মোবাইল দিয়েই শতভাগ ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব।

আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন, তবে কিছু মানুষের জন্য এটি কঠিন হতে পারে। এখন দেখা যাক কীভাবে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে চাইলে প্রথমেই একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট এর মতো ডিভাইস নির্বাচন করতে হবে।

এরপরে আপনাকে ইন্টারনেট কানেকশন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও সরঞ্জামগুলো নিবন্ধন করতে হবে।

আর বর্তমান সযময়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সং করা সত্যিই সম্ভব।

আগে জেনে নিন ফ্রিল্যান্সিং কী?

ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা যেখানে আপনি কারো অধীনে না কাজ করে এবং স্বাধীনভাবে নিজের সময়কে পরিচালনা করেন।

এটি সাধারণত অনলাইনে কাজ করার মাধ্যমে করা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নিয়ে কাজ করা হয় যেমন লেখালেখি, ওয়েব ডিজাইন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, এসইও এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং করার উপকারিতা হলো স্বাধীনতা, সময় পরিচালনা, কাজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারা, বিভিন্ন প্রকল্পে নিজের কাজের মূল্য নির্ধারণ করা এবং কাজ করার স্থান ও সময় নির্বাচন করা।

এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আপনি অধিক কাজ করতে পারেন এবং নিজের দক্ষতা উন্নয়ন করতে পারেন।

মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট থেকে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এরপর আপনি একটি কাজ সন্ধান করতে পারেন যা মোবাইল থেকে সম্পাদন করা সম্ভব। এরপর আপনি কাজটি সম্পাদন করে ক্লায়েন্টকে প্রেরণ করতে পারেন।

সাধারণত এই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ওয়েবসাইটগুলি সম্পূর্ণ ওয়েব-ভিত্তিক এবং একটি অ্যাপ্লিকেশন বা ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে প্রবেশ করা যায়।

এই ধরনের সাইটগুলো আপনাকে নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য সেবা প্রদান করে এবং আপনার কাজ সম্পন্ন করার পরিবর্তে আপনাকে টাকা দেয়া হয়।

এই ধরনের সাইটগুলো হলো Upwork, Fiverr, Freelancer, PeoplePerHour, Guru ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি ই-কমার্স সাইট বা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

সেই সাইটগুলোতে রেজিস্ট্রেশন এবং একাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে আপনার কাজের বিবরণ প্রদান করতে হবে

ইউটিউব

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করা সম্ভব এবং সেটির জন্য কিছু প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে। আমি নিচে কিছু সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর নাম উল্লেখ করছি:

  • PowerDirector
  • KineMaster
  • FilmoraGo
  • Adobe Premiere Rush
  • Quik
  • VivaVideo
  • nShot
  • VideoShow
  • Magisto
  • iMovie (সুদূর পশ্চিম বিশেষ)

এই সফটওয়্যার গুলো এন্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেম দুইটিতেই ব্যবহার করা যায়। উল্লেখ্য, সফটওয়্যার ব্যবহারের আগে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ভিডিও রেকর্ড করা উচিত যাতে সফটওয়্যার সমর্থন করে।

আপনি এই সফটওয়্যার গুলো দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে পারেন এবং একটি প্রফেশনাল লুকিং ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

আসলেও মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করা যায়। বর্তমানে অনেকগুলো অ্যাপস আছে যেখানে মোটামোটি সকল গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করা যায়।

উল্লেখ করা যায় কিছু অ্যাপস যেগুলো মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে সহায়তা করে, তা হলো -

Canva: এটি একটি অনলাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন টুল যা মোবাইল অ্যাপস হিসাবে ব্যবহার করা যায়। এটি সহজ ইউজার ইন্টারফেস এবং অনেক প্রফেশনাল টেম্পলেট প্রদান করে।

এর মাধ্যমে আপনি ফটো এডিট করতে পারবেন, লেভেল ডিজাইন এবং এনিমেটেড গ্রাফিক্স তৈরি করতে পারবেন।

Adobe Photoshop: এটি একটি প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন টুল যা মোবাইলে ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে আপনি লেভেল ডিজাইন, ফটো এডিট এবং আরও অনেক কিছু করতে পারবেন।

