কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি? কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কি কি?

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি? কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত আলোচনা : কম্পিউটার নেটওয়ার্ক নিয়ে আজকে আমি আলোচনা করব। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কম্পিউটার ব্যবহারে খুবই সুবিধাজনক একটি ব্যবস্থা। আমরা সবাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যাচ্ছি। কিন্তু নেটওয়ার্ক সম্পর্কে আমাদের অনেকরই ধারনা নেই। তাই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানতে হলে এই আর্টিকেলটি সম্পুর্ন পড়ুন। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক :

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে বোঝায় একাধিক কম্পিউটারের সাথে সংযোগ স্থাপন করা। একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার অন্য একাধিক কম্পিউটারে শেয়ার করে ব্যবহার করার জন্য পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হওয়াকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে। এছাড়াও সহজভাবে বলতে গেলে

দুই বা তোতাধিক কম্পিউটারে সাথে অান্তঃসম্পর্ক সৃষ্টি করা বা পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরী করাকে  কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলা হয়।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সুবিধা হলো যে কম্পিউটারের যে কোনো তথ্য আদান প্রদান করা যেমন, ফাইল,প্রিন্টার,অন্যান্য সম্পদ শেয়ারিং করে নেওয়া। একে অপরের সাথে বার্তা পাঠানো।এক কম্পিউটারের প্রোগ্রাম অারেক কম্পিউটারে চালানো। একে অপরের সাথে ভিডিও কল/ অডিও কল/ চ্যাটিং, মেসেজ, ইমেইল ইত্যাদি করে থাকি। এই কাজগুলো আর তো এমনি এমনি হয় না এর জন্য তো নেটওয়ার্কের অবশ্যই প্রোয়োজন হবে। এই পদ্ধতিতে আমরা যা কিছু করছি সবই কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করছি।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কে আবিষ্কার করেছেন:

১৯৬৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক আবিস্কার হয়। এই কম্পিউটার নেটওয়ার্কের নাম ছিল আর্পানেট। এই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কোনো একজনের মাধ্যমে হয়নি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের পছনে রয়েছে অনেক প্রযুক্তিবিদের অবদান তারা অনেক পরিশ্রম করেই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরী করেছে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরীর জন্য পৃষ্ঠপোষকতা ছিল আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের সংস্থা এর নাম হলো ডিফেন্স এডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি। (Defence advance research project Agency)  সংক্ষেপে( DARPA)

আরও পড়ুন

রাউটার কি? রাউটার কত প্রকার ও কি কি?

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সুবিধা:

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় তা হলো

১। ডেটা আদান প্রদানের জন্য:

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে সম্পুর্ণ ডেটা আদান প্রদান করা যায় খুব সহজেই। অনেক দুরদুরান্ত থেকে একজন আরেকজনের সাথে অডিও/ভডিও কলে কথা বলা যায়। ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যে আদান প্রদান করা যায়।

২। কেনাকাটা করা :

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যেকোনো পন্যদ্রব্য ঘরে বসেই কেনাকাটা করা যায়।

৩। চিকিৎসার সুবিধা:

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশ বিদেশের বিভিন্ন চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়া যায়। 

৪। পিসি শেয়ারিং:

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে  একটা কম্পিউটার একাধিক লোক ব্যবহার করতে পারে। একটা কম্পিউটারের প্রোগ্রাম অনয় কম্পিউটারে চালানো যায়।

৫। ইনফরমেশন রিসোর্স শেয়ার:

যেকোনো তথ্যের আদান প্রদান খুব সহজেই করা যায়। কোনো কম্পিউটারে যদি সম্পুর্ন ইনফরমেশন না থাকে তাহলে অন্য কম্পিউটার থেকে নেওয়া যায়।

৬।সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ারিং: 

