সাইকেল ভ্রমণ?

প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ২৫ শে বৈশাখ থেকে শিলাইদহের রবি ঠাকুরের কুটি বাড়িতে মেলা বসেছে।  রবি ঠাকুরের জজন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছর ২৫ বৈশাখ থেকে শুরু করে ৭ দিন প্রজন্ত স্থায়ী মেলা বসে আয়োজিত হয়ে থাকে। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আমি ক্লাস এইটে পড়া একজন ছাত্র, আমাদের গ্রাম থেকে কুটি বাড়ির দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার মতো। বাড়িয়ে থেকে দূরে কখুন কথাও যাওয়া হয়নি।

তাই বারিতে না যানিয়ে আমি আর আমার ক্লাসে পড়ুয়া ৩ বন্ধু মিলে মেলাই ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমাদের ৪ জনের বারি একই গ্রামে।

আআমাদের ৪ জনেরি সাইকেল ছিল, পরের দিন সকালে, সাইকেল নিয়ে সবাই বেরিয়ে পরলাম রবি ঠাকুরের কুটি বাড়ি উদ্দেশ্যে। 

প্রায় দুই ঘন্টা মধ্যে আমরা শিলাইদহ পৌছালাম, কুটি বাড়ি আমাদের কাছ থেকে আরও প্রায় দের কিলোমিটার মতো দূরে। কিন্তু রাস্তায় প্রচুর ভির,সাইকেল নিয়ে আর সামনে যাওয়া যাবে না।

তাই কাছেই একটা সাইকেল স্টান দেখে সাইকেল রাখলাম,  রাস্তার ধরে প্রতিটি বারিতেই সাইকেল স্টান করে রেখেছে। সাইকেল রেখে হাটা আরাম্ভো করলাম, কিছুখনের মধ্যে আমারা কুটি বাড়ি কাছে পৌছে গেলাম।

 হঠাৎ পশ্চিম আকাশে প্রচন্ড মেঘের গরজন সুরু হলো,  চারিদিকে ঘন অন্ধকার হয়ে আসলো, দেখতে দেখতে নেমে আসলো প্রচন্ড ঝর বৃষ্টি। মুহুর্তে মধ্যে আমরা ভিজে একাকার হয়ে গেলাম।

ঝরে গাছ গাছালির ডাল পালা ভেংগে ভেংগে আছরে পরছে। এভাবে খোলা আকাশের নিচে কেটে গেল অনেক সময়। 

কিছুখনের মধ্যে ঝর থেমে গেল কিন্তু বিষ্টি আর থামে না। এ ভাবেই কেটে গেল আরও অনেকটা সময়। অনেক সময় ধরে ভিজা কাপড়ে থাকায় শিতে শরীর কাপ্তে সুরু করেছে। তাই বারি ফিরে জাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। 

হাটতে হাটতে সেই সাইকেল স্টান এ এসে সাইকেল নিয়ে বারি উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। মেলা দেখার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। 

শিতে সসমস্ত শরীর কাপছে, ভারা ক্রান্ত মন নিয়ে বিষ্টির মধ্যে সাইকেল চালিয়ে বারি ফিরে এলাম। বারি পৌছাতেই প্রথমে মায়ের বকুনি, আর স্নেহভরা শাসন। তার পারে খেতে বসে প্রতিজ্ঞা, আর কখনো না বলে কথায়ও জাব না।

রাতে গায়ে জর এসে গেল, বাবা ডাক্তার কে খবর দিলেন কিছুখনের মধ্যে ডাক্তার আসলেন, কিছু ওষুধ দিলেন।  

ডাক্তার সাহেবের বিদায়ের সময়, বাবা তাকে এগিয়ে দিয়ে আসতে চাইলে তিনি বললেন, এগিয়ে দিয়ে আসতে হবেনা,তিনি আরও অমুক অমুকের বারিতে জাবেন।

আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না,  আমার সাথীদের ও আমার মতো জর এস গেছে। 

পরের দিন আবার জখন এক সাথে হলাম সবাই তখন আবার সিদ্ধান্ত হলো, সামনে বছর আবার জাবো। এক বছর এর অপেক্ষা। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

Writer