Adobe Spark: এটি একটি অনলাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন টুল

ওয়েব ডিজাইন

ওয়েব ডিজাইন শেখার ব্যসিক হলো HTML এবং CSS। W3sSchools এবং FreeCordCamp হলো দুটি খুবই জনপ্রিয় ও উন্নয়নশীল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য বিভিন্ন ধরণের টিউটোরিয়াল, প্রাকটিস কোডিং প্রশিক্ষণ, এবং প্রজেক্ট সংক্রান্ত মাস্টার কোর্স পাবেন।

আরও অনেকগুলো মোবাইল অ্যাপস রয়েছে যেখানে আপনি ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। "Web Development Made Easy", "Programming Hero" এবং "Solo Learn" হলো কিছু উন্নয়নশীল ও প্রয়োজনীয় অ্যাপস যেখানে আপনি প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন।

এদের মাধ্যমে আপনি নিরাপদ এবং স্থিরতার সাথে ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশ পাবেন।

ট্রান্সলেশন এবং ভাষা

ট্রান্সলেশন এবং ভাষা সম্পর্কিত কাজগুলি করার জন্য আপনাকে অনেক রকম ভাষা জানতে হবে। একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় স্থানান্তর করা সম্ভব নয় যদি আপনি উভয় ভাষা জানতে না পারেন।

ট্রান্সলেশন এবং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কিত কাজগুলি করার জন্য আপনাকে অন্যান্য ভাষাও জানতে হবে যেমন ইংরেজি, স্পেনিশ, ফরাসি, জাপানিজ ইত্যাদি। এছাড়াও সব ভাষার নিয়ম এবং ব্যাকরণ সম্পর্কে জানতে হবে ।

সত্যি কথা বলতে গেলে, ট্রান্সলেটর ভাষা থেকে ভাষা একটি ভাষায় ট্রান্সলেট করতে হবে। তবে ট্রান্সলেটর কাজ করতে গেলে একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় ট্রান্সলেট করতে না পারলেও কিছুটা জানতে হবে অন্য ভাষা সম্পর্কে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ইংরেজি ভাষা থেকে ফরাসি ভাষায় ট্রান্সলেট করতে চান তবে আপনাকে কমপক্ষে দুটি ভাষার জ্ঞান থাকতে হবে। আপনি যদি শুধুমাত্র ইংরেজি বুঝতে পারেন তবে আপনি ফরাসি একটি ভাষায় ট্রান্সলেট করতে পারবেন না।

তাই ট্রান্সলেটর কাজ করতে চাইলে আপনাকে কমপক্ষে দুটি ভাষার জ্ঞান থাকা দরকার হবে, আর যদি আপনি একাধিক ভাষা জানেন তাহলে আপনার কাজ সহজ হবে।

রাইটিং এবং কনটেন্ট ক্যাটাগরি

রাইটিং এবং কনটেন্ট ক্যাটাগরি একটি বিস্তৃত ক্যাটাগরি যেখানে অনেকগুলো sub-category রয়েছে। নিচে কিছু সাধারণ sub-category উল্লেখ করা হলো -

  • আর্টিকেল রাইটিং
  • ব্লগ রাইটিং
  • কপি লেখা
  • সিএও রাইটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টিং
  • প্রোডাক্ট রিভিউ লেখা
  • সিএসএস লেখা

এবং একাধিক সাব ক্যাটাগরি যেমন মেডিকেল রাইটিং, লেগাল রাইটিং, প্রডাক্ট ডেসক্রিপশন লেখা ইত্যাদি

আপনি যে সাব ক্যাটাগরি নির্বাচন করবেন তা আপনার ইন্টারেস্ট এবং কাজের ধরনের উপর নির্ভর করবে

একাডেমিক রাইটিংএকাডেমিক রাইটিং

আপনি প্রায় সমস্ত ফিলান্সিং মার্কেটগুলোতে একাডেমিক রাইটিং প্রকল্পগুলি খুঁজে পাবেন যা মোবাইল দিয়েই সহজভাবে সম্পাদন করা যায়।

নিচে কিছু স্থান দেওয়া হল যেখানে আপনি একাডেমিক রাইটিং কাজ করতে পারেন এবং এটি সহজভাবে মোবাইল দিয়ে করা যায়।

