অনলাইন ইনকাম সাইট সমূহ ২০২২

অনলাইন ইনকাম শব্দটির সাথে আমরা সবাই কোন না কোনভাবে পরিচিত। অনেকের মুখে শুনেছি যে অনলাইন থেকে ইকাম করা যায়। আবার কেউ কেউ এই কথা শুনে চেষ্টাও শুরু করেছিলাম কিন্তু সঠিক সাইট এবং সঠিকভাবে কাজ না করতে পারার জন্য অনেকেই চিটকে পড়েছি।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

তাই  অনেকে মনে করি অনলাইনে ইনকাম বলতে আসলে কিছুই নেই। অনেকে মনে করেন অনলাইনে ইনকাম করা কষ্ঠকর কিন্তু ইনকাম কম। আবার অনেকে বলেন মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করা সম্ভব না। কম সময়ে ইকাম করার জন্য অনেকে হয়তো টাকা ইনভেস্ট করেও কিছুই শিখতে পারেন না। আসলে আপনাদের রাস্থা সঠিক ছিলনা। তাই আপনারা ভূল ধারণা পোষণ করেছেন।

কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়

আসলেই কি অনলাইন থেকে ইনকাম সম্ভব। হ্যা সম্ভব, তবে এ জন্য থাকতে হবে ধৈর্য, মনোবল,নিষ্ঠা, ও অক্লান্ত পরিশ্রম করার ইচ্ছা। থাকা প্রযোজন স্মার্টফোন/ডেস্কটপ এবং নেট কানেকশন। মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব। তবে সব কাজ মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব না কিছু কাজে ডেস্কটপ ব্যাবহার করতে হয়।  অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে ধারণা নেয়ার আগে আমাদের জানা উচিৎ আমরা কেন অনলাইনে ইনকাম করবো!

সংক্ষেপে  বললে আমরা যারা স্টুডেন্ট বা গৃহীণি তারা চাই সবসময় অন্যের কাছ থেকে হাত পেতে টাকা না নিয়ে নিজে আয় করতে আর সেটা নিজের ইচ্ছেমত সময়ে হলেই ভালো হয়। আবার যারা চাকুরীজীবি তারাও চাই যে বেতন ছাড়া  একটা এক্সট্রা ইনকাম করতে। আর এসব চাওয়া পূরন করতে অনলাইন ইনকাম বর্তমানে বেস্ট অপশন। কারণ এতে ফিক্সড কোনো সময় নেই আবার কারো কতাও শদুনতে হয়না।অনলাইন ইনকাম মূলত একটি মুক্ত পেশা।

আমাদের মাসিক হাত খরচ চালানোর জন্য আমরা প্রথমত এই পেশা শুরু করলেও এখন অনেকে সংসার খরচও চালাচ্ছে এই অনলাইনে ইনকাম করেই। দেশি বিদেশি অনেক সাইট রয়েছে ইনকাম করার জন্য। আমাদের দেশিও কিছু সাইট আছে যা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করে।

 অনলাইনে আয় করা যায় এমন কতগুলো সাইট এখানে আলোচনা করা হলো:

 ১. ব্লগিং করে ইনকামঃ ব্লগিং অনলাইন আয়ের একটি পুরাতন আর্নিং সাইট হলেও অনেক কার্যকরী। এই পদ্ধতিতে ভালো অঙ্কের টাকা প্রতি মাসেই পেতে পারেন। এজন্য প্রথমত দরকার মেধা, শ্রম ও ধৈর্য্য। ব্লগ একটি সংবাদপত্রের মত। আপনার জানা একটি বিষয় আপনি লিখবেন। সেই বিষয়টি যার জানা দরকার সে পড়বে। আপনি এখন অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে যা পড়ছেন এটিওএকটিব্লগ।প্রতিটা মানুষই কোনো না কোনো বিষয় এ জানাশোনা হয়।

আপনিও যে বিষয় এ জানেন সেই বিষয় এর উপর লিখেই শুরু করতে পারেন আপনার ব্লগ যা থেকে শুরু করতে পারেন ইনকাম।

এখন আপনি ভাবছেন আমি ও তো লিখতে চাই কিন্তু লিখবো কোথায়?

