ইন্টারমিডিয়েটেই কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতি নিবেন।

উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষার পরিসমাপ্তির পরে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা ঘটে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুমিকা অপরিহার্য। অধিকাংশ ছাত্র / ছাত্রি পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী হয়।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

কিন্তু শুধুই কি 'আগ্রহ' বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ভুমিকা পালন করে? এডমিশন যুদ্ধ পার করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি চান্স পাবেন। নিজের মেধা কে অন্যদের থেকে বেশী যে কাজে লাগাতে পারে শুধু মাত্র সে সকল ছাত্র/ছাত্রি ভাল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হতে পারে। 

যেহেতু এখানে একটি বিশাল মেধার যুদ্ধ হয় সেখানে আপনার ভাল প্রিপারেসন ছাড়া কখনো টিকতে পারবেন না। ইন্টামেডিয়েট এ থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতি অন্যদের থেকে একটু বেশিই এগিয়ে রাখবে। 

কিভাবে ইন্টারমিডিয়েটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষার প্রস্তুতি নিবেন :

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষা অনেক বড় একটা কম্পিটিসন এর যায়গা। লক্ষ লক্ষ ছাত্র/ছাত্রি ১ হাজার কিংবা ২ হাজার সিট এর জন্য পরিক্ষা দেয়। নিজেকে তাদের মধ্যে তুলে ধরার জন্য আপনার প্রিপারেসন এই সব কিছু। উচ্চ-মাধ্যমিকের রেজাল্ট এর পরে আপনি খুব একটা বেশী সময় হাতে পাবেন না। তাই প্রিপারেসন ভাল করতে ইন্টারমিডিয়েট থেকেই লেগে পড়ুন। চলুন দেখে নেই কিভাবে শুরু করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতি :- 

ইউনিট বাছাই করুন :

সবার প্রথমে ইউনিট বাছাই করুন যে, আপনি কোন ইউনিটে আসলে ভর্তি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় কি কি ইউনিট আছে এবং আপনার সাব্জেক্ট কি এসব নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করুন।  

প্রতিদিন পড়াশোনা :

পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। আপনি কোচিং সেন্টারে ভর্তির পূর্বে নিজের ধাপ টাকে একটু এগিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। যেহেতু, আপনি ইন্টারমিডিয়েট এ পড়াশোনা করছেন, একাডেমিক পড়া শেষে বাকি কিছু টা সময় আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির প্রস্তুতি নিতে সময় দিন।

নির্দিষ্ট একটি রুটিন বানিয়ে ফেলুন এবং প্রতিদিন রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা ও রিভিশন এর কাজ গুলো কে প্রধান্য দেয়া শুরু করুন। 

কোন বই গুলো পড়া উচিৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতি নেয়ার জন্য :

আমাদের ভর্তি প্রস্তুতির শুরুতে যে ভুল টা করি, শুধু মাত্র টেক্সট বই গুলো কে আমরা বেশী প্রধান্য দিয়ে থাকি। টেক্সট বইয়ের পাশাপাশি বাড়তি অনেক গুলো বই কে আয়ত্তে নেয়াটা অনেক বেশী প্রয়োজন। ইন্টারমিডিয়েট এর প্রতিটি সাব্জেক্ট না হয় বাদ দিলাম কিছু কিছু সাব্জেক্ট আপনি লাইন ধরে মুখস্থ করে ফেলুন। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হলে চেষ্টা করুন ক্লাশ ৮ থেকে যেসকল বই আছে সব গুলো কভার করে ফেলার।  

সাধারন জ্ঞান, বাংলা সাহিত্য এইসব বিষয় গুলোর উপরে বেশী পরিমানে মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিটি বিষয় গুলো বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করবেন। কাউকে অনুসরন করার দরকার নেই। আপনার যেভাবে পড়তে বেশী সুবিধা হয় ঠিক সেভাবেই পড়তে চেষ্টা করুন। 

ধরুন, বাংলা সাহিত্যের আপনি 'লালসালু' উপন্যাস টি পড়ছেন। এই উপন্যাস থেকে কি ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে, কী কী MCQ থাকতে পারে? এগুলোকে খুজে খুজে মার্ক করুন। নোটস বানিয়ে ফেলুন যেসব বিষয় গুলো আপনার বুঝতে অসুবিধা হয়।  

যথারিতি ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান, বা অন্যান্য যেসকল বিষয় রয়েছে সবগুলোর উপরে সমান গুরুত্বপূর্ণ ভেবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া। 

অতিরিক্ত যেসকল বই পড়বেন :

শুধুমাত্র টেক্সট বইয়ে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির যেসব প্রশ্ন থাকে সেগুলো কালেক্ট করে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। যত বেশী প্রশ্ন সমাধান করতে পারবেন ততটাই আপনার জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করে তুলবে।

বিশ্ববিদ্যালয় এডমিসন গাইড বা এডমিশন প্রশ্নব্যাংক বই গুলো সহায়তা নিন সর্বোপরি। প্রশ্ন ব্যাংক বই গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিসন প্রশ্ন সম্পর্কে একটি সুনিশ্চিত ধারণা প্রদান করবে।

নিজের দূর্বল যায়গা গুলো খুজে সেগুলোকে পূরন করার কাজে নেমে পড়ুন। মনে রাখবেন, বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পাওয়া অনেক কঠিন একটা বিষয়। শুধুমাত্র টুকটাক লেখাপড়া আর প্রিপারেসন নিয়ে কখনোই চান্স পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে যাবেন না। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

অনার্স ২য় বর্ষ। লেখালেখি করতে ভাল লাগে।