Upwork: Upwork হল একটি ফিলান্সিং মার্কেটপ্লেস যা বিভিন্ন ধরনের কাজ প্রদান করে। আপনি এখানে একাডেমিক রাইটিং কাজ খুঁজে পাবেন এবং মোবাইল দিয়ে কাজটি সম্পাদন করতে পারেন।

Freelancer: Freelancer হল আরেকটি পরিষেবা সরবরাহকারী যা একটি ফিলান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনি একাডেমিক রাইটিং কাজ খুঁজে পাবেন এবং মোবাইল দিয়েই সম্পাদন করতে পারেন।

Guru: Guru হল আরেকটি ফিলান্সিং মার্কেটপ্লেস যা বিভিন্ন ধরনের কাজ প্রদান করে।

আর্টিকেল রাইটিং এবং রিরাইটিং

আসলে আর্টিকেল রাইটিং এবং রিরাইটিং দুটি ভিন্ন কাজ।

আর্টিকেল রাইটিং হল নতুন একটি আর্টিকেল লেখা। একজন লেখক একটি বিষয় নির্বাচন করে তার উপর পর্যবেক্ষণ করে একটি আর্টিকেল লিখে থাকেন।

আর্টিকেল লেখার জন্য লেখক তার বিষয়টি প্রস্তুত করে তার উপর পর্যবেক্ষণ করে নতুন সংশোধন করে একটি উচ্চমানের আর্টিকেল লিখে থাকেন।

আর্টিকেল রাইটিং করার সময় লেখক বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেই তথ্য ব্যবহার করে তার লেখার মাধ্যমে সমস্যা নিষ্পত্তি করতে থাকেন। একটি ভাল আর্টিকেল প্রকাশ করার জন্য লেখককে সঠিক কথাবার্তা এবং উপস্থাপনার প্রয়োজন।

আপনি সহজেই মোবাইল দিয়ে আর্টিকেল রাইট করতে পারেন। আপনি কোন এডিটর বা টেক্সট এডিটর ব্যবহার করে আর্টিকেলটি রাইট করতে পারেন। যেমন - Google Docs, Microsoft Word, Notepad++, Grammarly, Hemingway ইত্যাদি।

আর্টিকেল রিরাইট হল একটি প্রক্রিয়া যেখানে পুরানো একটি আর্টিকেলকে পুনরায় লেখা হয় এবং উপযুক্ত মডিফিকেশন এবং পরিবর্তন করে নতুন একটি ভার্সন তৈরি করা হয়।

রাইটিং স্টাইল ও শব্দভাবগুলি পরিবর্তন করে নতুন লেখা তৈরি করা হয় যাতে সেটি আরও স্পষ্ট এবং মানসম্পন্ন হয়।

একটি আর্টিকেল রাইট হলে এর সম্পূর্ণ পাঠ এবং বিষয়বস্তু পরিবর্তন করা যায় যাতে নতুন এবং স্পষ্ট লেখা তৈরি হয়। একইভাবে, ভুল ত্রুটি ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলি সংশোধন করা হয় যাতে নতুন লেখা আরও মানসম্পন্ন হয়।

আর্টিকেল রাইট একটি প্রফেশনাল কাজ এবং সেটি কোনও অনলাইন ব্যবসায়িক জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

ব্লগ রাইটিং

ব্লগিং একটি মজার ও সুযোগপূর্ণ কাজ এবং এটি সম্পূর্ণ অনলাইনে করা যায়। আপনি চাইলে নিজেই একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন এবং তাতে নিজের লেখার প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।

ব্লগ লিখার আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনি আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কে জানেন। আপনি যে বিষয়ে লিখবেন তা আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কে আকর্ষণ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

তবে একটি নির্দিষ্ট টার্গেট অডিয়েন্স উল্লেখযোগ্যভাবে আপনার লেখার সার্থকতা বাড়াতে পারে। আপনি চাইলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করুন: আপনার লেখার জন্য সঠিক অডিয়েন্স নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পেতে পারেন এবং তারপর সেই উত্তরের উপর ভিত্তি করে টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করতে পারেন:

  • কোন সমস্যার সমাধান আপনি প্রদান করতে চান?
  • কোন সেবা বা পণ্য আপনি বিক্রি করতে চান?
  • আপনার লেখা থেকে কী করে আপনি লাভ করতে চান?

