ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন

ইউটিউবে টাকা উপার্জনের আগে আমাদের জানতে হবে ইউটিউব চ্যানেল কি: ইউটিউব হচ্ছে একটি অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখতে পাই। এই ভিডিও গুলো তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের চ্যানেল বা ইউটিউব আইডি থেকে। নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর যে কোন ব্যক্তি তার জিমেইল আইডি দিয়ে ইউটিউবে চ্যানেল খুলতে পারেন। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় আসে?

অনেকেই জানেন না ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা  আসে। একটা চ্যানেল ওপেন করলে কি ইউটিউব আমাকে টাকা দিয়ে দিবে? না তেমন কিছু না, আসুন বিস্তারিত কিছু জেনে নেই। 

ইউটিউব কিভাবে আমাদের টাকা দেয়? সেজন্য আমাদের কি কি করতে হবে? এবং কোন কোন উপায়ে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা সম্ভব? 

ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জনের অনেকগুলো উপায় আছে। তার মধ্যে কয়েকটি উপায় আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব। 

গুগল এডসেন্সঃ

শুরুতেই বলতে হয় গুগল এডসেন্সের কথা। এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করা যায়। তবে সেই ক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব  চ্যানেলে বিগত ৩৬৫ দিনে ১000 সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।

তবে ইউটিউব মনিটাইজেশন চালু করবে। অর্থাৎ আপনার ভিডিও গুলোতে বিজ্ঞাপন চালু করবে। মনিটাইজেশন শুরু হওয়ার পর আপনার চ্যানেলটি গুগল এডসেন্সের সাথে সংযুক্ত করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

স্পনসরশীপঃ

স্পন্সরশীপ থেকে টাকা আয় করতে হলে আপনার চ্যানেলটি পপুলার হতে হবে। ধরুন আপনার চ্যানেলে অনেক অনেক ভিউ আসে। বেশি পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার থাকে। কমপক্ষে পঞ্চাশ হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হয়।

তবেই মূলত বিভিন্ন কোম্পানি থেকে তাদের প্রোডাক্টের জন্য  বা কনটেন্ট এর জন্য স্পন্সরশিপ অফার করে থাকে। মূলত আপনাকে দিয়ে তারা প্রমোশন করে নিবে। বিনিময়ে আপনাকে অর্থ প্রদান করবে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আপনারা হয়তো এর আগেও শুনেছেন। অনেক ওয়েবসাইট এবং ই-কমার্স সাইট রয়েছে  যেখান থেকে টাকা উপার্জন সম্ভব।আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে লিংক শেয়ার করলে সেই লিংকে ক্লিক করে কেউ যদি প্রোডাক্ট ক্রয় করে তবে আপনি কমিশন পাবেন। যা মাস শেষে আপনার একাউন্টে জমা হবে। 

ব্র্যান্ডিং প্রোমোশনঃ

অনেকেই বলতে পারেন ব্র্যান্ডিং প্রোমোশন কি? আমরা যখন কোন ভিডিও দেখি তখন রবি, বাংলা লিংক গ্রামীন ফোনের  বিভিন্ন কোম্পানির লোগো দেখতে পাই। আপনার চ্যানেলটি যখন পপুলার হয়ে যাবে তখন বড় বড় কোম্পানিগুলো ব্র্যান্ডিং প্রমোশনের জন্য আপনাকে অফার করবে।

এটা মাসিক বাৎসরিক বা কয়েক বছরের কন্ট্রাক্ট হতে পারে। ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য কোম্পানি আপনাকে সেই অনুযায়ী টাকা দিবে। 

প্রোডাক্ট বিক্রয়ঃ

ধরুন আপনার কিছু প্রডাক্ট আছে। আপনি সেগুলো সেল করতে চান। এই প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও বানাতে পারেন। পণ্যের গুণগত মান, পণ্যের ধরন, স্থায়িত্ব এই সব কিছু  ভিডিওতে তুলে ধরলে খুব সহজে যে কেউ পণ্য ক্রয় করতে আগ্রহী হবে।এভাবে প্রোডাক্ট বিক্রয় করে টাকা উপার্জন করা সম্ভব । 

বিজনেস মার্কেটিংঃ

আপনার যদি কোন কোম্পানী থাকে তার উপর ভিত্তি করে আপনি ভিডিও বানাতে পারেন। এতে আপনার বিজনেস প্রমোশন এবং সেল বাড়বে। 

কন্টেন্ট রাইটিংঃ

আপনার ইউটিউব ভিডিও টি কিসের উপর তৈরি করেছেন তার উপর কনটেন্ট লিখতে পারেন। গুগুলে ব্লগ সাইটে কন্টেন্ট লিখেও আপনি টাকা আয় করতে পারেন। 

ফেসবুক মার্কেটিংঃ

আমরা যখন ফেসবুকে ব্রাউজ করি তখন পেইজে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখতে পাই। আপনিও একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে আপনার ভিডিও গুলো   পাবলিশ করতে পারেন।আপনার পেইজে যখন ফলোয়ার বাড়বে  মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

এছাড়া আরো অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো থেকে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। আবারো নতুন কোন লেখায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। যারা ইউটিউব চ্যানেল খুলে আয় করবেন ভাবছেন তারা বিষয়গুলো খেয়াল করে সামনে এগুলে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