তাহলে জেনে নিন আপনি কোনো খরচ ছাড়াই একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে মানুষের ভরসা কম পাবেন। তাই অল্প কিছু টাকা খরচ করে ডোমেইন ক্রয় করে হোস্টিং ঠিক করে আপনার ব্লগ বানিয়ে আপনি লিখতে পারেন। অনেকের এতটুক ধারণা থাকা সত্বেও শুরু করছেন না গুগল এডসেন্স পাবেন কিনা সেই ভয়ে। ভয়ের কোন কারণ আমি দেখছিনা। আপনি যদি মানসম্মত  লিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই গুগল এ্যাডসেন্স দিবে।

আপনি আমাদের সাইট জে-আইটি তে লিখেও আয় করতে পারেন।

 ২.  ইউটিউব থেকে আয়ঃ আপনার মাঝে যদি কোন সুপ্ত প্রতিভা থাকে, আর আপনি সেই প্রতভা ভিডিও এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন। তাহলে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করাটা হবে আপনার জন্য সহজ একটি মাধ্যম। তবে ইদানিং ইউটিউবের কিছু নিয়ম-কানুন  পরিবর্তন হয়েছে। তার মধ্যে আপনার সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম হতে হবে।

তা শুরু করার এক বছরের মধ্যে হলেই েএ্যাডসেন্স একাউন্ট  পাওয়া সম্ভব।তবে এটি পূরণ করা খুব বেশি কঠিন তা নয়। যদি আপনার ভিডিও গুলো দর্শকদের কাছে ভালো মনে হয় এবং প্রয়োজনীয় কোন বিষয়বস্তু  থাকে তাহলে সাবস্ক্রাইব এবং ভিউ পেতে আপনাকে খুব বেশি সময় লাগবে না।

কেউ কেউ এটা মনে করেন যে, শুধু মাত্র হাস্যকর ,ফানি, নোংড়া ভিডিও গুলোতে দর্শকদের ভিউ বেশি হয়। এই কথাটি কিছু সময়ের জন্য সত্য হলেও এসব ভিডিও নিয়ে একজন ইউটিউবার খুব বেশিদিন উপার্জন করতে পারে না।

তাই অনুরোধ থাকবে ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর জন্য একটু সময় লাগলেও আপনি মান সম্মত, ভাল এবং শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরী করুন। ইউটিভার হতে হরে অবশ্যই মনে রাখতে হবে অন্য কারো ভিডিও বা কনটেন্ট ভুলেও নিজের বলে চালিয়ে দিবেন না এতে চ্যানেল বাতিল হয়ে যাবে।

৩.সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আয়ঃ বর্তমান যুগে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম হলো ফেইসবুক,হোয়াট্সএ্যাপ, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইমু, স্ন্যাপচ্যাট প্রচুর ব্যাবহার হচ্ছে। এ গুলো আমরা  শুধুমত্র চ্যাটিং জন্য ব্যবহার করি। কিন্তু এগলো শুধু মাত্র চ্যাটিং করে সময় অপচয় করার জন্য এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনার ফেসবুক পেজে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার থাকতে হবে।

এতে আপনি ঘরে বসে খুব সহজে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানির কাছ থেকে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ যেকোন কোম্পানির পন্যের প্রচারের জন্য স্যোশাল প্লাটফর্ম খুবই জনপ্রিয়। জানা দরকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য থাকাটা জরুরি। আর আপনি যদি তা পারেন তাহলে আপনি সফলকাম হতে পারবেন। 

 ৪.  মার্কেটিং করে:  তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা বেশির ভাগই প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। সময় বাচাঁনো এবং সহজ লভ্যতার জন্য নিজেদের কেনা কাটাও অনলাইন থেকে হয়। সেক্ষেত্রে আপনি যদি সেলার হন তাহলে ইনকাম করা অনেক সহজ।  অনেকেই শুধুমাত্র পেইজবুক পেইজ খুলে পন্য বিক্রি করে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করে।

বর্তমানে ইনভেস্ট না করে রিসেলিং করেও ভালো এমাউন্ট লাভকরা সম্ভব সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার  ধ্যর্য থাকতে হবে এবং মার্কেটিং এর পলিসি বুঝতে হবে। মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করা একটি সহজ পথ।

৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আমর এই সম্পর্কে অনেক কম জানি । তবে এটা জানি যে  এই মার্কেটিং এর মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমান অর্থ উপার্জন সম্ভব। এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে একটু ধারণা নেই:

বর্তমানে হাজার হাজার ইন্টারনেট মার্কেট প্লেসে পন্য বিক্রি হয়। এদেরকে ই-কমার্স বলা হয়। এসব ই কমার্স (e-commerce) সাইট এর প্রত্যেকটি সাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)নামে একটি অপশন রয়েছে। সেখানে আপনার একটি একাউন্ট করতে হবে। এবং তাদের পন্যের লিংক কপি করে শেয়ার করতে হবে।

আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে কেও যদি পন্যটি ক্রয় করে তাহলে আপনি আপনার কমিশনটি পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে পন্যটির দাম বাড়বে না। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) এর জন্য অবশ্যই ভালো মার্কেটিং জানতে হবে। এ ছাড়া সম্ভব নয়। বর্তমানে অনলাইন বা অফলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কোর্স করানো হয়। সেখান থেকে শিখে নিয়ে  আপনি কাজ শুরু করতে পারেন।

