন রাইটিং, ট্রানসলেশন, ট্রানস্ক্রিপশন, সামারাইজেশন, রিজিউম রাইটিং, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি আরো অনেক কাজ হয়ে থাকে।

তবে আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটার হন তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, যারা ওয়েব সাইটে আপনার লেখা যে পড়বে, তিনি মিনিটে বা প্রতি ঘন্টায় নির্দিষ্ট পয়সা খরচ করে পড়বেন। সুতরাং, তিনি চেয়ে থাকবেন কম সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে। 

তাই আপনি যেটা লেখালেখি করে থাকুন না কেন আপনাকে সাধারণত তথ্য নির্ভর ও সংক্ষিপ্ত বিষয় ভিত্তিক লেখা লিখতে হবে। আর কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে কোন ভাবেই অন্যের লেখা কপি করা যাবে না।

আপনি ইংরেজি ছাড়া বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারেন। তবে বাংলায় এই কাজ টি করলে আপনারা আয়ের পরিমাণ একটু কম হতে পারে। আপনার যদি ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি ইংরেজি বিষয়ক কনটেন্ট রাইটিং লিখতে পারেন।

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ অনেক বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সারা বিশ্বের অনেক ক্লান্ত এই কাজ দিয়ে থাকে।

৪. ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:

এই কাজটি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে অধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করে চলছে। অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা। সাধারণত আমাদের দেশ থেকে প্রচুর তরুণ-তরুণীরা এই কাজটি করে নিজেদের ক্যারিয়ার গঠন করে যাচ্ছে। 

ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে ২ থেকে ১০হাজার ডলার আয় করে যাচ্ছে আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার রা। আর ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজটি অনেকটা একই রকমের হয়ে থাকে।

সাধারণত ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অনেক উপায়ে আয় করা যায়। এরমধ্যে গুগল এডসেন্স আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপায়। গুগল এডসেন্স সহ এবং সরাসরি বিজ্ঞাপন স্পেস বিক্রি সহ আরো নানা উপায়ে করতে পারে একজন ব্লগার।

সাধারণত নিজের ব্লগের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পণ্যের সুপারিশ করে ও রেফার করে আয় করার সুযোগ রয়েছে একজন ব্লগারের যাকে বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চান তাহলে ব্লগার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা একটি অন্যতম মাধ্যম হয়ে থাকে।

৫. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন:

বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে ওয়েবসাইট ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানকে কল্পনা করা যায় না। আপনার শুধু ওয়েবসাইট থাকলেই চলে না এটিকে সর্বোচ্চ পৌঁছে দিতে ব্যাপক মার্কেটিং এর প্রয়োজন হয়। একটি ওয়েবসাইট গুগলের প্রথম দিকে নিয়ে আসার জন্য যে কৌশল ব্যবহার করা হয় সেগুলো কি মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলা হয়ে থাকে।

দিন দিন বিশ্বব্যাপী ওয়েব সাইটের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে সেখানে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজের ক্ষেত্র অনেক বেড়ে গিয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ কোন অংশে কম নয়।

সাধারণত এই কাজটি করে ফ্রিল্যান্সাররা অনেক বেশি আর্ন করতে পারে। একজন দক্ষ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মাসে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

তবে আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে অনেক দক্ষ হতে হবে। আপনি যদি যথেষ্ট সফলভাবে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার যথেষ্ট দক্ষতা বাড়িয়ে কাজ করে যেতে হবে।

৬. ভিডিও এডিটিং:

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এ নানা কাজ সম্পর্কে ভেবে থাকেন তাহলে এই ভিডিও এডিটিং এর কাজ কে আপনাকে পিছিয়ে রাখলে চলবে না। ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে বর্তমান অনেক ফ্রিল্যান্সার অনেক ইনকাম করে যাচ্ছে।

সাধারণত যে সমস্ত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি খুব সহজেই এই ভিডিও এডিটিং এর কাজ পেয়ে যাবেন। যারা এই ভিডিও এডিটিং এর কাজ জানেন তারা খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে।

কোন প্রকার ভিডিও ইউটিউব এ আপলোড করতে গেলে ভিডিও এডিটিং এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ভিডিও যত বেশি সুন্দর হবে ভিউয়ার তত বেশি হবে।আবার আপনি এসইও এডসেন্স থেকে আয় কিংবা অ্যাপ্লিকেশনের কেটে বর্তমান ভিডিও এডিটিং এর কাজ জানা থাকলে খুব বেশি ভালো হবে।

ভিডিও এডিটিং এর কাজে আয়ের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে থাকে। বিশ্বের প্রায় অনেক ক্লায়েন্টরা এই ভিডিও এডিটিং এর কাজ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে দিয়ে থাকে। আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার কাজটি ক্লায়েন্টকে করে দিতে পারেন তবে অবশ্যই আপনি আয় করতে পারবেন।

৭. ডাটা এন্ট্রি:

বর্তমান সময় ফ্রিল্যান্সিং কাজে ডাটা এন্ট্রির কাজ টি অনেক বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই কাজটি করতে গেলে অবশ্যই আপনার কম্পিউটার টাইপিং সম্পর্কে যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।

বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রির কাজ এর এক বিশেষ চাহিদা রয়েছে। বর্তমান সময়ে প্রচুর ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায় বিভিন্ন অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে। আপনি যদি ভালোভাবে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারেন। ক্ষেত্রে আপনাকে কোনরকম ঝামেলায় পড়তে হবে না।

পরিশেষে:

সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং সাইটের নানা প্রকার কাজ থেকে থাকে। কিন্তু আমাদের আলোচিত ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সেরা ৭ টি কাজ নানা প্রকার কাজের থেকে বেশি চাহিদা সম্পন্ন হয়ে থাকে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে উপরে আলোচিত সেরা ৭টি কাজের উপরে নজর দিন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে দ্রুত উন্নতি করতে পারবেন।

আমাদের আর্টিকেলটির যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পছন্দমত একটি সাইটে দয়া করে অবশ্যই একবার শেয়ার করবেন। আপনাদের করা একটি শেয়ার আমাদেরকে আরো ভালো আর্টিকেল লিখতে উৎসাহিত করবে ধন্যবাদ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

নাম: বাধন কুন্ডু । একজন আর্টিকেল রাইটার । ১০০% ইউনিক ও কপি মুক্ত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।