কোন স্কিল বা জ্ঞান দিয়ে আপনি লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রকাশ করতে পারেন।

ফোরাম পোস্টিং এর কাজ

আপনি মেডিকেল সম্পর্কিত বিভিন্ন ফোরামে পোস্ট করতে পারেন এবং আপনি একটি ফোরামে পোস্ট করার আগে তার নিয়মাবলী পড়ে নিতে হবে।

আপনি ইন্টারনেটে সার্চ করে মেডিকেল ফোরামের তালিকা খুঁজতে পারেন। কিছু প্রসিদ্ধ মেডিকেল ফোরামের লিস্ট নিচে দেয়া হলোঃ

  • WebMD Community
  • MedHelp
  • Everyday Health
  • HealthBoards
  • Patient.info
  • Mayo Clinic Connect
  • HealthUnlocked
  • Drugs.com Community
  • SteadyHealth Community
  • MyFitnessPal Community

সমস্ত ফোরাম এক্সপ্লোর করার সময় নিশ্চিত হতে হবে যে সেগুলো আপনার সেবা প্রদানের প্রায়োগিক এলাকায় বিদ্যমান এবং আপনি সেখানে পোস্ট করার আগে নিয়মাবলী পড়ে নিতে ভুলবেন না।

ফোরামে সম্প্রচার করার জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রফাইল গ্রো করাতে হবে। এছাড়াও, আপনি সবসময় ফোরামের নিয়ম এবং স্বচ্ছতা সম্পর্কে স্মরণ রাখবেন এবং ফোরামে  যেকোনো পোস্ট অনুসন্ধান করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবেন।

আপনি প্রফেশনাল ও সহজভাবে কথা বলা সম্পর্কে অনুশীলন করবেন এবং যদি আপনার কোন সমস্যা থাকে তবে আপনি সেই সমস্যার সমাধানের জন্য ফোরামের মধ্যে সাহায্য চাইবেন।

কাস্টমার সাপোর্ট

আপনি সম্ভবত মোবাইল ফোন দিয়ে কাস্টমার সাপোর্ট সেবা প্রদান করতে পারেন। কারণ আজকাল অনেক সাপোর্ট সেন্টার মোবাইল ফোন সমর্থন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনাদের কাস্টমারদের সাথে সম্পর্ক রাখে

যেমন আপনি নিজের মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করেন ঠিক তেমনি এই সাপোর্ট সেন্টারগুলো সম্পর্কে আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে সেবা পাওয়া যায়।

যেহেতু বর্তমানে অনলাইন কেনাকাটা ও ই-কমার্সে বেশি হয়েছে, তাই কাস্টমার সাপোর্ট এবং একটি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পরিচালিত করার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করা হয়।

তবে কিছু সেন্টারে টেলিফোন হ্যান্ডেলিং একটি বেশ কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে কারণ সমস্যার সাথে সাথে সমাধান খুব দ্রুত পাওয়া যায়।

আপনি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারেন এবং কোম্পানি কাস্টমারদের সমস্যার উত্তর দিতে পারেন। একটি ভার্চুয়াল নম্বর দিয়ে সাপোর্ট সেন্টার সেটআপ করা যেতে পারে এবং এটি কাস্টমারদের যোগাযোগ করতে অনেক সহজ হবে।

আপনি একজন সাপোর্ট এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন এবং কাস্টমারদের সমস্যার উত্তর দিয়ে তাদের সন্তুষ্ট করতে পারেন।

আপনার জন্য কিছু টিপসঃ

  • কাস্টমারদের সমস্যার শুনে খুব দ্রুত সমাধান খুঁজতে ক্ষমতা রাখুন।
  • কাস্টমারদের উপযোগী সমাধান প্রদান করার জন্য দক্ষ হন।
  • কাস্টমারদের কথা শুনুন এবং উত্তর দিতে যত সম্ভব প্রস্তুত থাকুন।

কাস্টমারদের সমস্যা সমাধান করতে সময় প্রদান করুন এবং তাদের উপর প্রভাব ফেলতে চেষ্টা করুন