৬. রেফার করে ইনকামঃ অনেক সহজ ভাবে ইনকাম এর একটি মাধ্যম হচ্ছে অ্যাপ রেফার করে ইনকাম। বর্তমানে  বিকাশ এর অফার চালু আছে আপনি রেফার করলে আপনার রেফারে কেও app ইন্সটল করলে ও লগ ইন করলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনার একাউন্টে এসে জমা হয়। বিকাশ এর মত অনেক app আছে, যে এ্যাপ থেকে রেফার করার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশি হলে আপনি টাকা বিকাশেই নিতে পারবেন তবে বিদেশি হলে বিকাশে নেয়া যাবে না। তবে বিদেশী এ্যাপ থেকে বিকাশে পেমেন্ট কম হয়।

রেফার করেও ইনকাম করা যেতে পারে।

 

৭.ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম: বর্তমানে সবচাইতে বেশি লোক যেখানে কাজ করছে সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করাও সম্ভব।  আমাদের সরকার ফ্রি ল্যান্সিং করতে সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছে। হয়তো আগামী দিনে ফ্রিল্যান্সিং হয়ে উঠবে একটি জন প্রিয় পেশা। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য আপনার ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসে একাউন্ট করতে হবে। যেমনঃ ফাইবার, ফ্রি ল্যান্সার ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং এ বিদেশি বায়াররা অনলাইনে কাজের জন্য আপনাকে কন্টাক করবে। তাদের কাজ করে দিতে পারলে তারা আপনাকে শর্ত মোতাবেক  ভালো একটা এমাউন্ট  পে করবে এবংযা আপনার  ব্যাংক একাউন্ট এ নিতে হবে । তবে ফ্রি ল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে যেকোনো একটি বিষয় এর উপর পারদর্শী হতে হবে যেমনঃ গ্রাফিক ডিজাইন ,ওয়েব ডিজাইন, ফটো ইডিটিং ,ওয়েব সাইট মেকিং, কেনটেন্ট রাইটিং, লগু ডিজাইনিং ইত্যাদি। আপনি যে বিষয়ে ভালো পারেন সেই বিষয় এই শুরু করতে পারেন ফ্রি ল্যান্সিং।

তবে, শুরুতে মার্কেট প্লেসে কাজ পেতে সমস্যা হলেও পরবর্তীতে আর সমস্যা হয়না, এ জন্য ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয়। পাশ করলেই আপনি সফল।

৮. ভিডিও দেখে আয়ঃ   ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করার বিষয়টি হয়ত অনেকেই জানেন কিন্তু অনেকে বিশ্বাস করেনা। সত্যি কথা বলতে অনলাইন থেকে ভিডিও দেখে ইনকাম করার বিষয়টি অনেকের কাছে বিশ্বাস যোগ্য না হলেও ঘটনাটি সত্য। মনে রাখা উচিত, অনলাইনে অনেক সাইট রয়েছে যারা ভিডিও দেখিয়ে ইনকাম এর কথা বলে কিন্তু টাকা পে করেনা সাইটগুলো স্ক্যাম বা ভূয়া সাইট। যারা আপনাকে দিয়ে ভিডিও দেখাবে কিন্তু পরবর্তীতে কোনো পেমেন্ট করবে না।

ভিডিও দেখে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয় সম্পর্কে খেয়াল রাখতে হবে। ভিডিও দেখিয়ে কোন সাইট বেশি পরিমান অর্থ পে করেনা। যদি বেশি অর্ত দিবে বলে তাহলে অশিদ্বাস করতে হবে।

৯.  অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে ইনকামঃ আমাদের মাঝে অনেকেই আছি যারা পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষকতার সাথে জরিত। এতে করে মাসে একটা ইনকাম আমাদের হাতে আসে। যা আমাদের পকেট খরচ চালাতে অনেক সহযোগীতা করে।  বর্তমদান করোনা পিরিস্থিতিতে  এই পড়াশুনা শুধুমাত্র অফলাইনে সিমাবদ্ধ নয় এর বিস্তার দুনিয়া জুড়ে। অনলাইনে ছাত্র বা ছাত্রি পড়িয়ে মাসে ৩০-৫০হাজার টাকাও আয় করতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক অনলাইন স্কুল রয়েছে আপনি তাদের সাইট ভিজিট করে ধারণা নিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার পাঠদান।

আপনার ইচ্ছা আর পরিশ্রম অপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌছেঁ দিতে সহযোগীতা করবে।

সবশেষ: অনলাইনে অনেক আর্নিং সাইট রয়েছে আপনি আপনার ইচ্ছা, মেধা ও শ্রম দিয়ে খুব সহযেই ইনকাম করে আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌছাঁতে পারেন। রিযিকদাতা আপনার সহায় হউন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