ইলেকট্রনিক মেইল বা ই-মেইল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ইলেকট্রনিক মেইলের সারসংক্ষেপ,মানুষ সরাসরি কথা বলে, চিঠি পত্রে লিখে, বিভিন্ন অঙ্গ-ভঙ্গি প্রদর্শন করে, টেলিফোনে, মোবাইল বা অন্য কোন ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মনের ভাব প্রকাশ করে বার্তা পাঠায়।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষ পরিবেশের অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানের সাথে তার মনের ভাব প্রকাশ করে। সভ্যতার বিকাশ এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমের ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। 

প্রাচীন কালের মানুষ বার্তা প্রেরণের জন্য ডাক ব্যবস্থার উপর নির্ভর ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির বিকাশের কারণে এই সনাতন ডাক ব্যবস্থা বিলিন হয়েছে। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইলেকট্রনিক মেইল বা ই-মেইলের মাধ্যমে মানুষ বার্তা প্রেরণের কাজ করছে ।

আজকের আর্টিকেলে আপনারা ইলেকট্রনিক মেইল বা ই-মেইল সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

ই-মেইল কি, ই-মেইলের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আর্টিকেলের বিষয়সমূহ:-

• ই-মেইল কি ?

• ই-মেইল সেবা পেতে কি কি দরকার!

• ই-মেইল ঠিকানা কি ?

• ই-মেইলের আবিষ্কারক কে ?

• ই-মেইলের সুবিধা কি ?

• ই-মেইলর অসুবিধা কি ?

ই-মেইল কি!

ই-মেইল বা ইলেকট্রনিক মেইল হলো একজন বার্তা প্রেরকের কাছ থেকে এক বা একাধিক প্রাপকের কাছে কোন বার্তা বা ডিজিটাল মেসেজ বিনিময় করার নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি ।

উইকিপিডিয়া অনুসারে -" Electronic mail, or e-mail is a method of exchanging digital messages from an author to one or more recipients." 

ডিজিটাল ডাক ব্যবস্থা বা ই-মেইল হলো বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া যোগাযোগ মাধ্যম ও বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যম । ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ করলে সময় এবং অর্থ সাশ্রয় হয়।

প্রেরিত তথ্য প্রাপকের অনুপস্থিত থাকা অবস্থায়ই তার কম্পিউটার টার্মিনালের মাধ্যমে প্রাপকের হিসাবে জমা হয় । 

যোগাযোগের জন্য ইমেইল এমন একটা বাঁক ব্যাবস্থা যা সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমন্বয়ে গঠিত এবং এটি বিদ্যুৎ গতিতে নির্ভুলভাবে তথ্য পৌঁছে দিতে সক্ষম।

ই-মেইল সেবার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসসমূহ

বর্তমানে আমরা খুব সহজেই আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন ইউজ করে ই-মেইল সেবা গ্রহণ করতে পারি । এছাড়া বর্তমানে আমরা কম্পিউটার,

মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোনের সাহায্যে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে যেকোনো জায়গায় বসে ই-মেইল গ্রহণ ও প্রেরণ করতে পারি । কাজেই ই-মেইল সেবা গ্রহণ করার প্রয়োজনীয় উপাদান সমূহ হলো:

ক) ইন্টারনেট সংযোগ বিশিষ্ট একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন 

খ) ই-মেইলে বার্তা তৈরি, ই-মেইল প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য একটি সফটওয়্যার

গ) প্রেরক ও প্রাপকের ই-মেইল ঠিকানা

উপরে উল্লেখিত জিনিস ৩টা থাকলেই আমরা খুব সহজেই ই-মেইল গ্রহণ ও প্রেরণ করতে পারি ।

ই-মেইল ঠিকানা কি

আমরা যখন চিঠি পাঠাই তখন আমাদের একটা নাম , ঠিকানা দরকার হয় । একটা নাম-ঠিকানা থাকে যেখান থেকে চিঠি পাঠানো হয়, আরেকটা নাম-ঠিকানা থাকে যেখানে চিঠি পাঠানো হয় ।

ই- মেইলেও ঠিক এমনই দুটি ঠিকানা থাকে। যেখান থেকে ই-মেইল পাঠানো হয় তাকে বলা হয় প্রেরকের ঠিকানা, আর যাকে পাঠানো হয় তাকে বলা হয় প্রেরকের ঠিকানা । 

ই-মেইল ঠিকানার দুটি অংশ থাকে । প্রথম অংশটি ব্যবহারকারির পরিচিতি এবং দ্বিতীয় অংশটি হলো ডোমেইন নেইম। যেমন: [email protected] এখানে support হলো ব্যবহারকারীর পরিচিতি এবং jit com.bd হলো ডোমেইন নেইম। কিছু প্রতিষ্ঠান আমাদের বিনামূল্যে ই-মেইল সেবা প্রদান করে । যেমন: yahoo.com , gmail.com ইত্যাদি । 

ই-মেইল আবিষ্কারক কে ?

সব জিনিস আপনাআপনি আবিষ্কার হয় না , সেটা আবিষ্কার করতে হয় । প্রথম কে ই-মেইল আবিষ্কার করেছে তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে ‌।

তবে ধরা হয় ১৯৭৪ ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী শিভা আইয়ডুরাই সর্বপ্রথম ইমেইল আবিষ্কার করেন। উল্লেখ্য যে, তার দাবীর স্বপক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৮৪ সালের ইস্যুকৃত কপিরাইট সনদ রয়েছে। 

তবে অনেকে রেমন্ড টমলিনসন কে ই-মেইলের জনক মনে করে । তিনি ১৯৭২ সালে সর্বপ্রথম আরপানেট ব্যবহার করে পরীক্ষামূলক ইমেইল প্রেরণ করেন ।

ই-মেইলের সুবিধাসমূহ

বর্তমান সময়ে ইমেইল আমাদের কতটা দরকারি সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । ই-মেইলের কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো:

১) প্রচলিত ডাক ব্যবস্থার তুলনায় ইমেইল অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এবং তুলনামুলক কম খরচে তথ্য আদান-প্রদান করা যায় ।

২) গ্রাহকদের সুবিধাজনক সময়ে অথবা সার্বক্ষণিকভাবে অর্থাৎ যে কোন সময়ে ইমেইল সেবা গ্রহণ করা যায় ‌।

৩) ই-মেইল বহুজনের কাছে একসঙ্গে প্রেরণ করা যায়।

৪) প্রেরক বা গ্রাহক চাইলে ইমেইল অনেক দিন সংরক্ষণ করতে পারে ।

ই-মেইলের অসুবিধাসমূহ

প্রত্যেকটা জিনিসের যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি কিছু অসুবিধাও রয়েছে । ই-মেইলও এর ব্যাতিক্রম নয় । ই-মেইলের কিছু উল্লেখযোগ্য অসুবিধা হলো:

  1. ই-মেইল গ্রহণ বা প্রেরণের জন্য ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয়।
  2. ই-মেইলের সাথে স্প্যাম ও ভাইরাস ফাইল সংযুক্তি হিসাবে আসতে পারে। ফলে কম্পিউটার সিস্টেমের ক্ষতি হতে পারে ।
  3. ই-মেইল ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড চুরি হয়ে গেলে তা ক্ষতিকর বা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার হতে পারে ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