ট্রানস্ক্রিপশন

ট্রানস্ক্রিপশন মূলত শুনে লেখার কাজ করে। এটি একটি পেশাদার সেবা যা বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের প্রয়োজন মতো হতে পারে।

এটি বিশেষত সেমিনার, লেকচার, ইন্টারভিউ, প্রেজেন্টেশন এবং বিভিন্ন অনলাইন ভিডিও কনটেন্টের জন্য প্রয়োজন হতে পারে।

এই ধরনের সেবাটি দেশে বিদেশে খুব জনপ্রিয় হয়েছে, এটি অনলাইন মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে পার্ট টাইম ও ফুল টাইম জব চাইতে ব্যবহার করে থাকে।

এছাড়াও, অনেক মানুষ ভিডিও বা অডিও ফাইল ব্যবহার করে একটি কাজ সম্পাদন করতে না পারে তাদের জন্য এটি খুব জরুরী হতে পারে।

ট্রানস্ক্রিপশন করার সময়, ট্রান্সক্রিপ্টর একটি সঠিক লিখিত ডকুমেন্ট তৈরি করে যা ক্লায়েন্টের প্রয়োজন মতো হতে পারে।

ট্রান্সক্রিপশন হল কোন ভিডিও, অডিও, সংলাপ বা সম্ভাষণ এর কথাগুলি টেক্সট ফরম্যাটে রূপান্তর করা। এটি সাধারণত কোন স্ক্রিপ্ট বা টেক্সট ফাইল হিসেবে সংরক্ষিত থাকে।

ট্রান্সক্রিপশন একটি প্রস্তুত ডকুমেন্ট, যা মূলত কোন ভিডিও বা অডিও ফাইলের মধ্যে উল্লেখিত কথাগুলির টেক্সট ভার্সন।

একটি ট্রান্সক্রিপশন ফাইল একটি ভিডিও বা অডিও ফাইলে উল্লেখিত কথাগুলি সম্পূর্ণ না হলেও দায়িত্বশীল হয় কিছুটা অবিশ্বাস্য এবং নির্ভরযোগ্য হওয়া উচিত।

ট্রান্সক্রিপশন হল অনেক বিষয়ে উপযোগী যেমন সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে অনুসন্ধান, নিজের কথা স্পষ্টতা পরীক্ষা এবং একটি সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পর্কে অন্যকে জানানো ইত্যাদি।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোন নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই এবং এর কাজগুলি একই স্বতন্ত্রভাবে সম্পাদন করা যেতে পারে, বলতে গেলে এটি একটি কনভার্সেশনাল এজেন্ট যা মানুষের সাথে কথোপকথন করতে সক্ষম হয়।

মোবাইল ডিভাইস বা অন্যান্য ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সম্পর্কিত কাজগুলি করা যায়।

একটি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট করতে পারে বিভিন্ন কাজ যেমন অ্যাপস চালু করা, ফোন করা বা গ্রহণ করা, মেসেজ পাঠানো বা পড়া, শপিং করা, কেনাকাটা করা, ইমেইল পরিচালনা করা,

অনলাইন সার্ভিস প্রদান করা, যোগাযোগ তথ্য প্রদান করা এবং অন্যান্য কাজগুলি সম্পাদন করা যায়।

মূলত এগুলি হচ্ছে এই ক্যাটাগরিগুলোর মাধ্যমে আপনার পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে আপনার হাতে থাকা স্মাট ফোন দিয়েই ইনকাম করতে পারবেন?

এছাড়া ও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এবং এপস এটি ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভক্ত করে রয়েছে। একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যেকোনো ধরনের পেশার প্রয়োজন হতে পারে, সেই কারণে এর ক্যাটাগরি বিভিন্ন সাব-ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে।

কিছু সাধারণ ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরি হল

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: এই ক্যাটাগরিতে ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি সম্পর্কিত কাজগুলো থাকে।

• সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: এই ক্যাটাগরিতে কোডিং, সফটওয়্যার এবং এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত কাজগুলো থাকে।

• ডিজিটাল মার্কেটিং: এই ক্যাটাগরিতে ওয়েব সাইট এবং এপ্লিকেশন প্রচার, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সহ আরো অসংখ্য ক্যাটাগরি রয়েছে।

বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইট 

বাংলাদেশে এক-ধাপে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর উন্নয়নের প্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ওয়েবসাইটগুলি হলো কাজ কি ডটকম, স্বাধীন কাজ ডটকম এবং কাজ খুঁটি।

এই ওয়েবসাইটগুলি প্রায় সমস্ত ধরনের কাজের জন্য সেবা প্রদান করে থাকে যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, মার্কেটিং, লেখাপড়া, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি।

এই ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদনের সুযোগ উপস্থাপন করে থাকে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেমেন্ট সরবরাহ করে থাকে।

এছাড়াও, অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলি হতেও বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কাজ পাওয়া যায় যেমন Upwork, Freelancer, Fiverr ইত্যাদি।

আমি আপনাকে বলতে চাই যে কোন কাজটি মোবাইলে শতভাগ করা সম্ভব নয়। কিছু কাজগুলো মোবাইল থেকে করা যায়, কিন্তু এগুলো সমস্যার হতে পারে এবং কোনও সমস্যার কারণে সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন হয় না।

অন্যদিকে, কিছু কাজগুলো যেমন ডাক্তারী সেবা বা মেডিকেল সহায়তা প্রদান এমন কাজগুলো মোবাইল থেকে শতভাগ সম্ভব নয়।

আপনি যেকোনো কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করতে পারেন, কিন্তু কিছু কাজগুলো মোবাইলে করা কম সহজ হতে পারে এবং সময় এবং সম্পদ সংকট সমাকলিত হতে পারে।

একটি স্ক্রিন ছোট হওয়ার কারণে কিছু কাজ দেখা কঠিন হতে পারে এবং অন্যদিকে কিছু কাজ মোবাইলের সাহায্যেই সহজে করা যায়।

সেই কাজগুলো হতে পারে নিচের মধ্যে কিছুটা

  • ইমেল পড়া এবং প্রেরণ করা
  • টেক্সট ডকুমেন্ট তৈরি করা
  • ক্যালেন্ডার সম্পাদনা এবং সংরক্ষণ করা
  • সময়সূচী তৈরি এবং সেট করা
  • ওয়েব সার্ফিং এবং অনলাইন শপিং
  • সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার
  • স্ক্যান এবং পিডিএফ ফাইল তৈরি এবং প্রেরণ
  • বারকোড স্ক্যান করা
  • অ্যাপ ডাউনলোড করা
  • ফটো এবং ভিডিও সম্পাদনা এবং সেটিং আপ করা

তাই, আপনি চাইলে মোবাইল ব্যবহার করে কিছু কাজ করতে পারেন কিন্তু একেবারে শতভাগ করা সম্ভব নয় এবং কিছু কাজ মোবাইল দিয়ে করা হলে সেগুলো প্রথমে সঠিকভাবে নির্দেশ মেনে চলতে হবে এবং তারপর সেগুলো করতে হবে।

আপনার যদি মনে হয় আমি এই কাজে অনেক দক্ষ এবং সহজেই করতে পারবো।।। তাহলে আপনি চেষ্টা করলে ফোন দিয়েই শতভাগ কাজটি কম্পিলিট করতে পারেন।

আমি  আপনাদেররকে আবারও বলছি..

কিছু ওয়েবসাইট বা এপ্লিকেশন আছে যা অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ প্রদান করে কিন্তু সেগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

একটি বিশেষ কারণ হল এই ধরণের ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনে একটি চূড়ান্ত সমস্যা হল সাধারণত এগুলো স্ক্যাম হতে পারে।

তাই যখন আপনি অনলাইনে ইনকাম করার বিষয়ে চিন্তিত হন, সেটি নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি সম্ভবত স্ক্যামের শিকার হবেন না।

আমি যে ক্যাটাগরি নিয়ে আলোচনা করলাম এই বিষয়গুলো নিয়ে ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল আছে যা দেখে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন।

এবং তা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খুব সহজেই করা যায়।এর জন্য আপনাকে অনেক ধৈর্য্যশীল এবং কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
Morsalin13 - May 18, 2023, 4:08 PM - Add Reply

কাজ করলে আইডি খুলুনঃ http://blog.jit.com.bd/ref/Kaif

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