যেমন অফিসের ১০টি  কম্পিউটারের জন্য ১০ টি একই সফটওয়্যার ক্রয় না করে নেটওয়ার্কের একটি কম্পিউটার অন্য ১০ টি কম্পিউটার শেয়ার করতে পারে। 

৭। হার্ডওয়্যার রিসোর্স শেয়ারিং:

১০ টি কম্পিউটারের জন্য ১০ টি মুল্যবান প্রিন্টার শেয়ার না করে একটি প্রিন্টার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ১০ টি কম্পিউটার শেয়ার করতে পারে। 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কত প্রকার :

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে যেমন,বর্তমানে বিভিন্ন প্রকারের নেটওয়ার্কের উৎপত্তি হয়েছে। 

১।মালিকানা ভিত্তিতে:

মালিকানা ভিত্তিতে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক দুই প্রকারের হয়ে থাকে।

প্রাভেট নেটওয়ার্ক :

যেসব নেটওয়ার্ক সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত নয় তা হলো প্রইভেট নেটওয়ার্ক। 

পাবলিক নেটওয়ার্ক :

যেসকল নেটওয়ার্ক সবাই  ব্যবহার করতে পারে তাকে পাবলিক নেটওয়ার্ক বলে।

২: টপোলজির ভিত্তিতে :

টপোলজির ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক চার প্রকার

স্টার টপোলজি  :

এই স্টার টপোলজির ভিত্তিতে  একটি কম্পিউটার কেন্দ্রীয় ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকে। এটি তৈরীর সময় হাব সুইচ ব্যবহার করা হয়।

রিং টপোলজি :

রিং টপোলোজিতে প্রতিটি কম্পিউটার একে-অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত স্থাপন করে। এটা রিং এর মতো নেটওয়ার্ক তৈরী করে। 

মেশ টপোলজি :

মেশ টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার একে-অপরের সাথে যুক্ত থাকে। এর নেটওয়ার্ক খুব শক্তিশালী তাই ডেটার অদান প্রদান খুব দ্রুত করা যায়।

বাস টপোলজি:

এই টপোলজিতে তার বাস ব্যাকবোনকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো কম্পিউটার একসাথে নিয়ে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরী করে থাকে।

৩।কার্যাবলির ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক :

পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক:

আলাদা করে সার্ভার কম্পিউটার ছাড়াই অনেকগুলো কম্পিউটারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে নেটওয়ার্ক তৈরী করা হয়। 

ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক :

যখন কোনো নেটওয়ার্ক সার্ভারকে অনেকগুলো ক্লায়েন্ট নিয়ে কম্পিউটার সংযোগ স্থাপন করে নেটওয়ার্ক তৈরী করা হয় তাকে ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক বলে।

৪। কার্যক্ষেত্রের ভিত্তিতে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক :

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক :

সাধারণত 1km তার কম এরিয়ার মধ্যে বেশ কিছু কম্পিউটার অন্যকোনো ডিভাইসে সংযুক্ত করে যে নেটওয়ার্ক তৈরী করে তাকে লোকাল এরিয়া  নেটওয়ার্ক বলে।

মেট্রোপলিটন এরিয়া:

একটি শহরের বিভিন্ন স্থানে কিছু কম্পিউটার বা তাদের দ্বারা গঠিত lan কে নিয়ে যে নেটওয়ার্ক তৈরী করাা হয় তাকে মেট্রোপলিটন নেটওয়ার্ক বলে।

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক:

বিভিন্ন ভৌগোলিক দুরুত্বে কিছু Lan বা man একত্রিত করে যে নেটওয়ার্ক তৈরী করে তাকে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

মো : বোরহান ইসলাম। আমি আর্টিকেল লিখতে খুব ভালোবাসি। আমি আপনাদেরকে ভালো ভালো আর্টিকেল লিখে সঠিক তথ্য দেবো ইনশাআল্লাহ। ভালো ভালো আর্টিকেল পেতে হলে জেআইটির সাথে থাকুন ধন্যবাদ।।